Wednesday, July 11, 2012

বিশ্বব্যাপী ভিন্ন ভিন্ন দিনে ঈদ হওয়া ও.আই.সি -র সিদ্ধান্ত বিরোধী

৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৪৯

 রোজা কোন সাধারন ইবাদত নয় । এটি ইসলামের স্তম্ভ হওয়ায় এর গুরুত্ব অপরিসীম । ইসলামী পন্জিকার মাসগুলো ২৯ ও ৩০ দিনে হয় । কোনভাবেই ২৮,৩১ ও ৩২ দিনে মাস হওয়ার সুযোগ নেই । কিন্তু বিশ্বব্যাপী রোজার সময় আমরা বিভিন্ন দেশ অনুযায়ী ২৮ ও ৩১ দিনের রমজান মাস হতে দেখি এবং ২৮ হতে ৩১ দিনে রমজান মাস শেষ করে বিশ্বব্যাপী ঈদুল ফিতর চার দিন ধরে পালন করার রেওয়াজ গড়ে ওঠেছে ।


এ বিশৃঙ্খল অবস্হা সম্পর্কে ১৬ অক্টোবর ২০০৬ তারিখে এক প্রেস রিলিজে ৫৭টি দেশ নিয়ে গঠিত ইসলামী সহযোগিতা সংস্হা (ও.আই.সি) –এর মান্যবর মহাসচিব একমেলেদ্দীন ইহসানোগলু বলেন,’’ এবছর (২০০৬) ঈদুল ফিতর ঈদুল ফিতর উদযাপনে সময়ের পার্থক্য ৩ দিন পৌছেছে । আধুনিক বিজ্ঞান বিশেষত: জ্যোতির্বিজ্ঞানের অভাবনীয় অগ্রগতির যুগে এই অবস্হা দু:খজনক । ইসলামী উৎসবগুলোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে । এসব উৎসব বিশ্বের সব মুসলিমের হৃদয়ে ঐক্যের বার্তা পৌছে দেয় । এই ঐক্য এসব উৎসবের নির্যাস হিসেবে প্রকাশ পায় । কিন্তু এসব উৎসব বর্তমানে মুসলিমদের মধ্যে ঐক্যের বদলে অনৈক্য ও বিভেদের উপলক্ষ্য হিসেবে উপস্হিত হয়েছে । এতে মুসলিমদের ইতিবাচক ভাবমূর্তি প্রকাশ পাচ্ছে না । এটি একটি বড় ধরনের ভুল । কারণ এসব ধর্মীয় উৎসব ধর্মের বস্তুনিষ্ঠতা থেকে দূরে সরে যেয়ে একঘেয়েমি ও কুপমন্ডুকতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে । এব্যাপারে ইসলামী সম্বেলন সংস্হা (ও.আই.সি) ১৯৮০ -র দশক হতে লিখিতভাবে এবিষয় নিয়ে সোচ্চার । ও.আই.সি এবিষয়ের উপর প্রস্তাব গ্রহণ করেছে এবং বিভিন্ন সম্বেলনে এবিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আসছে ।মুসলিম দেশগুলোতে একটি একক ক্যালেন্ডার অবলম্বন করার জন্য হিজরী ক্যালেন্ডারকে ধর্মীয় ও বিজ্ঞানের মুলনীতি প্রয়োগ করে পরিমার্জিত করতে হবে । এব্যাপারে ব্যবস্হা নিতে ইসলামী আইনবিদ্যা কেন্দ্রকে অনুরোদ করছি ।পরিমার্জিত এ হিজরী ক্যালেন্ডার বিশ্বের সব মুসলিমকে রোজা ও অন্যান্য উৎসবগুলোতে ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করবে । এবিষয়ে বিভক্তি ও অনৈক্য দুর করতে মুসলিম বিশ্বের ধর্মীয় ও নেতৃস্হানীয় কর্তাব্যক্তিদের এক সাথে কাজ করতে আহবান জানাচ্ছি । জেদ্দা : ২৮ অক্টোবর ২০০৬ “ ( দেখুন: Click This Link 2006/hilal.htm )


বিশ্বব্যাপী চার দিন ধরে মুসলিম উৎসবগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণসমূহ :

 বিশ্বব্যাপী চার দিন ধরে মুসলিম উৎসবগুলো অনুষ্ঠিত হওয়ার কারণসমূহের একটি প্রধান কারণ হলো – হিজরী সন গণনা কৌশলের ভিন্নতা এবং মুসলিম প্রধান ও সংখ্যালঘু মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে সমান্নয়হীনতা । দেশ অনুযায়ী হিজরী সন গণণা পদ্ধতির ভিন্নতা রয়েছে । যেমন :

১. দেশের রাজনৈতিক সীমার মধ্যস্হ স্হলভাগে খালি চোখে নতুন চাঁদ দেখার খবর প্রচার করে দেশে হিজরী সনের মাস শুরু করা । যেমন : বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ওমান,মরক্কো এবং ত্রিনিদাদ- টোবাগো ।

 ২.চাঁদের জন্ম ও মক্কায় সূর্যাস্তের পর চাঁদ অস্ত যাওয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানের তথ্য দিয়ে অগ্রিম ক্যালেন্ডার প্রস্তুত করা । বিশষে কোন কারণে কখনো রোজা ও হজের মাস এক দিন এগিয়ে আনা । যেমন : সৌদি আরব ।

৩.সৌদি আরবের ঘোষনা অনুসরন করা । যেমন : কাতার, কুয়েত, আরব আমিরাত, বাহরাইন, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন ।

৪.মাসের ২৯তম দিনে চাঁদের জন্ম ও সূর্যাস্তের ৫মিনিট পর চাঁদ অস্ত গেলে নতুন মাস শুরু করা । যেমন : মিসর ।

৫.পাশবর্তী দেশ হতে মাস শুরু করার খবর সংগ্রহ করা । যেমন : নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়া হতে , মালদ্বীপ শ্রীলন্কা হতে খবর সংগ্রহ করে রোজা ও ঈদ করে ।

৬.বিশ্বে প্রথম মাস শুরুর ঘোষক দেশের অনুসরন করা । যেমন: ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেশগুলো , জ্যামাইকা, বার্বাডোস

৭. চাঁদের বয়স, উচ্চতা, সূর্যাস্ত ও চাঁদ অস্ত যাওয়ার সময়ের ব্যবধান বিবেচনা করে মাস শুরু করা । যেমন: আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া

৮.নিজস্ব ভুখন্ডে ফজরের আগে চাঁদের জন্ম বিবেচনা করে মাস শুরু করা । যেমন: লিবিয়া

৯.চাঁদের বয়স ৮ ঘন্টা, উচ্চতা ২ ডিগ্রী, কৌনিক ব্যবধান ৩ ডিগ্রী এর বেশী হলে মাস শুরু করা । যেমন: মালয়েশিয়া, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর ১০. আগেই পাটীগণিতের সুত্র দিয়ে অগ্রীম পন্জিকা বানানো । যেমন : ইসমাইলিয়া ও কাদিয়ানী । মুলত এরা অমুসলিম জাতি । ১১. আন্তজার্তিক ক্ষেত্রে পরিচিত দুরর্বতী দেশকে অনুসরন । যেমন : মালয়েশিয়াকে জাপান, তাইওয়ান,কোরিয়া, পালাউ অনুসরন করে ১২. বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানদন্দ ব্যবহার করা । যেমন: নাইজেরিয়া সহ আফ্রিকার কিছু দেশ । ১৩. বিশ্বের কোথাও সর্বপ্রথম নতুন চাঁদ দেখার বা তার সম্ভাবনাকে বিবেচনা করা । যেমন: লেবানন ১৪. ৪৮০ মাইল দূরত্বকে নতুন চাঁদ দেখার ভিন্ন উদয় অঞ্চল বিবেচনা করে খালি চোখে নতুন চাঁদ দেখে একই দেশে দুই দিন মাস শুরু করা । যেমন: ভারতের পশ্চিম বাংলা, ত্রিপুরা, মনিপুর, গুজরাট সহ বিভিন্ন প্রদেশ । ১৫.বিশ্বের কোথাও সর্বপ্রথম চাঁদের জন্ম এবং মক্কার সূর্যাস্তের পর চাঁদের অস্ত যাওয়ার মাধ্যমে মাস শুরু করার ঘোষনা করা । এ পদ্ধতিতে বিশ্বের কোথাও না কোথাও নতুন চাঁদ দেখার সম্ভাবনাকে বিবেচনা করা হয় তা খালি চোখেই হোক বা শক্তিশালী দুরবীন দিয়েই হোক। যেমন: আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ইসলামী আইনবিদ পরিষদ এবং ইউরোপিয়ান কাউন্সিল অব ফাতওয়া এন্ড রিচার্সের নিয়ন্ত্রনাধীন এলাকা ও দেশসমূহ । (দেখুন: http://www.moonsighting.com/methods.html ) এধরনের ভিন্ন ভিন্ন মানদন্দের ভিত্তিতে মাস শুরুর করায় মুসলিম বিশ্বে বিচ্ছিন্নতা ও অনৈক্য তৈরী হয়েছে এবং ধর্মীয় উৎসবগুলো সার্বজনীনতা ও ধর্মীয় তাৎপর্য হারাচ্ছে । এঅবস্হা এক সময় অন্যান্য ধর্মানুসারীদের ক্ষেত্রেও ঘটেছিল ।কিন্তু তারা এঅবস্হা কাটিয়ে ওঠেছে । যেমন : খ্রীষ্টাব্দকে জুলিয়াস সিজার ও পোপ গ্রেগরী সংস্কার সাধন করলেও দেশ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন তারিখ ব্যবহার হতো । ১৮৮৪ সালে এক আন্তজার্তিক সম্বেলনের মাধ্যমে খ্রীষ্টাব্দকে পরিমার্জিত করা হয় ।


সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ করার বিষয়ে ও.আই.সি এর বিভিন্ন প্রস্তাবএবং সিদ্ধান্ত নিয়েছে । দেখুন http://www.oic-oci.org/home.asp ( ও.আই.সি-র ওয়েব সাইট ) ‌ ও.আই.সি ( ইসলামী সহযোগিতা সংস্হা ) - র অন্তর্ভুক্ত সদস্য দেশগুলোর পররাস্ট্র মন্ত্রীদের সম্বেলনে সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ করার জন্য গ্রহন করা প্রস্তাবের লিংক দেওয়া হল :

1. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/11/11 icfm-cultural-en.htm RESOLUTION No. 14/11-C ON THE DRAWING UP OF A UNIFORM LUNAR CALENDAR

2. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/12/12 icfm-cultural-en.htm RESOLUTION NO. 8/12-C THE ESTABLISHMENT OF A CALENDAR OF LUNAR MONTHS AND MUSLIM HOLIDAYS

3. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/13/13 icfm-cultural-en.htm RESOLUTION NO. 11/13-C ESTABLISHMENT OF A CALENDAR FOR THE BEGINNING OF LUNAR MONTHS AND UNIFICATION OF ISLAMIC HOLIDAYS

4. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/14/14 icfm-cult-en.htm RESOLUTION NO. 19/14-C ON THE STANDARDIZATION OF LUNAR MONTHS AND ISLAMIC HOLIDAYS

5. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/15/15 icfm-cult-en.htm RESOLUTION NO.17/15-C ON THE UNIFICATION OF THE BEGINNING OF LUNAR MONTHS AND ISLAMIC HOLIDAYS

6. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/16/16 icfm-cult-en.htm RESOLUTION NO.13/16-C THE UNIFIED HIJRI CALENDAR FOR THE BEGINNING OF LUNAR MONTHS AND THE UNIFICATION OF ISLAMIC FESTIVALS

7. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/17/17 icfm-cult-en.htm RESOLUTION NO. 16/17-C ON THE UNIFIED HEJIRA CALENDAR FOR THE BEGINNING OF LUNAR MONTH AND THE UNIFICATION OF ISLAMIC FESTIVALS

8. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/18/18 icfm-cult-en.htm RESOLUTION 18/18-C ON THE UNIFIED HIJRI CALENDAR FOR THE BEGINNING OF LUNAR MONTHS AND THE UNIFICATION OF ISLAMIC FESTIVALS

9. http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/19/19 icfm-cult-en.htm RESOLUTION NO. 24/19-C ON THE UNIFIED HIJRI CALENDAR FOR THE BEGINNING OF LUNAR MONTHS AND THE UNIFICATION OF ISLAMIC FESTIVALS

10. ISTANBUL, REPUBLIC OF TURKEY 24-28 MUHARRAM 1412H, 4-8 AUGUST 1991

11. Click This Link resolution.htm RESOLUTION NO.12/21-C UNIFIED HIJRI CALENDAR FOR THE BEGINNING OF LUNAR MONTHS AND THE UNIFICATION OF ISLAMIC FESTIVALS

12. Click This Link RESOLUTION NO.13/22-C ON THE UNIFIED HIJRI CALENDAR FOR THE BEGINNING OF LUNAR MONTHS AND THE UNIFICATION OF ISLAMIC HOLIDAYS

13. Click This Link RESOLUTION NO.15/23-C ON THE UNIFIED HIJRI CALENDAR FOR THE BEGINNING OF LUNAR MONTH AND THE UNIFICATION OF ISLAMIC HOLIDAYS

14. Click This Link RESOLUTION NO.16/24-C ON THE UNIFIED HIJRI CALENDAR FOR THE BEGINNING OF LUNAR MONTH AND THE UNIFICATION OF ISLAMIC HOLIDAYS

15. Click This Link Resolution No. 16/25-C on the Unified Hijri Calendar for the Beginning of Lunar Months and the Unification of Islamic Holidays.

16.http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/26/Resolutions26-C.htm Resolution No. 18/26C On the Unified Hijri Calendar for the Beginning of Lunar Months and the Unification of Islamic Holidays.

17.http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/27/27th-fm-cultural.htm RESOLUTION NO. 18/27-C On the Unified Hijri Calendar for the Beginning of Lunar Months and the Unification of Islamic Holidays.

18.http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/28/28-ICFM-CS1-en.htm Resolution No. 4/28-C On the Unified Hijri Calendar for the Beginning of Lunar Months and the Unification of Islamic Holidays.

19.http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/29/29%20icfm-cult-e.htm Resolution No. 4/29-C On the Unified Hijri Calendar for the Beginning of Lunar Months and the Unification of Islamic Holidays.

20.http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/30/30%20icfm-cul1-e.htm RESOLUTION NO. 4/30-C On the Unified Hijri Calendar for the Beginning of Lunar Months and the Unification of Islamic Holidays.

21.http://www.oic-oci.org/english/conf/fm/31/31%20icfm-main-e.htm ISTANBUL, REPUBLIC OF TURKEY 26-28 RABIUL THANI 1425H (14-16 JUNE 2004)

 22. Click This Link Page no: 7 The unified Hijri calendar for the beginnings of the Lunar Months and the Unification of Islamic Holidays.

23. Click This Link RESOLUTION NO. 1/33-C ON GENERAL CULTURAL MATTERS D) The Unified Hijri Calendar of the Islamic Holidays

24.http://www.oic-oci.org/34icfm/english/resolution/34ICFM--CS-RES-FINAL-ENG.pdf Page no: 3 The Unified Hijri Calendar

25.http://www.oic-oci.org/35cfm/english/res/35-CFM-RES-CUL-FINAL.pdf Page no: 6 The Unified Hijri Calendar

26.http://www.oic-oci.org/36cfm/w/en/res/36CFM-CS-RES-FINAL.pdf Page no: 4 The Unified Hijri Calendar

 27. Click This Link Resolution on The Unified Hijri Calendar : page no:7 28.http://www.oic-oci.org/38cfm/en/documents/res/CUL-RES-38-CFM-FINAL-2.pdf Resolution on The Unified Hijri Calendar . Page no: 6

 ও.আই.সি ( ইসলামী সহযোগিতা সংস্হা ) - র অন্তর্ভুক্ত সদস্য দেশগুলোর রাস্ট্র প্রধানদের নিয়ে করা ইসলামী সম্বেলনে সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ করার জন্য গ্রহন করা প্রস্তাবের লিংক দেওয়া হল :

1. Click This Link DOHA - STATE OF QATAR 16-17 SHABAN, 1421H 12-13 NOVEMBER, 2000 RESOLUTION NO. 18/9-C (IS) ON THE UNIFIED HIJRI CALENDAR FOR THE BEGINNINGS OF LUNAR MONTHS AND THE UNIFICATION OF ISLAMIC HOLIDAYS

2. Click This Link PUTRAJAYA, MALAYSIA 20-21 SHA’BAN 1424H 16-17 OCTOBER 2003 d) THE UNIFIED HIJRI CALENDAR FOR THE BEGINNINGS OF LUNAR MONTHS AND THE UNIFICATION OF ISLAMIC HOLIDAYS 3. Click This Link DAKAR,SENEGAL 6-7 Rabiulawal 1429 H (13-14 March 2008) The unified hijri calendar, page 3


অর্থাৎ ও.আই সি তার প্রতিস্ঠার পর হতে সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ করা এবং হিজরী সনকে সদস্য দেশগুলোতে সার্বজনীনভাবে ব্যবহার করার জন্য এর্যন্ত ৩১ বার প্রস্তাব গ্রহণ করেছে । এজন্য এবিষয়ে ও.আই.সি ইসলামী আইনবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী , তথ্য প্রযুক্তিবিদ, আবহাওয়াবিদ এবং গণিতবিদদের নিয়ে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে । এতে বাংলাদেশ জোড়ালো ভুমিকা পালন করেছে যার কারণ আমরা দেখি ১৯৮৩ সালের ৬ হতে ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ও.আই.সি-র সব সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ১৪ তম সম্বেলনে বাংলাদেশে একটা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর প্রস্তাব ( বর্তমানে এটি ও.আই.সি বানিয়ে ফেলেছে , দেখুন http://www.iutoic-dhaka.edu/ ) এবং সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ ও হিজরী ক্যালেন্ডার ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয় ( RESOLUTION NO. 19/14-C THE STANDARDIZATION OF LUNAR MONTHS AND ISLAMIC HOLIDAYS দেখুন : Click This Link NO. 19/14-C) ।

সুতরাং এক্ষেত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ প্রশংসনীয় ভুমিকা রাখছে । বিশ্বের ৫৭টি মুসলিম দেশ এবং সকল মুসলিমের প্রতিনিধিত্বকারী বিশ্ব মুসলিম সংগঠন ও, আই, সি-এর ফিকহ একাডেমী ১৯৮৬ সনের ১১-১৬ অক্টোবর জর্ডানের রাজধানী আম্মানে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনে শতাধিক শরীয়াহ্‌ বিশেষজ্ঞের সর্ব সম্মতিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে, “বিশ্বের কোন এক দেশে চাঁদ দেখা গেলে সকল মুসলিমকে ঐ দেখার ভিত্তিতেই আমল করতে হবে।”


( দেখুন : http://www.newmoonbd.com/oic_decision.php http://sonarbangladesh.com/blog/fakhrul/55104 ) বিশ্বব্যাপী ভিন্ন ভিন্ন দিনে ঈদ হওয়া ও.আই.সি -র সিদ্ধান্ত বিরোধী । আমাদের এবিষয়টি নিয়ে ভাবতে হবে ।এজন্য জনমত গঠন করতে হবে । ( ভিজিট করুন এবং এসম্পর্কে জানুন : http://hijri-calendar.blogspot.com/ এবং Click This Link )





০ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:০১ একাকী বালক বলেছেন: ভাইরে কি এইটা কি ইস্যু তুললেন। এমনিতেই অনেক বিষয়ে মত মিলে না মওলানাদের। ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:১৪ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন: ঈদ মুবারক । আপনার উৎসব পালন মহিমান্বিত হোক । চাঁদ দেখে দেশে দেশে ঈদ করার সুযোগ নেই ।এটা ও.আই.সি-র সিদ্ধান্তবিরোধী । এটা মুসলিমদের একতা নষ্ট করছে । মুসলিমদের বিজ্ঞান বিমুখ, কুসংস্কারাচ্ছন্ন এবং বাস্তবতাবোধ বর্জিত জাতিতে পরিনত করেছে । এজন্য জনমত গঠন করতে হবে । এ সম্পর্কে সামুতে আমার পোস্ট দেখুন http://sonarbangladesh.com/blog/fakhrul/55104 http://hijri-calendar.blogspot.com/ এবং Click This Link এ আমার লেখাগুলো দেখবেন । এ অবস্হা দুর করার জন্য আমাদের জিওদার্নো ব্রুনো আর গ্যালিলিও মতো হতে হবে । বেশী নয় বড়জোড় দশ বার জন হলেই হবে । মুসলিম বিশ্বে এদের মতো লোকের বড় অভাব ।


২ ।৩০ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:১৬ শ্ বলেছেন:

আমাদের ভাবা উচিত । ৩ ।৩০ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৩৬

মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন: ঈদ মুবারক । আপনার উৎসব পালন মহিমান্বিত হোক । এজন্য জনমত গঠন করতে হবে ।

৪ ।৩০ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৪:৫৮ নিহান বলেছেন:

বিশ্বব্যাপী চার দিন ধরে মুসলিম উৎসবগুলো পালন হওয়া উচিত নয় --- এব্যাপারে আপনার সাথে আমি একমত । কিন্তু সারা পৃথিবীতে আবার এক দিনেও রোজা বা ঈদ করা সম্ভব নয় । নিচের ভিডিওগুলো দেখলে আশা করি বুঝতে পারবেন । ১৪৩০ হিজরী - পর্ব ৫ ১৪৩০ হিজরী - পর্ব ১ ১৪৩০ হিজরী - পর্ব ২ ১৪৩০ হিজরী - পর্ব ৩ ১৪৩০ হিজরী - পর্ব ৪

৫ ।৩০ শে আগস্ট, ২০১১ ভোর ৫:০৬ নিহান বলেছেন: ১৪৩১ হিজরীর এই ভিডিও টি দেখলে আরও ভালো করে বুঝতে পারবেন ---->

৬ ।৩০ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:১৫ [বাকের ভাই] বলেছেন: ব্যাপক গবেষনার্মী পোষ্ট হাচিনা না কইলে তো আমাগো দ্যাশে আবার ঈদ অয়না ! ।

৩০ শে আগস্ট, ২০১১ সকাল ৯:৩৭ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন:

ভাই কাজের জন্য বের হবো । অনেক কিছু লিখতে চাচ্ছিলাম । ভাই ভাল থাকবেন । সুস্হ থাকবেন । আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা । ঈদ মুবারক । আপনার উৎসব পালন মহিমান্বিত হোক ।

৭ ।৩০ শে আগস্ট, ২০১১ দুপুর ১২:৫৬ মাহফুজশান্ত বলেছেন: নিহান বলেছেন:

বিশ্বব্যাপী চার দিন ধরে মুসলিম উৎসবগুলো পালন হওয়া উচিত নয় --- এব্যাপারে আপনার সাথে আমি একমত। কিন্তু সারা পৃথিবীতে আবার একই সময়ে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা সম্ভব নয়, তেমনি এক দিনে রোজা শুরু ও শেষ বা ঈদ করাও সম্ভব নয়। তবে এ ব্যাপারে সামঞ্জস্য বিধান করা জরুরী বটে- বুখারী শরীফের হাদিছ:- আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রাঃ) হতে বর্ণিত: তিনি বলেন, হুজর (সাঃ) রমজান সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে বলেন, তোমরা (রমজানের) চাঁদ না দেখে রোজা রেখ না। আর (শাওয়ালের) চাঁদ না দেখা পর্যন্ত ইফতারও (রোজা শেষ) করবে না । আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে হিসাব কর অর্থাৎ (চাঁদ দেখা না গেলে) ত্রিশ দিন পূর্ণ কর। (এ ধরনের আরও কয়েকটি হাদিছ আছে) আপনার চিন্তাশক্তিকে মহান আল্লাহ যেন আরও শানিত করে দেন এবং ইসলামের খেদমতে নিয়োগ করেন- ঈদের শুভেচ্ছা- ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৫৪ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন:

ঈদ মুবারক । আপনার উৎসব পালন মহিমান্বিত হোক । আমার সাথেই থাকুন । আমাকে ছেড়ে যাবেন না । কোন ভুল করলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন ।

৮ ।৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:০৭ মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন:
ইজমাহ হয়ে যাবার পর (১৯৯১ সালের ও আই সি এর ১৮ নম্বর রেজুলেশন দ্রষ্টব্য) এ বিষয়ে আর কোন কথা চলে না, একই দিনে (একই সময়ে না, এটা শুধুই গোঁড়াদের কথা) ঈদ করতে কোন সমস্যা নাই। হাদীস কোরান স্পষ্ট ভাবে এ বিষয়ে বিধান দেয়া হয়েছে। একই সময়ে নামায হয় না বলে একই দিনে ঈদ হতে পারবে না এমন কথা শুধু এ বিষয়ে জ্ঞানহীন-চিন্তাহীন ব্যক্তিরাই বলে থাকেন। কেউ এখনো একে মিথ্যা বা যুক্তিহীন প্রমান তো থাক দূরের কথা, কোন বিপক্ষেই কথা বলতে পারেন না। কথা সোজা, সারা মুসলমান বিশ্ব একই দিনে ঈদ বহু বহু আগ থেকেই পালন করে, আমরা ই উপমহাদেশের কয়েকজন এ বিষয় মানতে পারছি না, এটা নিতান্তই আমাদের এই উপমহাদেশের (বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্তান) মুসলমানদের দৈন্যতা। ধন্যবাদ।

৯ ।৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:২৬ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন:

"কথা সোজা, মুসলমানরা সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ বহু বহু আগ থেকেই পালন করে, আমরাই উপমহাদেশের কয়েকজন এ বিষয় মানতে পারছি না, এটা নিতান্তই আমাদের এই উপমহাদেশের (বাংলাদেশ,ভারত,পাকিস্তান) মুসলমানদের দৈন্যতা।" এ তথ্য আমি আমার বইয়ে উপস্হাপন করার চেষ্টা করছি । সারা বিশ্ব একই দিনে ঈদ করার জন্য জনমত গড়ে তোলতে হবে । আপনাকে ধন্যবাদ ।

১০ ।৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:৫১ রাহীম বলেছেন:

আজ কয়েকদিন যাবত দেখছি আপনি মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন । সোনার বাংলা ব্লগে ও এই ব্লগে আল্লাহ আপনাকে হেদায়েত দিক । আপনি নিজে নিজে দাবি করেছেন আপনি বিজ্ঞলোক , সব কিছু জানেন; যদি তাই হয় তবে আপনি বড়ই ফেৎনাবাজ। আল্লাহকে ভয় করুন । আপনি সত্য গোপন করছেন । আর যদি আপনি না জানেন অন্য আলেমদের সহায়তা নিন । প্রত্যেক দেশের অধিবাসীদের জন্য তাদের চাঁদ দেখা তাদের ক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য অন্য দেশি মানুষের জন্য নয় । হাদিসঃ ইয়াহইয়া ইবনে ইয়াহইয়া, ইয়াহইয়া ইবনে আইয়্যুব, কুতাইবাহ এবং এবনে হজর (রঃ) রেওয়ায়েত করেছেন, কুরাইব (রঃ) বলেছেন যে, উম্মে ফজল বিনতে হারেস তাকে সিরিয়ায় মুআবিয়া (রাঃ)-নিকট প্রেরণ করলেন। (কুরাইব বলেন) আমি সিরিয়ায় পৌঁছে তার কাজটি সমপন্ন করলাম। আমি সিরিয়ায় থাকাকালেই রমজানের চাঁদ দেখা গেল । জুমআর দিন সন্ধায় আমি চাঁদ দেখলাম। তারপর রমজান শেষভাগে আমি মদীনায় প্রত্যাবর্তন করলাম। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস আমার নিকট চাঁদ দেখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে সে বিষয়ে আলোচলা করলেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কোন চাঁদ দেখেছিলে? আমি বললাম যে, হ্যাঁ, আমি নিজেই দেখেছি এবং অন্যান্য লোকেরা ও দেখেছে। তারা রোজা রেখেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ)-ও রোজা রেখেছেন। তিনি বললেন, আমরা কিন্তু শনিবার সন্ধায় চাঁদ দেখেছি। আমরা রোজা রেখে যেতে থাকব এবং শেষ পর্যন্ত ত্রিশদিন পুরা করব। অথবা চাঁদ দেখি বা না দেখি । আমি বললাম, মুআবিয়া(রাঃ)-এর চাঁদ দেখা এবং রোজা রাখা আপনি কি যথেষ্ট মনে করেন না? তিনি বললেন, না। কেননা রাসূলে পাক (সাঃ) আমাদেরকে এরূপ করার জন্য আদেশ করেছেন । (মুসলিম, হাদিস নং২৩৯৭) আশা করি আপনি আপনার ভুল বুঝতে পারবেন । মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা চান । ব্লগেই তা মানুষকে জানিয়ে দিন । ধন্যবাদ । ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৩৮ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন: আপনি আমার সম্পর্কে লিখেছেন "আপনি নিজে নিজে দাবি করেছেন আপনি বিজ্ঞলোক , সব কিছু জানেন; যদি তাই হয় তবে আপনি বড়ই ফেৎনাবাজ।" দেখুন, আমি কোথায় লিখেছি," আমি বিজ্ঞ লোক । সব কিছু জানি । "

আমি যে লিংক দিয়েছি সেগুলোতে ও.আই.সি -র মহাসচিবের প্রেস রিলিজ এবং এসংগঠনের অগ্রাধিকার সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ করা ও হিজরী ক্যালেন্ডারকে মুসলিম দেশগুলোর ক্যালেন্ডার হিসেবে গ্রহণ করতে সদস্য দেশগুলোকে উদ্যমী করা । এ লক্ষ্যে এ সংগঠন তার প্রতিষ্টা লগ্ন হতে প্রস্তাব, সুপারিশ ও সম্বেলন করেছে এবং যত দিন না এটি বাস্তবে রূপ না নিবে ততদিন করে যাবেই । ইনশাআল্লাহ এধরনের সম্বেলন বাংলাদেশে হবে যাতে সারা বিশ্বের নামকরা আলেমসহ বিজ্ঞানী ও এবিষয়ের সমজদাররা উপস্হিত থাকবেন । ১৯৮৩ সালের ৬ হতে ১১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে ও.আই.সি-র সব সদস্য দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ১৪ তম সম্বেলনে বাংলাদেশে একটা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় বানানোর প্রস্তাব ( বর্তমানে এটি ও.আই.সি বানিয়ে ফেলেছে , দেখুন http://www.iutoic-dhaka.edu/ ) এবং সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ ও হিজরী ক্যালেন্ডার ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয় ( RESOLUTION NO. 19/14-C THE STANDARDIZATION OF LUNAR MONTHS AND ISLAMIC HOLIDAYS দেখুন : Click This Link NO. 19/14-C) । সুতরাং ফেতনাবাজ বলতে হয়ে প্রকারান্তরে মুসলিম দেশগুলোর সংগঠন ও.আই.সি এবং বাংলাদেশ সরকারকে । আর আপনি যে হাদিসের কথা বলেছেন তা হাদিস গ্রহণ এবং বর্জনের নীতি অনুযায়ী এ হাদিসটি মওকুফ, আছার, মুদতারাব, হাসান হওয়ায় ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফয়ী, ইমাম মালেক (রহ.) গ্রহণ করেননি । আর চাঁদ দেখায় উদয়স্হলের ভিন্নতার মাসলা-মাসায়েল খ্রীস্টানরা মাদ্রাসার সিলেবাসে অন্তর্ভুক্ত করেছে মুসলিমদের একতা নষ্ট করার জন্য । আপনি হয়ত জানেন যে কলকাতায় ইংরেজরা যে আলীয়া মাদ্রাসা স্হাপন করে (বর্তমানে তা ঢাকায় স্হানান্তর করা হয়েছে) তাতে প্রায় ১৫০ বছর খৃস্টান ও ইহুদীরা অধ্যক্ষ (শীর্ষপদ) হতো এবং কি পড়ানো হবে তা নির্ধারন করতো । মুসলিম বিশ্বে একই দিনে ঈদ না হওয়ার পেছনে এদের কুটকৌশলও দায়ী । অমুসলিমরা বুঝেছে যে মুসলিমদের সাথে যুদ্ধ করে জীততে হলে বুদ্ধির জোড়ে জিততে হবে । মাযহাবের ইমামরা ও তার ছাত্রদের কাছে কি আপনার হাদিস আর উদয়স্হলের ভিন্নতার সম্পর্কে তথ্য ছিল না ? উত্তর অবশ্যই ছিল। উদয়স্হলের বিন্নতা অগ্রহণযোগ্য বলে সংখ্যাগরিস্ঠ ইমামগণ (শাফেয়ী মাযহাবের কিছু অংশ ছাড়া) তাদের গবেষণা গ্রন্হে রায় দিয়েছেন । কারণ উদয়স্হল অসংখ্য । এর ভিত্তিতে ভুমন্ডলকে ভাগ করা যায় না । আপনি যেখানে আছেন এই মুহুর্তে সেটা মহাকাশ বিজ্ঞান মতে একটা উদয়স্হল । সুতরাং উদয়স্হল অগণিত । উদয়স্হল মহাকাশ গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয় । আমাদের মান্যবর ইমামরা এগুলো জানতেন বলেই তারা বুঝেছিলেন উদয়স্হল ভিন্নতা উম্মতের মধ্যে বিচ্ছিন্নতার তুফান ছড়িয়ে দিবে । তাই তারা তাদের সময়ই বলে গেছেন উদয়স্হলের ভিন্নতা গ্রহণযোগ্য নয় । আর আপনার হাদিসটি কেন ইমাম (রহ.) রা গ্রহণ করেননি তার উপর আলাদা পোস্ট দিবো । সাথে থাকুন । আমাকে ছেড়ে যাবেন না । কোন ভুল করলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন । ১১ ।৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:০৯ মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন: @রাহীম আপনি বিজ্ঞ লোক, অতি উত্তম, কিন্তু আপনি বোধহয় সীমিত জ্ঞান নিয়ে মাঠে নেমেছেন। আপনি এত রেফারেন্সের পরেও কেন এই বেহুদা তর্ক করতেছেন? ঠিকাছে আমি আপনার কমেন্ট এর প্রসঙ্গ থেকে শুরু করি - আপনি যেই হাদীসটা বললেন সেটা এভাবে আছে - Sahl b. Sa'd said that when this verse was revealed: "Eat and drink till the white streak is distinct from the dark streak," a person would take hold of a white thread and a black thread and keep on eating till he could find them distinct (in the light of the dawn). It was then that Allah, the Majestic and Great, revealed (the words) min al-fajr (from the dawn), and then it became clear (that the word khait refers to the streak of light in the dawn). বাংলা অনুবাদ এরকম- আবুল বাখতারী থেকে বর্নিত- তিনি বলেন একবার আমরা ওমরাহ করার জন্যে বের হলাম। যখন আমরা (মক্কা ও তায়েফের মাঝামাঝি অবস্থিত) "বাতলে নাখলা" নামক স্থানে অবতরন করলাম সকলে মিলে চাঁদ দেখতে লাগলাম। লোকেদের মধ্যে কেউ কেউ বললো "এ তো তিনদিনের চাঁদ" কেউ বললো "দুই দিনের চাঁদ", তিনি জিজ্ঞেস করলেন তোমরা কোন রাতে চাঁদ দেখেছ? আমরা বললাম অমুক দিন অমুক রাতে। তিনি বললেন রাসূল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দিন রাতে চাঁদ দেখতেন ঐ দিনেরই তারিখ ধরতেন। সুতরাং চাঁদ সেই রাতেই উঠেছে যে রাতে তোমরা দেখেছ। এবার দেখুন, এখানে তো সরাসরি বলা হয়েছে উনি ধরতেন,তারমানে গ্রান্টেড হত সেই তারিখ তিনি যখন ঘোষনা দিতেন, তাছাড়া এ হাদীসটি একটু মনোযোগ দিয়ে পড়লে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন এই হাদীসটিও আমাদের ঐক্যের কথাই বলছে, আলাদা করে রোযা রাখাকে অনুতসাহিত করা হয়েছে। তাছাড়া হাদীসটির প্রেক্ষাপট ও কিছুটা ভিন্ন - {কথা মিলে যাওয়াতে এখান থেকে কপি করে দিলাম} এখানে উল্লেখ্য যে, মদীনা থেকে তৎকালীন সিরিয়ার দূরত্ব এত বেশী ছিল যে, একই দিনের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যোগাযোগ করা সম্ভবপর ছিলনা। ফলে, উভয় এলাকার মানুষ ভিন্ন তারিখে চাঁদ দেখে রোজা রেখেছে। পরের হাদীসটিতেও একই ব্যাপার ঘটেছে অর্থাৎ তাদের কাছে অন্য এলাকার কোনো তথ্য পৌঁছেনি,ফলে তাদেরকে নিজেদের মত করে চাঁদ দেখতে হয়েছে। যদি তাদেরকে ভিন্ন এলাকার কোনো লোক এসে “চাদ দেখা গেছে” এ সংবাদ দিত ,তাহলে তারা অবশ্যই তা গহন করতেন; পূর্বোক্ত হাদীস অনুযায়ী। এক্ষেত্রে শর্ত হল, যিনি/যারা চাঁদ দেখার বিষয়টি জানাচ্ছেন, তিনি/তারা বিশ্বাসযোগ্য কি না। যদি তিনি বা তারা বিশ্বাসযোগ্য হন তাহলে তার সাক্ষ্য গ্রহন করা হবে। বর্তমান কালে স্যাটেলাইট টেলিভিশন, ইন্টারনেটের কল্যানে চাঁদকে পৃথিবীর সকল এলাকাবাসীর সামনে সরাসরি উপস্থাপন করা যায়। সুন্নাহ অনুযায়ী এই চরম সত্য বিষয়টি গ্রহনযোগ্য হবার কথা। কিন্তু এটি গ্রহনযোগ্য না হলে একমাত্র আন্তর্জাতিক ভৌগলিক সীমারেখা বা রাজনৈতিক বিষয়টিই চাঁদ দেখা সংক্রান্ত বিষয়ের ক্ষেত্রে প্রধান বাঁধা হয়ে দাড়ায়, যা সরাসরি সুন্নাহ বিরোধী। এছাড়া কিছু কিছু এলাকাতে(মেরু এলাকাতে) ৬ মাস দিন এবং ৬ মাস রাত হয়। নরওয়েতে কখনই রাত বা সন্ধ্যা হয়না এবং ইউরোপের কয়েয়কটি দেশে কখনও কখনও দিন ২৩ ঘন্টা পর্যন্ত দীর্ঘায়িত হয়ে থাকে। এ সমস্ত ক্ষেত্রে তাদেরকে ভিন্ন এলাকার তথ্যের সাহায্যে রোজা এবং ঈদ পালন করতে হবে/হয়। কেউ যদি বলে, প্রত্যেক দেশের মানুষকে চাঁদ দেখতে হবে, তাহলে তার কাছে জানতে চাইব, নরওয়ে, গ্রিনল্যান্ড ইত্যাদী দেশে এবং উত্তর মেরু, দক্ষিন মেরুতে থাকা সহীহ মুসলিমদের কি হবে? জাতীয়তাবাদী চাঁদ তাদের জাতিকে স্বীকৃতি দিলনা রোজা বা ঈদ পালনের ! নাকি রোজার পূর্বে তাদেরকে দেশ ত্যাগ করে ‘সময়মত চাঁদ ওঠে’ এমন দেশে পাড়ি জমাতে হবে? আশা করি আপনি পরিষ্কার হয়েছেন। তারপরে আপনি কি ঐ সহীহ হাদীসটি জানেন না? একবার নবিজীর কাছে আরবের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এক বেদীন এসে নবিজীকে বললেন "ইয়া নবী আমি চাঁদ দেখেছি।" নবিজী তাকে প্রশ্ন করলেন "তুমি কি সাক্ষ্য দাও আল্লাহ এক ও মুহম্মদ (সাঃ) তার নবী" ? ঈঊ আরব বেদুঈন সাক্ষ্য দেয়ার সাথে সাথে আল্লাহর পেয়ারা নবী বললেন "হে বেলাল তুমি ঘোষনা করে দাও আগামীকাল ঈদ হবে" এর পরেও কি আপনার সংশয় আছে? থাকলে এই সংক্রান্ত হাদীসগুলো উল্লেখ করছি - রসূল সা: বলেন, তোমরা রোজা রাখবে না, যে পর্যন্ত না চাঁদ দেখতে পাও। একইভাবে তোমরা রোজা ভঙ্গ(ঈদ) করবে না, যে পর্যন্ত না শাওয়ালের চাঁদ দেখতে পাও। তবে যদি মেঘের কারনে তা তোমাদের কাছে গোপন থাকে, তবে শাবান মাস পূর্ণ করবে ত্রিশ দিনে। অপর বর্ণনায় আছে,তিঁনি(সা বলেন- মাস কখনও উনত্রিশ দিনেও হয়। (সূত্র: সহীহ বুখারী -৩য় খন্ড, ১৭৮৫-১৭৯০, সহীহ মুসলিম-৩য় খন্ড, ২৩৬৭-২৩৯৪) রোজা রাখ চাঁদ দেখে এবং রোজা ভঙ্গ করবে চাঁদ দেখে। যদি মেঘের কারনে চাঁদ গোপন থাকে, তবে সাবান মাস ত্রিশ দিনে পূর্ণ করবে। (সূত্র: সহীহ বুখারী ৩য় খন্ড, ১৭৮৫-১৭৯০, সহীহ মুসলিম ৩য় খন্ড, ২৩৬৭-২৩৯৪) “রসূল সা: আমাদের প্রতি নির্দেশ প্রদান করেন যে,আমরা যেন শাওয়ালের চাঁদ দেখাকে ইবাদত হিসেবে গুরুত্ব দেই। আর আমরা স্বচক্ষে যদি তা না দেখি তবে দুজন ন্যায় পরায়ন লোক এ ব্যাপারে স্বাক্ষ্য প্রদান করলে তখন আমরা যেন তাদের সাক্ষ্যের ওপর নির্ভর করি।“ (সূত্র:আবু দাউদ-৩য় খন্ড/২৩৩১,২৩৩২) এবার আপনি আমাকে দেখান এই সহীহ হাদীস এর কোন জায়গায় আল্লাহর নবী নিজ এলাকায় (ইসলামে কোন আলাদা অঞ্চলের অনুমোদন নাই,কোঠায় পেয়েছেন দেখাবেন দয়া করে ) চাঁদ দেখতে বলেছেন? নবিজী (সাঃ) কি জানতেন না যে নতুন চাঁদ পৃথিবীতে একবারই একটা ইউনিক সময়ে উদিত হয়, (আধুনিক এস্ট্রোনমিক্যাল সাইটগুলো দেখুন, নেক্সট নিউ মুন উইল এপিয়ার...... কোন সাইটে আলাদা দেশের জন্য নিউ মুনের কথা লেখা নাই ) তাছাড়া কথা হল নবিজী বলে দিয়েছেন আকাশ মেঘে ঢাকা থাকলে কি করতে হবে, আমল দ্বারা প্রমান করে গিয়েছেন কিভাবে চাঁদ এর খবর নিতে হবে। ঐ সময়ে ইসলাম ছিল সংঘবদ্ধ,তার পরে ইসলামের প্রসারের সাথে চাকা থেকে এখন ইন্টারনেট আবিষ্কার হয়েছে, আল্লাহর নবী কি এই কথাগুলো জানতেন না? অবশ্যই জানতেন, তিনি এই জন্যেই সমগ্র মুসলিম বিশ্বকে বলে গিয়েছেন চাঁদ দেখে রোযা রাখ এবং চাঁদ দেখে রোযা ভাঙ্গ, এটা সব মুসলমানকে বলে গিয়েছেন, তিনি যদি আলাদা করে বলতেই চাইতেন তাহলে বলতেন "তোমরা নিজ চোখে নিজ এলাকায় চাঁদ দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নিয়ো"। অথচ এরকমটা উনি বলেন নাই, ওজরের কারনে চাঁদের খবর না পাওয়া গেলে কি করতে হবে তাও তিনি বলে গিয়েছেন, চাঁদ এর খবর কিভাবে নিতে হবে তাও তিনি দেখিয়ে গিয়েছেন। তো উনি তো সবার নবী,উনি সবাইকে একটা কথা বা নির্দেশ দিবেন সেটা তো উনি আলাদা আলাদাভাবে দিতে পারেন না, উনি সবাইকে একসাথে দিয়েছেন,তাছাড়া বিশেষ ক্ষেত্রে কিভাবে আমল করতে হবে আল্লাহর কুদরতে সেই বিশেষ ক্ষেত্রগুলো তখনই নাযিল হয় এবং আল্লাহর নবী আমলের দ্বারা সব বিধান নিশ্চিত করে গিয়েছেন। তাছাড়া চারটি মাঝহাবেই সুস্পষ্টভাবেই এই বিষয়ে বলা আছে। মাঝহাব কেন মানতে হয় আশা করি জানেন। এবার আমার একটা প্রশ্নের উত্তর দেন, কোন পাকিস্তানি অধিবাসী যদি পাক-আফগান/পাক-চীন সীমান্তে চাঁদ দেখে (কোন দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেল তা কিন্তু নিশ্চিত নয়) তাহলে রোযা শুরুর এলান দিল তারপর পাক-ভারত সীমান্তে কোন ভারতীয় মুসলমান যদি চাঁদ না দেখে কিন্তু দশ গজ দূরত্বের মানুষকে রোযা রাখতে দেখছে সে কি করবে? সরকার তো আল্লাহ না বা বিধান ও না। বলেন। সে তো চাঁদ দেখল না, তার আকাশ সীমায় চাঁদ তো পরের দিন দেখা যাবে। তখন কি করবেন আপনার এই ফতোয়া দিয়ে? আপনি বললেন- আপনি নিজে নিজে দাবি করেছেন আপনি বিজ্ঞলোক , সব কিছু জানেন; যদি তাই হয় তবে আপনি বড়ই ফেৎনাবাজ। আল্লাহকে ভয় করুন । আপনি সত্য গোপন করছেন । আর যদি আপনি না জানেন অন্য আলেমদের সহায়তা নিন । আপনি কি করলেন? একটা হাদীস দিয়ে ও আই সি এর এতগুলা রেজুলেশনকে বাতিল করে দেয়ার একটা হাস্যকর প্রচেস্টা চালালেন,তাও হাদীসটা একটু এলাবোরেট করে। তা এই হাদীসটা কি ও আই সি এর এত বারের এত বিশ্ব বরেন্য আলেমগন জানতেন না? নাকি তারা আলেম না? তারা তো আমার দেশের পান খাওয়া পেটোয়া মোল্লাদের মত না,তারা এস্ট্রো ফিজিক্সের উপর জ্ঞানী গুনী স্কলারদের সাথে সমন্বয় করে এতবার এই ইউনিফিকেশনের কথা বলেছেন। আপনি নিজে একটা হাদীস জানলেন,সেটার প্রেক্ষাপট উল্লেখ না করে আপনি উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্যে উল্লেখ করলেন তো ফিত্নাটা কে সৃষ্টি করল? আপনি কি ৯৫ ভাগ সত্য গোপন করলেন না বা অজ্ঞতাকে ঢাকার চেস্টা করলেন না? আমার আরো একটি প্রশ্নের উত্তর দিন, এবার আমাদের পূর্বে প্রায় সব মুসলমান দেশ এবং পশ্চিমের সকল দেশ একসাথে মানে একই ঈদের (নিশ্চয়ই টিভিতে দেখেছেন বা দেখে থাকবেন) নামায পড়ল তো মাঝখানে এই পূর্ব পসচিমের মাঝে আমরা এই দ্বীপের মত উপমহাদেশ কোন হিসেবে করলাম না? ঐ সব মুসলিম দেশের সাথে কি অন্যান্য দেশের ২ থেকে ৮ ঘন্টার সময়ের পার্থক্য নাই? নাকি ঐ সব দেশে কোন আলেম নাই যারা আমাদের দেশের আলেমদের থেকে বেশি জানেন বা তারা সহীহ আমল করেন? সারা পৃথিবী একদিনে করলে,আর আপনি কোন হিসেবে এর বিরোধিতা করছেন? আপনি বললেন আলেম এর খোঁজ নিতে,আমি আপনাকে বাহাজের আমন্ত্রন জানালাম, এই শত বছরের আমল কোরান-হাদীস-ইজমাহ-ফতোয়া দ্বারা সিদ্ধ। বহু বাহাজে বহু আলেম হেরেছেন এবং হারবেন , কারন এটা কোন নিজেদের উদ্দেশ্যে মিথ্যা আচার না। আমি আপনাকে বাংলাদেশের বহু প্রখ্যাত আলেম-ওলামা (যারা আমাদের সাথে আমল করেন বা করেন না) এর লিখিত ডকুমেন্টস দিতে পারব যারা আমাদের এই আমলকে সহীহ বলে মেনে নিয়েছেন এবং আমি ব্যক্তিগতভাবে ই বায়তুল মুকাররম মসজিদের প্রধান ইমাম এর বক্তব্য জানি এ বিষয়ে, উনি পর্যন্ত এ বিষয়টি মানেন, তাছাড়া আরো বহু (প্রতিষ্ঠিত আলিয়া মাদ্রাসা থেকে শুরু করে ঢাবি এর প্রফেসর পর্যন্ত) প্রখ্যাত আলেম এই আমলকে সহীহ বলে মেনে নিয়েছেন,শুধু তাই নয় তারা নিজেরা উতসাহিত গবেষনা করে নিজেরা ফলাফল বের করে বই লিখে যাচ্ছেন। (উদাহরন্স্বরূপ - ঢাবি এর ড. শমশের আলী এবং টিএন্ডটি এর সাবেক মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক)। এনারা কোন পীর তো থাক দূরের কথা এনারা কোন তথাকথিত বিশেষ মতবাদের অনুসারীও না,উনারা জাস্ট সত্য খুজে যাচ্ছেন আর নিরপেক্ষতার ভূমিকা পালন করছেন, এজন্য এনাদের নাম উল্লেখ করলাম। খোদ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আল-হেলাল কমিটির সদস্য এই আমলের বাংলাদেশের বাস্তবায়নের একজন প্রতিষ্ঠা। এর পরে আপনি বলেন আর কোন আলেমকে বলব? দরকার হলে বলব। আসুন সত্য জানি অপরকে জানাই,শুধু শুধু নিজের জ্ঞান নিয়ে হঠাত করে আর এক জনের জ্ঞান কে ফ্যাত্না না বলি, এটাই বড় ফ্যাত্না ফ্যাসাদ। আর ফ্যাত্না ফ্যাসাদ যে হত্যার চেয়েও জঘন্যতম আশা করি জানেন। আর এভাবে একটি বিচ্ছিন্ন প্রেক্ষাপটের হাদীস টেনে তার ভুল ব্যাখ্যা করে বিভ্রান্তি ছড়াবেন না। আপনি ভুল ধরিয়ে দেন, আমি ও আমরা কানে ধরে যত জায়গায় কমেন্ট করেছি সব জায়গায় গিয়ে বলে আসব ভুল করেছি, আর আপনি তা না পারলে নিজের কাজে মনোযোগ দিন। দয়া করে গায়ে পড়ে এসে অল্প জ্ঞান নিয়ে (হয়ত আপনার জ্ঞান কম থাকতেই পারে এই বিষয়ে,বেশি থাকলে আমাদের জ্ঞানের আলোয় উদ্ভাসিত করুন) সেন্টিমেন্ট হয়ে তর্ক করতে এসে মানুষকে ভুল পথে নিবেন না বা বিভ্রান্ত করবেন না। ধন্যবাদ। আল্লাহ আমাদের সহনশীল করুন ও সঠিক পথ দেখান,। {আমরা সৌদির সাথে ঈদ করি না, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই আমাদের এই তরীকা মিলে যায়, আমাদের কোন সুবিশেষ উদ্দেশ্য নাই,আবার আমরা কোন বিশেষ মতবাদ বা পীরের অনুসারী নয়,আমাদের সামনে সত্য সমাগত হয়েছে এবং আমরা ভুল খুজে পাই নি, তাই আমল করছি এবং মানুষকে জানাচ্ছি,আপনারা হয়ত বছরে একবার এ নিয়ে কথা শুনেন এবং সেই সীমিত জ্ঞান নিয়ে উত্তেজিত হয়ে তর্ক করেন,যেটা আমরা আশা করি না ঠিক, তবে আমরাও চাই সবার সাথে ঈদ করতে,আমরা সাধারন মুসলমান,যতটুক জ্ঞান হয়েছে এবং যতদূর জেনেছি এবং বিভিন্ন বাহাজের ফলাফল দেখে আমরা সত্যকে মেনে নিতে কুন্ঠাবোধ করি নাই, তাই আশা করি আমাদের অবস্থান বুঝবেন ও বিষয়টি জ্ঞানের আলোয় অনুধাবন করার চেস্টা করবেন, এখানে আমার বা আপনার মানুষকে সত্য জানানো ব্যতিরেকে কোন প্রকার,কোন প্রকার উদ্দেশ্য নাই বা থাক উচিত নয়} যাযাকাল্লাহ খাইর। ঈদ মুবারক।


১২ ।৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৩৭ বিবেক বিবাগী বলেছেন: রহীম ভাই, আপনি কুরাইবের হাদিস একটা পাইসেন তো ওইটা নিয়েই ধরে আসেন। এটা হল একটা ওজরের হাদিস। যদি কোন কারণে চাঁদ ওঠার খবর নিশ্চিতরূপে না পাওয়া যায়, তাইলে সেই ওজরের ক্ষেত্রে এই হাদিসটা এপ্লিকেবল হয় যে, সেই ক্ষেত্রে মহানবী (স) এরূপ করার আদেশ দিয়েছেন। বুখারীর ওই হাদিস তো জানেন যে, মদীনার কেউ চাঁদ না দেখার পরও এক অচেনা বেদুঈন চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দেওয়ার পর মহানবী (স) ওই বেদুইন মুসলিম কিনা তা নিশ্চিত হয়ে ওই চাঁদ দেখার খবর গ্রহণ করেন। যাক ভাই, পড়াশোনা করেন, মাযহাবে এত বিজ্ঞ বিজ্ঞ ফকীহ গণ কি সিদ্ধান্ত দিসেন, জানার চেষ্টা করেন, কুরাইবের হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা বুকে ধারণ করে আত্মতৃপ্তিতে আর কত ভুগবেন। দেখেন, চাঁদ দেখার খবর নিশ্চিত ভাবে যতদূর যাবে, তার উপর আমল করতে হবে, এটাই শরীয়াতের সিদ্ধান্ত। দেশে দেশে আলাদা চাঁদ দেখার সিস্টেম তো দূরের কথা, ইসলামে আলাদা দেশ কনসেপ্ট টাই নাই। ওজর বশত তায়াম্মুম করা যায়, খবর না পাওয়া গেলে সেই ওজরে মহানবী (স) "সেইরূপ" করার আদেশ দেন, আর পানি পাওয়া গেলে ওজু করতে হয়, খবর নিশ্চিতরূপে পাওয়া গেলে সেই খবরের উপর আমল করতে হবে। এই এক কুরাইব হাদিসটাই তো আছে আপনাদের ভুল অস্বীকার করার ঢাল। হাহ. দুঃখ হয়। এক প্রখ্যাত আলেমকে বলার পর উনি বলেন, এটা মাতরুকুল আমল। অর্থাৎ শরীয়াহ গত ভাবে ঠিক, কিন্তু অনেকদিন পালন না করায় এটা মাতরুকুল আমল হয়ে গেছে। অনেকদিন জিহাদ করি না। তাই জিহাদও মাতরুকুল আমল বলে বাদ দিয়ে দিবেন, তাই না। মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা হ্রাস পাওয়ার ভয়ে আল্লাহ্‌র নিয়ম ফলো করতে আর কত ভ্রুকূটি করবেন। কিছু না জেনে ফখরুল ভাইকে ফিতনা সৃষ্টি কারী বলতেছেন। অথচ কত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আমরা ভুল করতেছি। আপনার এভাবে বলা উচিত ছিল, আমি কুরাইবের এই হাদিসটি জানি, এ বিষয়ে আপনার বক্তব্য কি? পড়াশোনা করেন। পড়াশোনা করলে নিজেই লজ্জা পাবেন। আর ভাববেন, এত দিন ধরে এই ভুল আঁকড়ে ছিলাম! আল্লাহ্‌ আপনাকে হেদায়েত দিন। হেদায়াতের মালিক আল্লাহ্‌। আপনার আর যত যুক্তি আছে, এটা সম্পর্কে আমাদের বক্তব্য জানতে চান। এক ধাক্কায় ফিতনা সৃষ্টি কারী বলে দেওয়া টা ঠিক না। এই যে কষ্ট করে কমেন্ট টা লিখতেছি, এখানে আমার একটা টাকার লাভ নাই। জাস্ট সত্য জানতে পারার পর আরেকজনকে সত্যটা খোঁজার জন্য অনুপ্রাণিত করার জন্য ঈমানী দ্বায়িত্বে কমেন্ট টা করলাম। ।

৩১ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:১৬ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন:

@ বিবেক বিবাগী "যদি কোন কারণে চাঁদ ওঠার খবর নিশ্চিতরূপে না পাওয়া যায়, তাইলে সেই ওজরের ক্ষেত্রে এই হাদিসটা এপ্লিকেবল হয় যে, সেই ক্ষেত্রে মহানবী (স) এরূপ করার আদেশ দিয়েছেন। " এ অংশটিতে "সেই ক্ষেত্রে মহানবী (স) এরূপ করার আদেশ দিয়েছেন।" আমার আপত্তি রয়েছে । কারণ মহানবী (স) কোন আদেশ দেননি । এটা একজন সাহাবীর "কিয়াস" মাত্র । আর এ হাদীসে সাক্ষ্য বাচক শব্দ নেই । আলোচিত কুরাইব নামক ব্যক্তি তাবেয়ী এবং সংবাদদাতা হিসাবে তিনি শুধু একমাত্র ব্যক্তি । এজন্য আব্বাস (রা.) কুরাইব এর খবর গ্রহণ করেন নাই । আর আব্বাস (রা.) তার নিজেই সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ করার পক্ষে হাদিস বর্ণনা করেছেন । আলোচিত হাদিসটি আছার অর্থাৎ সাহাবীর বানী বা কর্ম । এটি মওকুফ, আছার, মুদতারাব, হাসান হওয়ায় ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফয়ী, ইমাম মালেক (রহ.) গ্রহণ করেননি । হানাফি মাযহবের গ্রন্হ ফাতহুল কাদীরে এটি গ্রহণ না করার বিস্তারিত তথ্য রয়ৈছে ।


১৩ ।৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৩:০৫ পাগলাঘোড়াসিটিজি বলেছেন: ঈদ মোবারক ।৩১ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:৩৩ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন: ঈদ মোবারক । আমার পোস্ট পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।

১৪ ।৩১ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৩:৫০ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন: ঈদ মুবারক । আপনার উৎসব পালন মহিমান্বিত হোক । ১৫ ।৩১ শে আগস্ট, ২০১১ বিকাল ৪:০৮ বিবেক বিবাগী বলেছেন: নিহান ভাই, আপনার এই স্লাইড গুলো অনেক ধৈর্য ধরে দেখলাম ও খুবই হতাশ হলাম। এখানে মূল ব্যাপারটাই মিস করেছেন যারা বর্ণনা করেছেন এই ব্যাপারগুলো। বুখারীর হাদিসটি এই পোস্টের কমেন্টে আছে, সেখানে বলাই আছে, প্রত্যেক জনপদকে আলাদা আলাদা ভাবে চাঁদ দেখতে হবে না, যদি চাঁদের সংবাদ পেয়ে যায়। যেমন মদীনার কেউ চাঁদ দেখতে পায় নি, কিন্তু এক অচেনা বেদুইন দূর থেকে এসে চাঁদ দেখার সাক্ষ্য দেয়। সেটাই গ্রহণ করা হয়। এভাবেই মহানবী (স) এর যুগে ও খুলাফায়ে রাশেদীনের যুগে পালন করা হয়, নতুন চাঁদ ওঠার খবর সেই সময় ওই মুসলিম জাহানে পৌছে যেত। যখন খিলাফতে রাজতন্ত্রের মাধ্যমে খলিফা হওয়া মুয়াবিয়া মুসলিম জাহান আরও সম্প্রসারণ লাভ করে, তখনকার হাদিস হল কুরাইবের হাদিসটি, যে অস্পষ্ট হাদিসটি বোঝায় যে চাঁদ ওঠার খবর যদি না পৌছায়, তবে স্থানীয় ভাবেই তা পালন করা হবে। এখন এখানে বলা আছে একই দিনে ঈদ হতে পারে না, রোজা শুরু হতে পারে না, কারণ কি, সকল জায়গায় চাঁদ দেখা যায় না প্রথম দিনে, যেটা দু'দিন পর, এক দিন পর দেখা যায়, সেটা "হেলাল" বা নতুন চাঁদ না, সেটা হয়ে যায় ততক্ষণে নরমাল "ক্বামার", যেটা দেখে নবীজি রোজা, ঈদ পালন করতে বলেন নি, বলেছেন হেলাল দেখে। হেলালের সংজ্ঞা সূরা বাকারার ১৮৯ নং আয়াতে স্পষ্টভাবে বলা আছে। অর্থাৎ প্রথম দিন নিউজিল্যান্ডে চাঁদ নাও দেখা যায়, নতুন চাঁদ ওঠার খবর তাদের কাছে পৌছে যাবে, এজন্য শরীয়াহ অনুসারে সেই চাঁদের উপর আমল করতে হবে। আর স্যাটেলাইটের যে চিত্র দেখালেন, এটা আগে থেকেই নির্ভুলভাবে প্রেডিক্ট করা যায়। এর থেকেই জানা যায় কবে কোথায় পৃথিবীতে নতুন চাঁদ উঠবে। ঘড়ি দেখে যেভাবে নিভুঁলভাবে সূর্যাস্ত সূর্যোদয় মেপে আমরা সালাত পড়ি, ঠিক এভাবে নির্ভৃলভাবে জানা যায় কবে কতক্ষণ চাঁদ উঠবে। এই যে বাংলাদেশে কি করা হয়, এই ভূখন্ডের কোন জেলায় চাঁদ দেখা গেছে কিনা, এই খবর পেয়ে সারা দেশে ঈদ রোজা পালন করতে বলা হয়। আগে পশ্চিম পাকিস্তানের দেখা দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানে ঈদ রোজা পালন হত। এই ভিডিও গুলো যারা প্রচার করছে, তাদের চাঁদ দেখার উপর কিভাবে আমল করতে হয়, তার একেবারে মৌলিকতম জ্ঞানটিও নেই, ওদের কথা এমন যেন পৃথিবীতে যতটুকু অংশে নতুন চাঁদ দেখা যাবে, ততটুকু অংশে নতুন তারিখ শুরু হবে, অথচ এটি নতুন চাঁদ উদিত যে পৃথিবীতে হয়েছে, এই খবরের নিশ্চয়তার উপর নির্ভর করে। মাযহাবগুলো তে যে সিদ্ধান্ত দেওয়া আছে, সেখানেও বলা আছে যতটুকু পর্যন্ত খবর পৌছাবে, ততদূর পর্যন্ত আমল করতে হবে। শাফেয়ী মাযহাবে ৪৮০ মাইলের কথা বলা আছে, কারণ ঐ সময়ে এর চেয়ে বেশি দূরত্বে চাঁদের খবর পৌছানো সম্ভব ছিল না। যোগাযোগের এই সময়ে ইমাম শাফেয়ী (রহ) বেঁচে থাকলে ঐ সিদ্ধান্ত দিতেন না। আর ওই ভিডিও-র দাবী ইহুদীরা এই করতেছে, সেই করতেছে। আসল কথা হল পড়াশোনা করলে, কুর'আন হাদিস ঘাটলে, ফিকহবিদরা কিসের ভিত্তিতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত দিয়েছেন তা জেনেই নতুন চাঁদের খবর যতটুকু পৌছাবে, তার ভিত্তিতে ঈদ রোজা পালন করার কথা বলা হয়। এখন একই দিন মানে একই গ্রেগরিয়ান তারিখ না। উত্তর আমেরিকার শেষ অংশে চাঁদ উঠলে সেই খবর যতটুকু পর্যন্ত পৌছাবে, ততদূর পর্যন্ত থেকে নতুন তারিখ শুরু হবে, আর ওদের চাঁদ ওঠার সময়ে যাদের নতুন দিন শুরু হয়ে গেছে, তারা জেনে যাবে যে নতুন চাঁদ উঠে গেছে, আগত রাতটি নতুন চান্দ্রমাসের রাত। এভাবে ২৪ ঘণ্টার মাঝেই সারা পৃথিবীতে রোজা ঈদ হবে। অর্থাৎ যতটুকু পর্যন্ত নতুন চাঁদ ওঠার খবর যাবে, সেখানে থেকে নতুন আরবী তারিখের তারিখ রেখা শুরু হয়ে বৃত্তাকারে ঘুরে আবার সেখানে ফিরে এসে পৃথিবীতে নতুন আরবী তারিখ শুরু হবে। এটাই হল একই দিনে ঈদ। কথাটাকে এভাবে বলা যেতে পারে, মাঝে মাঝে একই গ্রেগরিয়ান তারিখে ঈদ রোজা পালন নাও হতে পারে, তবে একটা নির্দিষ্ট হিসেবে নির্দিষ্ট আরবী তারিখে সারা পৃথিবীতে ঈদ রোজা পালন হবে। একই গ্রেগরিয়ান তারিখেও কিন্তু ঈদ রোজা সম্ভব, যদি নতুন চাঁদ-এর জন্ম মধ্যপ্রাচ্যের দিকে হয়, তখন জাপান, নিউজিল্যান্ডের লোকেরাও সময়ের মধ্যে নতুন চাঁদ ওঠার খবর পেয়ে যাবে, ওই অনুসারে আমল করে রোজা শুরু করবে বা ভাঙবে। এটাই বেশিরভাগ সময়ে পৃথিবীতে হয়, তাই একই দিনে ঈদের কথাটা চলে আসে। কিন্তু আমেরিকার লাস্ট প্রান্তে যখন নতুন চাঁদ দেখা যাবে, তখন হয়তো আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার মারপ্যাঁচে একই গ্রেগরিয়ান তারিখে সারা বিশ্বে ঈদ রোজা পালন করা যাবে না, কিন্তু একই ২৪ ঘণ্টায়ই সারা বিশ্বে একই আরবী তারিখ বিদ্যমান থাকবে। আপনার এই স্লাইড দেখে তো মনে হয়, নিউজিল্যান্ডে বসবাস করা উচিত, তাইলে একদিন বেশি বাঁচা যাবে কিয়ামতের সময়, কারণ স্বভাবতই চাঁদ প্রথম দিনে মিস করবে আর সারা পৃথিবীতে নতুন ১০ মহররম শুরু হয়ে কিয়ামত হয়ে যাবে, আর তখনও নিউজিল্যান্ডে ৯ মহররম থাকার কারণে ওরা তাওবা করার জন্য একটা দিন পেয়ে যাবে।


১৬ ।৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:১৯ রাহীম বলেছেন: عيدكم مبارك كل عام وأنتم بخيبر. تقبل الله منا ومنكم বিবেক বিবাগি , আমি যেহেতু হাদিসে মারফু স্বয়ং রাসূল (সাঃ) হতে কিবারে সাহাবী আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত সহিহ হাদিস দিয়ে প্রমাণ উপস্থাপনের পর তা বাতিল করতে হলে তেমন সম পর্যায়ের হাদিস দিয়ে প্রমাণ উপস্থাপন করতে হবে । ভুল অপব্যখ্যা দিয়ে নয় । কোথায় রয়েছে সেটা ওযরের হাদিস ? এটা ইমাম বুখারী মুসলিম তিরমিযী কেউ বুঝেনি শুধু আপনি বুঝেছেন । যদি আরবি বুঝেন ইবারত টা নিন । المسألة السادسة: هل رؤية أهل بلد للهلال؛ تلزم رؤيته لجميع البلدان ؟ الأصل في المسألة أثر كريب رضي الله عنه. فعن كريب رضي الله عنه أن أم الفضل بنت الحارث رضي الله عنها، بعثته إلى معاوية بالشام، قال: فقدمت الشام، فقضيت حاجتها، واستهل علي رمضان وأنا بالشام؛ فرأيت الهلال ليلة الجمعة، ثم قدمت المدينة في آخر الشهر، فسألني عبد الله بن عباس رضي الله عنهما، ثم ذكر الهلال، فقال: متى رأيتم الهلال؟ فقلت: رأيناه ليلة الجمعة، فقال: أنت رأيته؟ فقلت: نعم. ورآه الناس وصاموا وصام معاوية، فقال: لكنا رأيناه ليلة السبت؛ فلا نزال نصوم حتى نكمل ثلاثين، أو نراه، فقلت: أو لا تكتفي برؤية معاوية وصيامه؟ فقال: لا. هكذا أمرنا رسول الله صلى الله عليه وسلم . أخرجه: مسلم، و أبو داود، و الترمذي ، والنسائي، وابن خزيمة في "صحيحه"، الدارقطني، و البيهقي في"الكبرى"، و"معرفة السنن". قال أبو عيسى: حديث ابن عباس حديث حسنٌ صحيح غريب، وقال الدارقطني: هذا إسناد صحيح، وصححه الألباني في "صحيح سنن أبي داود، الترمذي"، و النسائي. بوب لهذا الحديث الإمام مسلم في "صحيحه" فقال: باب "بيان أن لكل بلد رؤيتهم، و أنهم إذا رأوا الهلال ببلد؛ لا يثبت حكمه لما بَعُدَ عنهم". والترمذي في "جامعه" فقال: باب "ما جاء لكل أهل بلد رؤيتهم". والنسائي في "سننه" فقال: باب "اختلاف أهل الآفاق في الرؤية". و ابن خزيمة في "صحيحه" (3/205) قائلاً: باب "الدليل على أن الواجب على أهل كل بلدة صيام رمضان لرؤيتهم لا رؤية غيرهم". قال صاحب "تحفة الأحوذي": "ظاهره يدل على أن لكل أهل بلد رؤيتهم ولا تكفي رؤية أهل بلد لأهل بلد آخر". قال النووي في "شرح مسلم": والصحيح عند أصحابنا؛ أن الرؤية لا تعم الناس، بل تختص بمن قرب على مسافة لا تقصر فيها الصلاة، وقيل: إن اتفق المطلع لزمهم وإن اتفق الاقليم وإلا فلا". انتهى. وقال ابن رشد في "بداية المجتهد" (1/210) على أثر كريب عن ابن عباس رضي الله عنهم: "فظاهر هذا الأثر؛ يقتضي أن لكل بلد رؤيته قرب أو بعد، والنظر يعطي الفرق بين البلاد النائية والقريبة وبخاصة ما كان نأيه في الطول والعرض كثيراً". انتهى. وقال القرافي في "الفروق" (1/25) عقب أثر كريب هذا: মানুষের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য আপনাদের মত অপব্যখ্যা কারীরা দায়ী। এসব বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার জন্য ভয় করুন সে জাহান্নামকে যার জ্বালানী হবে মানুষ এবং পাথর । যেখানে সহিহ হাদিস রয়েছে সেখানে মাযহাবের দোহায় দেয়া শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত । মাহি , সহিহ হাদিস পাওয়ার পর অন্য কোন রেপারেন্স অর্থহীন । এখন যদি সারা পৃথিবীর মানুষ ও বলে একই দিন সারা পৃথিবীতে ঈদ হবে । আমি মুসলিম হিসেবে তা কখনো মানবো না । কেননা আমি মান্য করি একমাত্র কুরআন ও হাদিস । আপনার পূর্ণ বিশ্বাসের জন্য বলছি , এই বিষয়ে আমি যথেষ্ট পড়েছি । সব বড় বড় সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, ইকরামাহ সহ সব সাহাবির মত ও তাই কেউ তার বিরোধিতা করেনি করলে ও চলবে না কেননা তিনি হলেন বিজ্ঞ আলেম সাহাবি । আবার এটা ও বলেছেন কেননা রাসূল (সাঃ) আমাদের এটার নির্দেশ দিয়েছেন । সব তাবেয়ীদের মত ও তাই । এই হিডিংটা আমি মুসলিম থেকে নিয়েছি। "প্রত্যেক দেশের অধিবাসীদের জন্য তাদের চাঁদ দেখা তাদের ক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য অন্য দেশি মানুষের জন্য নয় ।" বুখারীর ও হিডিং এমনই তিরমীজির ও এই বিষয়ের হেড লাইন এমনই নেসাঈর ও এমন । যদি আরবি বুঝেন উপরে ইবারত দিয়েছি । এটা খুব মজবুত কথা এটা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না , করলে তার অনেক অপব্যখ্যার প্রয়োজন হবে । যারা এসব বলছে তারা বিভিন্ন অপব্যখ্যার আশ্রয় নিচ্ছে । এমন কি প্রয়োজন পড়েছে সারা পৃথিবীতে একসাথে রোজা-ঈদ কুরবানী করার ? করলে আবুল কাছেম (সাঃ) এর নাফর মানি হবে । নিহানের ভিডিওগুলো দেখুন । মোঃ আরিফ রায়হান মাহি , নাস্তিকদের ব্যাপারে আপনার ভূমিকা আমার অন্তর সাক্ষিদেয় আপনার ঈমানের মজবুতের কথা । তবে এই মাসআলা টাতে আপনি বিভ্রান্ত হয়েছেন । হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাক আমি সত্যকে পৌঁছে দিয়েছি ।

১৭ ।৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:২২ মাহফুজশান্ত বলেছেন: কিয়ামতের পূর্বে পশ্চিমে সূর্যোদয় কি বিশ্বের সব দেশ থেকে একই সময়ে দেখা যাবে? অনেক দেশের মানুষ মিডিয়ার মাধ্যমে আগের রাতেই এ তথ্য জানতে পারলেও, যে এলাকার মানুষ যখন সুর্য উঠতে দেখবে, সেই দিনেই তো বিষয়টি স্বচক্ষে দেখতে পারবে- চাঁদ যেহেতু দিনের শেষে অর্থাৎ সন্ধা/রাতে ওঠে/দৃষ্টিগোচর হয়, তাই একই দিনের একই সময়ে রোজা শুরু ও শেষ বা ঈদ করা সম্ভব না হলেও এ ব্যাপারে সামঞ্জস্য বিধান করা জরুরী বটে-


১৮ ।৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ৯:৩৮ মাহফুজশান্ত বলেছেন: @মোঃ আরিফ রায়হান মাহি- অনেক সময় কিছু কিছু বিষয় কারো কারো বুঝতে সময লাগতে পারে- তাই বলে হঠাৎ করে কাউকে জ্ঞানহীন-চিন্তাহীন ভাবা ও বলা ঠিক কি? আল্লাহতায়ালা ধৈর্যশীলদের সাথে থাকেন। ইসলাম প্রচার করার ক্ষেত্রে এ ধরনের চরম মনোভাব পরিহার করে ধৈর্য সহ সত্য তথ্য উপস্থাপন করাই যথেষ্ট নয় কি? একটু ভেবে দেখবেন-

 ১৯ ।৩১ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ১০:২১ বিবেক বিবাগী বলেছেন: মাহফুজ শান্ত ভাই, অপব্যাখ্যা দেওয়ার কিছু নাই। আমি তো এটাই বলছি যে খবর যতটুকু পর্যন্ত পৌছাবে, সে পর্যন্ত আমল করার কথা সবযুগে সবসময় বলা আছে। এখন আগে খবর কম দূরত্বে পৌছাতো আর এখন খবর বেশি দূরত্বে পৌছায়। কিন্তু এখনও কম দূরত্বের হিসেবে বসে আছি। আর আরবি আমি বুঝি না। এতবড় পোস্ট টা আমি পড়ি নি। আপনি হয়তো কুরাইবের হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। যাক। আমাদের আর খিলাফত শাসন ব্যবস্থা নাই। এখন আমরা বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন দেশ। বললেন না মুসলিমের হেডিং "প্রত্যেক দেশের অধিবাসীদের জন্য তাদের চাঁদ দেখা তাদের ক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য অন্য দেশি মানুষের জন্য নয় ", এই কথাটা ইমাম মুসলিমের কথা, ওখানে এই কুরাইবের হাদিসটি আছে। দেশ শব্দটি এমনিতেই ভুল অনুবাদ, কারণ ইসলামে আলাদা আলাদা দেশ কনসেপ্টই নেই, আমাদের সবার একই খিলাফতের আন্ডারে থাকার কথা। এখন খবর পাওয়া যখন যেত না, তখন স্থানীয় খবরের উপর ভিত্তি করেই ঈদ রোজা পালন করতে হত, কিন্তু যখন খবর পাওয়া যেত, তখন সেই খবরের ভিত্তিতেই ঈদ রোজা পালন করতে হয়। এই মূল তত্ত্বে তো ডিনাই করার কিছু নাই। কোন কারণও নাই। বুখারীর হাদিসটা সম্পর্কে একাধিক বার বলা হয়ে গেছে, আর বলার কিছু নাই। আর কুরাইবের হাদিসটা হযরত মুয়াবিয়া (রা) সময়কার, যখন খিলাফতে রাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা শুরু হয়েছিল, এটি খোলাফায়ে রাশেদীনের যুগও না। এর আগ পর্যন্ত একাধিক দিনে ঈদ রোজা পালনের কোন খবর পাওয়া যায় না। যাক, নিজের বিশ্বাসের সাথে মিল না হলেই তো অপব্যাখ্যা হয়ে যায়। আপনার আর কিছুর বলার থাকলে বইলেন।


২০ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১৬ মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন: @রাহীম ভাই, আপনি আটকে গেছেন কোন এক কারনে, আপনার ভাষায় আমার অপ-ব্যাখ্যা ও দলিলগুলো আপনি মিথ্যা প্রমান করতে পারেন নি, আমি কি সহীহ হাদীস উপস্থাপন করছি না? একজন মুসলিম হিসেবে আপনি খিলাফত বা বর্ডারলেস কান্ট্রি কিভাবে অস্বীকার করেন? আপনি কি একজন বিশ্ব মুসলিম না? আর আপনি একটি বিশেষ প্রেক্ষাপটের হাদীস দিয়ে আপনি তার আমলকে তো সার্বজনীন বলতে পারেন না। আপনাকে আমি,ফখরুল ভাই আর বিবেক বিবাগী ভাই অনেক সহীহ দলিল দিয়েছি। তাছাড়া ও আই সি তে কি ভাল আলেম বসেন নাই? সারা বিশ্বের শ্রেষ্ঠ আলেমরা যেটায় একমত হয়েছেন সেটা আপনি বহুবার এড়িয়ে যাচ্ছেন আর কুরানের আয়াত অমান্য করছেন "মুমিনরা যা ভাল মনে করেন আল্লাহও তা ভাল মনে করেন" । আর সবচেয়ে বড় কথা হল ৯০ ভাগ মুসলমান কি ভুল করছে? আপনি মানবেন না সেটা আপনার বিষয় কিন্তু তাই বলে তো আপনি বিভ্রান্তি ছড়াতে পারেন না, তাই না? আপনার একটা বিশেষ হাদীসের প্রেক্ষাপটে বিবেক বিবাগী যথেষ্ট সুন্দর ও প্রমানসহ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আপনাকে আর কিছুই বলার নাই, আপনি কুরান হাদীস মানেন আর কুরান হাদীসের সহীহ দলিল গোড়ামির কারনে মানেন না। মাফ করবেন, ১৬ নম্বর কমেন্টে আমার কাছে মনে হয়েছে আপনি স্রেফ গায়ের জোরে কথা বলতে চাচ্ছেন। আপনি আমার "অপ-ব্যাখ্যা"গুলো ভুল প্রমান করতে পারেন নি । সহীহ হাদীস আপনারটা আমরা মেনে নিয়েছি, কোন সন্দেহ নাই,তবে ওটা আমল এর জন্য আপনাকে বাকি হাদীসগুলো (যে রেফারেন্সগুলো আমিও বিবেক বিবাগী ও ফখরুল ভাই দিয়েছি ) নিহালের ভিডিও এর ব্যাখ্যা বিবেক বিবাগী দিয়েছেন, এর বাহিরে কথা বলাটা ধৃষ্টতা হবে। আপনি যুক্তি প্রমান মানবেন না অথচ গোড়ামি দেখাবেন এটা মানতে কষ্ট হচ্ছে, আর ভাল কথা কুরান হাদীস এ আটকে থাকলে আপনি ইসলামের ৭০ শতাংশ বিষয়ের ব্যাখ্যাই সঠিকভাবে পাবেন না, আর তা হলে এর পরে এত ইমাম,মুহাদ্দিসকে ইসলামে এত মর্যাদা দেয়া হত না। আর সবচেয়ে বড় কথা হল, কুরান হাদীস দ্বারাই একই দিনে ঈদ ও রোযা পালন সিদ্ধ। আপনি সেটা প্রমানও করতে পারেন নাই, এবং সেটা মেনেও নিতে পারেন নাই। দয়া করে একটু নতুন করে ভাবুন। যতদূর বুঝেছি,আপনি এমন কারো কাছ থেকে এই বিষয়টি নিয়ে জেনেছেন এবং সেই ব্যক্তিকে আপনি এমনই শ্রদ্ধা করেন যে তার কথায় আপনি আটকে গেছেন, এটাই গোড়ামি। সারা বিশ্বে বহু মুমিন বান্দা আছেন,বহু আলেম আছেন, ইসলামের গোড়া থেকে অনেক মুহাদ্দিস আছেন,তারা কেউ এটা ভুল বলেন নি, বরঞ্ছ এভাবে আমল করে এটা মেনে নিয়েছেন। আশা করি আপনিও একদিন বুঝতে পারবেন । আল্লাহ আপনাকে সে ক্ষমতা দিক। ধন্যবাদ।


২১ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:২৪ মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন: হে আল্লাহ তুমি সাক্ষী থাক আমি সত্যকে পৌঁছে দিয়েছি ।

২২ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৩৫ অবারিত প্রান্তর বলেছেন: রাহীম এর বক্তব্য কে অসঙ্গতিপূর্ন ও গোঁজা মিল মনে হয়েছে। উনি অত্যন্ত স্ববিরোধী বক্তব্য দিচ্ছেন, কিছুতেই উনার এ আচরন বুঝলাম না। @মোঃ আরিফ রায়হান মাহি আপনাকে বেশ ঔদ্ধত্যপূর্ন মনে হয়েছে প্রথম দিকের কমেন্টে, আশা করি সহনশীল হবেন। এ বিষয়টি নিয়ে আমি বহু মানুষকে সংশয়ে ভুগতে দেখেছি, আমি নিজেও প্রায় ভাবি শবে ক্বদর এর রাত তো একটাই হওয়া উচিত। আমরা কি তাহলে শবে ক্বদর পাচ্ছি নাকি বাকি বেশিরভাগ মুসলমান যেদিন করছে সেদিন পাচ্ছে। যাই হোক,এটা আসলে বিশাল বিতর্ক জন্ম দিয়েছে। এইখানে এসে হয়ত আমার মত কেউ কেউ এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। ধন্যবাদ।

২৩ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ ভোর ৬:৫৩ মাহফুজশান্ত বলেছেন: ভাই @বিবেক বিরাগী- আপনি হয়ত ভুল করছেন! আমি তো ভাই কাউকে অপব্যাখা দেয়ার অভিযোগ করিনি। আমি মনে করি এখানে যারা আলোচনা করছেন- ইমানের টানেই করছেন। কারো ক্ষেত্রে বিষয়টি বুঝতে হয়ত অসুবিধে হচ্ছে। এক্ষেত্রে যারা বোঝাচ্ছেন, তাদের নিজেদের বোঝানোর অপারগতাকে স্বীকার করে নিয়ে বিষয়টি আরো ভালভাবে বোঝানোর প্রয়াশ নিলে বোধ হয় ভাল হত। উভয়পক্ষের কাছে অনুরোধ- আসুন আমরা পরস্পর সহনশীল ও উদার হবার চেষ্টা করি। তা না হলে তো ভাই সবই বৃথা। আমার মনে হয় একই 'দিন অর্থাৎ দিবস' হিসেবে না বলে বা ভেবে, বরং একই আরবী তারিখ ধরে নেয়াটা বেশি যুক্তিযুক্ত। এভাবে বোঝানোর চেষ্টা নিলে মনে হয় সবারই বুঝতে সুবিধে হবে।

২৪ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ সকাল ৮:১০ মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন: @ মাহফুজশান্ত দেখুন ২০১১ সালে অগাস্ট মাসে রমজান মাস শুরু হয় । আমার পর্যবেক্ষনে (মুনসাইটিং ডট কম সহ বিভিন্ন সাইট ও নেটের বিদেশী বন্ধুদের তথ্য) কারো রমজান মাস ২৯ ,কারোটা ৩০, এমনকি কারো ২৮ , ৩১ এখনও পাইনি । অথচ আপনি লিখেছেন " আমার মনে হয় একই 'দিন অর্থাৎ দিবস' হিসেবে না বলে বা ভেবে, বরং একই আরবী তারিখ ধরে নেয়াটা বেশি যুক্তিযুক্ত। " এক্ষেত্রে আমার প্রশ্ন এটা কি গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত ? ভারত উপমহাদেশের বড় তিন দেশ সরকারীভাবে ঈদ করার আগে তার চার পাশের এবং পূর্বের দেশ চীন , মালয়েশিয়া , জাপান, কোরিয়া , তাইওয়ান, আর পুবে আফগানিস্তানসহ প্রায় সব দেশ এক দিন আগে ৩০ অগাস্ট মঙ্গলবার ঈদ করেছে । আমরা করছি পর দিন । আপনি এ ব্যাপারটা কি ভাবে দেখেন ? আমার মাসের সংখ্যার ক্ষেত্রে আমার পর্যবেক্ষণ হলো : একই বছর বিশ্বের কোথাও ২৯ দিনের মাস আবার কোথায়ও ৩০ দিনের হওয়ার সুযোগ নেই । কারণ সুরা বাকারার ১৮৫ আয়াতে বলা হয়েছে যে ব্যক্তি সুনির্দিস্ট মাসটিতে উপস্হিত থাকবে সে এতে অবশ্যই রোজা পালন করবে । এ আয়াতে আশশাহারা অর্থাৎ সুনির্দিষ্ট মাস শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে বিশ্বের কোথাও ২৯ দিনের মাস আবার কোথায়ও ৩০ দিনের হওয়ার সুযোগ নেই । সুরা বাকারার ১৮৯ নং আয়াত অনুযায়ী ক্যালেন্ডার হবে মানুষ জাতির জন্য এবং হজ্জের জন্য । কারণ আয়াতে আন্নাস শব্দটা ব্যবহার হয়েছে । মানুষ জাতি সারা পৃথিবীতে থাকে । আর হজ পৃথিবীত বছরে একবারই এক জায়গায় হয় । আল্লাহ বলেন নাই বিভিন্ন এলাকার জন্য বিভিন্ন ক্যালেন্ডার হবে । হজের প্রসঙ্গ আসাতেই বোঝা যায় ক্যালেন্ডার একটা । ২৮ আর ৩১ দিনে মাস হতেই পারে না । কারণ রাসুল (সা.) বলে দিয়েছেন মাসে দিনের সংখ্যা হবে ২৯ ও ৩০ । অনেক সময় মাস ২৮ দিন হয় এক শ্রেনীর লোকের জন্য । তারা কোনভাবে বিজ্ঞানকে স্বীকার করতে চান না । গবেষনায় দেখা গেছে টানা ৫টি মাস ২৯ দিন হতে পারে (সম্ভাবনা ৭০%) । এরকম ক্ষেত্রে কোন মাসের ২৯ তম দিনে মেঘ, কুয়াশা,ধোঁয়ার জন্য নতুন চাঁদ দেখা না যাওয়ায় মাসটি ২৯ দিনের হলেও তা ৩০ দিনে পরিনত করা হয় । এর ফলে পরের মাসটি ২৮ দিনের মাসে পরিনত হয় । এরকম ক্ষেত্র ১টা রোজা কাজা করতে বলা হয় । কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানী,আবহাওয়াবিদ বা গণিতবিদরা বলেন,"আকাশে নতুন চাদ আছে । এর উপর ভিত্তি করে সমুদ্র স্রোত হচ্ছে , বিমান ও জাহাজ চালানোর নির্দেশনা পাওয়া যাচ্ছে । দুরবীন, রাডার বা সি সি ডি ক্যামেরা ব্যবহার করলে দেখা যাবে নতুন চাদ ।" ১টা রোজা কাজা করতে বলা লোকরা বলেন, এগুলো ব্যবহার করা যাবে না । এগুলো বিদাত । অথচ তারা চশমা পড়েন । গাড়ি করে নামাজে আসেন । মোবাইল ব্যবহার করেন । এগুলো কি বিদাত নয় ? হয়ত তাদের কাছে ট্যাংক, ডুবো জাহাজ আর পরমাণু বোমা দিয়ে যুদ্ধ করা যাবে কি না বললে হয়ত তারা বলবেন এগুলো বিদাত । কারণ রাসুলের যুগে এগুলো ছিল না । দেখুন ও.আই.সি ৫৭টা মুসলিম দেশের সঙগঠন । মুসলিম জাতির ভাল-মন্দ দেখার জন্য এসংগঠন । তারা আমাদের জন্য সর্বোত্তম উপায়টা খুজে বের করছেন এবং ভবিষ্যতেও তাই করবে ।


২৫ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:৩৫ মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন: মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমার মনে হয় একই 'দিন অর্থাৎ দিবস' হিসেবে না বলে বা ভেবে, বরং একই আরবী তারিখ ধরে নেয়াটা বেশি যুক্তিযুক্ত। এভাবে বোঝানোর চেষ্টা নিলে মনে হয় সবারই বুঝতে সুবিধে হবে। খুবই উত্তম কথা বলেছেন ভাই,তবে আমরা সেটাই বলে আসছি। একই দিন আর একই তারিখ এটা আসলে বুঝার ভুল, অথচ দুটি জিনিস একই। ২৬ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৩৮ মাহফুজশান্ত বলেছেন: আমি জানতে চাচ্ছি, চাঁদ দেখার ঘোষণা দেবার পর ১ দিন=২৪ ঘন্টার মধ্যেই সারা বিশ্বে রোজা বা ঈদ পালন সম্ভব কিনা? যেমন ধরুন সিদ্ধান্ত নেয়া হলো মক্কার আকাশে চাঁদ ওঠা দেখে সারা বিশ্বে রোজা ও ঈদ পালন করা হবে। এক্ষেত্রে মক্কায় ২৯ রমজান সন্ধায় চাঁদ দেখার উপর ভিত্তি করে সৌদি সরকার পরদিন সকাল ৭ - ৯ টায় ঈদের নামাজ আদায়ের ঘোষণা দিলেন। এক্ষেত্রে আমেরিকা ও বাংলাদেশে ঈদের ঘোষণা ও আদায়ের সময়সূচি কিরূপ হবে? ২৯ রমজান মক্কার আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় চাঁদ দেখা সম্ভব না হলেও কিরূপ সিদ্ধান্ত নিতে হবে? আমি স্বীকার করছি যে, এই বিষয়টি আমি কম বুঝি। আমাকে ঘন্টা (মিনিট না হলেও চলবে) যোগ বা বিয়োগ করে একটু বুঝিয়ে দেবেন কি? Rising and setting times for the Sun (UnitedStates) Date Sunrise - Sunset Aug 27, 2011- 6:04 AM - 7:27 PM Aug 28, 2011- 6:05 AM - 7:25 PM Aug 29, 2011- 6:06 AM - 7:24 PM Aug 30, 2011- 6:07 AM - 7:22 PM Aug 31, 2011- 6:08 AM - 7:20 PM Sep 1, 2011- 6:09 AM - 7:19 PM ......................................................................... Rising and setting times for the Sun (Saudi Arabia) Date Sunrise - Sunset Aug 27, 2011- 6:03 AM - 6:42 PM Aug 28, 2011- 6:03 AM - 6:41 PM Aug 29, 2011- 6:03 AM - 6:40 PM Aug 30, 2011- 6:03 AM - 6:39 PM Aug 31, 2011- 6:04 AM - 6:38 PM ২৭ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৭ মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন: @মাহফুজ শান্ত কেন নয়? সারা বিশ্বে সময়ের সর্বোচ্চ ব্যবধান হল ১২ ঘন্টা। তো দিন হয় ২৪ ঘন্টায়। তাহলে কি সবাই একটাই দিন পাচ্ছে না ভিন্ন ভিন্ন সময়ে? আর সৌদি কোন দলিল না, সৌদিতেই চাঁদ উদয়ের খবর পাবে এটা ঠিক না। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। আপনার প্রশ্ন যতটুকু বুঝেছি তার আলোকে বলছি- ধরেন আমেরিকাতে চাঁদ দেখার খবর পেল আর সেই খবর বাংলাদেশে আসল যখন বাংলাদেশে সকাল এবং লোকেরা রোযা অবস্থায়। তার কি করবে? তাই না? খুউবই সহজ, বাঙ্গালীরা সেই রোযা সম্পন্ন করবে এবং তার পর দিন ঈদ পালন করবে, কারন দেখেন বাংলাদেশ সময়ের ব্যবধানে পিছিয়ে আছে। সেই সময় অতিক্রম করে যেই তারিখে আমেরিকাতে ঈদ পালন হচ্ছে সেই একই তারিখে গিয়ে ঈদ পালিত হচ্ছে। এটাই হল মূল কথা। ধন্যবাদ।

২৮ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৬ মাহফুজশান্ত বলেছেন: @মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম- আপনার কাছে ২৬ নং প্রশ্নের উত্তরটা জানতে চাচ্ছি। যেহেতু এ বিষয়ে আমার ইন্টারেস্ট আছে, তাই ভাই অনুগ্রহ করে যেভাবে জানতে চেয়েছি সেভাবে বোঝাবেন কি? যদিও @মোঃ আরিফ রায়হান মাহি- একটু চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমি তো ভাই কম বুঝি, তাই তাতে সন্তুষ্ট হতে পারিনি। আমি বিশ্বাস করি, শাশ্বত ধর্ম ইসলাম জীবনকে জটিল নয়, বরং সহজ ও সরল ভাবে পালনের জন্যই প্রেরিত হয়েছে- ২৯ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:১১ বিবেক বিবাগী বলেছেন: মাহফুজ শান্ত ভাই, সরি, অপব্যাখ্যা দেওয়ার অভিযোগটা রহীম ভাই দিসিলেন। যাক। সহজ কথা, যদি মধ্যপ্রাচ্যের দিকে নতুন চাঁদ ওঠার খবর পাওয়া যায়, তাহলে জাপান পর্যন্ত সে খবর সময়ের মধ্যেই পৌছে যাবে ও সে অনুসারে রোজা ও ঈদ পালন শুরু হয়ে যাবে। এখন যদি আমেরিকার পশ্চিম পার্শ্বে নতুন চাঁদ উঠে, সে খবর পশ্চিম দিকে যখন যাবে, তখন তাদের নতুন তারিখ চলছে, অর্থাৎ চাঁদ দেখার খবর টা পরবর্তী ইংরেজি তারিখে গিয়ে তারা জানতে পারছে যে নতুন চাঁদ উঠেছে। আমেরিকার পশ্চিম প্রান্তে ওঠা চাঁদ আবর্তন করে করে যখন জাপান ইন্দোনেশিয়া দিয়ে আসবে তখন তারা নতুন ইংরেজি তারিখে নতুন চাঁদ দেখবে, এভাবে আরবী তারিখের ক্ষেত্রে যতদূর পর্যন্ত নতুন চাঁদ ওঠার খবর পাওয়া যাবে, সেটা হবে চাঁদের তারিখের আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার শুরু ও সেটা সারা পৃথিবী ঘুরে ঘুরে শেষ হবে। এক্ষেত্রে মাঝে মাঝে ভিন্ন ভিন্ন ইংরেজি তারিখে একই আরবি তারিখ পড়তে পারে, আবার একই আরবি তারিখে সারা বিশ্বে একই তারিখ পড়তে পারে। এখন কি হয়, পৃথিবীর জন্য নতুন সূর্য ধরা হয় যে সূর্যটা জাপানে উঠেছে। কিন্তু পৃথিবীতে অমাবস্যার পর নতুন যে চাঁদটা উদিত হয় সেখানেই বলা যায় যে নতুন তারিখ শুরু হয়েছে চান্দ্রমাসের। কিন্তু এটিও কুরআন হাদিস অনুসারে মাযহাব সমূহের সিদ্ধান্ত যে নতুন চাঁদ ওঠার খবর যতদূর যাবে ততদূর পর্যন্ত এর উপর আমল করতে হবে। তাই নতুন চাঁদ ওঠার খবর যতটুকু পৌছাবে ততটুকু হচ্ছে চান্দ্রমাসের জাপান, আর যারা ইতিমধ্যে রোজা শুরু করে দিয়েছে তাদের অবস্থান অনেকটা আন্তর্জাতিক তারিখ রেখার ডানপাশে পিছনের তারিখে থাকা আমেরিকার মত। একই আরবী তারিখ যেন সারা বিশ্বে চলমান থাকে, সেটা কিন্তু এই নতুন চাঁদের উপরই নির্ভর করে। যেমন বাংলা সনের কথা বলা যায় সূর্যোদয়-এ নতুন তারিখ হয়, ১২টা ১ মিনিটে। তাই বাংলা দুই তারিখ একই ইংরেজি তারিখে বিদ্যমান থাকে। যেমন ১৪ এপ্রিল রাত ১২ টা থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত ৩১ চৈত্র আর সূর্যোদয়ের পর থেকে ১ বৈশাখ। ঠিক আরবী তারিখের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা এমন হবে। মাঝে মাঝে, বলা যায় বেশিরভাগ সময়েই একই ইংরেজি তারিখ হবে, কিন্তু মাঝেমাঝে ভিন্ন ভিন্ন তারিখে পড়তে পারে। জানি না বুঝছেন কিনা। একটু ধৈর্য ধরে পড়বেন আশা করি।


৩০ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৩ মাহফুজশান্ত বলেছেন: @বিবেক বিবাগী- এ কারনেই তো আমি ২৫ নং কমেন্টে আগেই বলেছিলাম- আমার মনে হয় একই 'দিন অর্থাৎ দিবস' হিসেবে না বলে বা ভেবে, বরং একই আরবী তারিখ ধরে নেয়াটা বেশি যুক্তিযুক্ত। এভাবে বোঝানোর চেষ্টা নিলে মনে হয় সবারই বুঝতে সুবিধে হবে। আমাদের সবারই মনে রাখা উচিত যে, শাশ্বত ধর্ম ইসলাম জীবনকে জটিল নয়, বরং সহজ ও সরল ভাবে পালনের জন্যই প্রেরিত হয়েছে- ধরুন সৌর-ঝড়ের কারনে ২৯ রমজানে পৃথিবীর সব তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমগুলো হঠাৎ করে ২/৩ দিনের জন্য নষ্ট হওয়ায় তথ্য আদান প্রদান অসম্ভব হয়ে পড়ল। তখন কি করবেন?


 ৩১ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫৯ মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন: ধরুন সৌর-ঝড়ের কারনে ২৯ রমজানে পৃথিবীর সব তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমগুলো হঠাৎ করে ২/৩ দিনের জন্য নষ্ট হওয়ায় তথ্য আদান প্রদান অসম্ভব হয়ে পড়ল। তখন কি করবেন? setar jonne to sahih hadith achei ... jodi tomra chad na dekho tobe maash purno koro.....ojorer jonneo hadith ache. asha kori bujhte perechen. dhonnobad. ৩২ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:২২ মাহফুজশান্ত বলেছেন: আশাকরি বিরক্ত হবেন না- এ হাদিছ তো চাঁদ দেখা সম্ভব না হলে প্রযোজ্য। কিন্তু আমি এমন অবস্থার কথা বলছি যখন আমেরিকায় ২৯ রমজানে চাঁদ দেখা গেল। কিন্তু সে সংবাদ পৃথিবীর সব প্রান্তে প্রেরণ করা সম্ভব হলো না, সে অবস্থায় আমরা ৩০ রোজা পূর্ণ করায় আমেরিকার সাথে আমাদের ঈদ পালনের সময়ের পার্থক্যটা কিন্তু লক্ষ্য করার মত- ৩৩ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:০০ মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন: আরে বিরক্ত হবার কিছু নেই, এটা এভাবে আলোচনা করাটা সত্যিই ভাল লাগার মত। আচ্ছা, আপনি যে প্রসঙ্গটি তুললেন সেটা একটা ওজরের প্রসঙ্গ বা বিশেষ কারনে সংবাদ পৌঁছানো সম্ভব না হলে কিভাবে আমল করতে হবে তা হয়ত কিছুটা আঁচ করতে পারবেন সহীহ মুসলিম এর হাদীস দ্বারা যা উপরে রাহীম ভাই উল্লেখ করেছেন। সংবাদ যতদূর পৌছানো যাবে ততদূর পর্যন্ত ঈদ ফরয, যারা খবর পাবে না তারা ৩০ রোযা পূর্ন করবে। এটাই নিয়ম। আমেরিকার সাথে সময়ের পার্থক্য লক্ষনীয় হলেও সেটা কি খুব একটা ব্যতিরেক সৃষ্টি করছে। এখানে একটি খুব ভাল পয়েন্ট আপনি ধরতে পারেন যে বা হয়ত ধরবেন, যে এভাবে যদি ২৯/৩০ এর ঝামেলা হ্য় তাহলে তো গোটা চান্দ্র মাস গননাতে আর ঐক্য স্থাপিত হল না, সে ক্ষেত্রে তো "যেই লাউ সেই কদু হয়ে গেল তাই না" কিন্তু এখানেই মূল পয়েন্ট আমরা মূলত এই চান্দ্র মাস গননাতে এইরকম বিশৃঙ্খলা এড়ানোর জন্যেই এই ঘাপলাটি তুলে ধরছি। আপনি যে সময়ের ব্যবধানের কথা বললেন সেটা একটা বিশেষ ক্ষেত্রে বা ওজরের ক্ষেত্রে, সেক্ষেত্রে যদি তারিখের পার্থক্য হয়ে যায় তবে আগের লুনার ক্যালেন্ডার ফলো করে পরবর্তী মাস এর ঘোষনা করে সমতা করতে হবে। য়ার সবচেয়ে বড় কথা হল, গোটা মুসলিম বিশ্ব সোচ্চার হলে একটা স্থায়ী লুনার ক্যালেন্ডার আছে সেটা ফলো করলে আর এ ধরনের সমস্যা ফেস করার কোন কারন নেই। জানি না কতটুকু ব্যাখ্যা করতে পারলাম।

 ৩৪ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:২০ মাহফুজশান্ত বলেছেন: সংবাদ যতদূর পৌছানো যাবে ততদূর পর্যন্ত ঈদ ফরয- তথ্র প্রযুক্তির মাধ্যম ছাঢ়া বর্তমানে কিভাবে, কত সময়ের মধ্যে এবং কত দূর সংবাদ পৌঁছানোকে যুক্তিযুক্ত মনে করেন? যারা খবর পাবে না তারা ৩০ রোযা পূর্ন করবে- আপনি যে সময়ের ব্যবধানের কথা বললেন সেটা একটা বিশেষ ক্ষেত্রে বা ওজরের ক্ষেত্রে, সেক্ষেত্রে যদি তারিখের পার্থক্য হয়ে যায় তবে আগের লুনার ক্যালেন্ডার ফলো করে পরবর্তী মাস এর ঘোষনা করে সমতা করতে হবে- এক্ষেত্রে আবারও "যেই লাউ সেই কদু" অর্থাৎ নির্দিষ্ট এলাকা ভিত্তিক চাঁদ দেখার উদ্যোগ নেয়া জরুরি নয় কি?

৩৫ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৮:৫৩ মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন: উহু, আপনি পয়েন্টগুলো মিস করেছেন। এলাকা ভিত্তিক চাঁদ দেখার কথা কোথাও নেই, আপনি যখন নিরুপায় হবেন তখনই কেবল বাধ্য হয়ে এই পন্থায় আপনাকে আগাতে হবে। আপনি যদি নিজেকে একটা এমন দ্বীপের অধিবাসী ভাবেন যেখানে জ্ঞানের আলো পোঁছায় নাই তখন হয়ত আপনি এটা ছাড়া আর কিছুই করতে পারবেন না, তখন সেটা প্রযোজ্য। তথ্র প্রযুক্তির মাধ্যম ছাঢ়া বর্তমানে কিভাবে, কত সময়ের মধ্যে এবং কত দূর সংবাদ পৌঁছানোকে যুক্তিযুক্ত মনে করেন? এই বিষয়টা কি আলোচনা হয় নাই? চারটি মাঝহাবেই স্পষ্ট বলা আছে কতদূর, শাফী মাঝহাবে ৪৪৮ মাইলেরও একটা কথা আছে, কারন সেসময় ঘোড়ার ডাকের মাধ্যমে এর বেশি খবর পৌছানো সম্ভব ছিল না। এই সকল প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা সহ একটা বিধান আছে। আপনি কোন কারনে সেটা মানতে পারছেন না, আর আপনার আচরন আমার কাছে মনে হয়ছে কোন একটা বৃত্তের কোন একটা বিন্দুতে আপনি আটকে আছেন এবং কেউ ঐ বিন্দুর বাহিরে থাকলে তাকে গোটা বৃত্ত ঘুরিয়ে ঐ আপনার বৃত্ততে আনতে হবে,এর জন্যে সরাসরি তার সাথে না বলে ঐ গোটা বৃত্ত আপনি তার সাথে ভ্রমন করতে রাজি আছেন। মাফ করবেন, এ ধরনের আচরন ( হয়ত আমি ভুল বুঝছি) আশা করি নাই।

৩৬ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৪ মনে নাই বলেছেন: আমার মনে হয় সারাবিশ্বে একই তারিখে ঈদ শুরু হওয়া উচিত এবং সেটার জন্য ২৯ রোজায় আকাশের দিকে তাকিয়ে চাদ দেখারও কোন প্রয়োজন নাই। চাদের গতিপথ আগে থেকেই নির্ধারিত, তাই কখন কোন এলাকা দিয়ে যাবে বা দেখা যাবে সেটা জানা এখনকার যুগে কোন বিষয়-ই না। তাই ইসলামী চিন্তাবিদদের এই ব্যাপারটা নিয়ে চিন্তা করা উচিত। আর বিশ্বের সকল দেশ-ই সৌদি আরব বা বাংলাদেশের মত নয়, এখানে ঈদের জন্য ছুটি আছে, কিন্তু বিশ্বের বেশীরভাগ দেশেই ঈদের কোন ছুটি নাই, এই ছুটিটা ম্যানেজ করে নিতে হয়, ঈদের আগেরদিন সন্ধ্যার পর চাদ দেখে ডিসিশন নিলে খুবই ডিফিকাল্ট একটা সিচুয়েশন হয়ে যায়, যারা দেশের বাহিরে আছেন তারা আশা করি বুঝতে পারবেন। আর সারাবিশ্বে অতি অবশ্যই একই তারিখে ঈদ হওয়া উচিত, আমি কোন যুক্তি দেব না, কিন্তু একটা কথা শুধু বলবো, ভাব দেখে মনে হয় সারা পৃথিবীর মুসলিমরা কিছু বুঝে না, যা বুঝার তা কেবল বুঝে ইন্ডিয়া, পাকিস্তান আর বাংলাদেশের মুসলিমরা। সারা পৃ্থিবী যেখানে একই তারিখে ঈদ উদযাপন করে সেখানে আমরাই উল্টাদিকে হেটে গিয়ে একদিন, কখনো বা ২ দিন পরে ঈদ পালন করি।

৩৭ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৩৮ মোঃ আরিফ রায়হান মাহি বলেছেন: মনে নাই বলেছেন:........আর সারাবিশ্বে অতি অবশ্যই একই তারিখে ঈদ হওয়া উচিত, আমি কোন যুক্তি দেব না, কিন্তু একটা কথা শুধু বলবো, ভাব দেখে মনে হয় সারা পৃথিবীর মুসলিমরা কিছু বুঝে না, যা বুঝার তা কেবল বুঝে ইন্ডিয়া, পাকিস্তান আর বাংলাদেশের মুসলিমরা। সারা পৃ্থিবী যেখানে একই তারিখে ঈদ উদযাপন করে সেখানে আমরাই উল্টাদিকে হেটে গিয়ে একদিন, কখনো বা ২ দিন পরে ঈদ পালন করি। উত্তম বলেছেন ভাই।


৩৮ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫১ বিবেক বিবাগী বলেছেন: মাহফুজ শান্ত ভাই, আপনি খুব কাছাকাছি এসে গেছেন। হয়তো এখন ব্যাপারটাকে একসেপ্ট করবেন, নয়তো বলবেন, যাই হোক, আমি মানি নাই। সবই বুঝলেন যে চাঁদের খবর যতটুকু পাবো, ততটুকু জায়গা পর্যন্ত চাঁদের খবর প্রযোজ্য হবে, দেশে দেশে আলাদা ভাবে চাঁদ দেখার ব্যাপারটা মানার কোন কারণ নেই এখন। যাহোক। ধরা যাক, (যেটা আসলে কোনভাবেই সম্ভব নয়, তবু তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া হল) কোন কারণে যোগাযোগ অবস্থার যদি অবনতি হয়, তবে তো নতুন চাঁদের খবর পাওয়া যাবে না। হ্যাঁ, ঠিকই আছে, কয় বছর হলো যে আমরা অনেক দূরের দেশে উঠা নতুন চাঁদের খবর পাচ্ছি, এর আগে তো অনেক দূরের দেশের খবর পেতাম না। তখন কি ভিন্ন ভিন্ন দিন আদায় হত না? হত, কারণ আল্লাহ্ কখনই বান্দাকে তার সাধ্যের অতীত কিছু চাপিয়ে দেন না। এখন আমরা নতুন চাঁদের খবর পেয়ে গেলে সেই সেইম সব হাদিস, শরীয়াহ ভিত্তিক সিদ্ধান্ত, যার ভিত্তিতে আগে সীমিত এলাকায় হত, এখন এটা আরো ব্রড এলাকায় হবে। সহজ ব্যাপার। আবার যদি কোন কারণে খবর না পৌছায়, তবে আবারো সেই পুরাতন নিয়মে ফিরে যেতে হবে। একটা সহজ কথা বলি। আগে পশ্চিম পাকিস্তানে চাঁদ দেখা গেলে পূর্ব পাকিস্তানে চাঁদ দেখা না গেলেও পশ্চিম পাকিস্তানের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা ঈদ পালন হত। ধরেন ঐ পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও আমাদের দেশ মিলে আমাদের একটা দেশ হল। তাইলে আফগানিস্তানের কোণায় উঠা চাঁদের খবর দিয়ে আমাদের দেশে ঈদ পালন হত। এবার ভাবেন, যদি খোলাফায়ে রাশেদীনের মত শাসন ব্যবস্থা এখনও চালু থাকতো, তবে কি ভিন্ন ভিন্ন দেশ থাকতো মুসলিমদের, থাকতো না। সেসময় একই দিনেই ঈদ রোজা হত। এখন এই বাংলাদেশের মধ্যে ছোট্ট কোন দ্বীপে ধরা যাক খবর পৌছুলো না। তারা কি করবে। তখন তো সেই ওজরে স্থানীয় তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ঈদ রোজা করতে হবে। সহজ কথাগুলো বুঝলে ভালো। এখন গোঁ ধরে যদি বসেই থাকেন, তবে কিছু বলার নাই।

৩৯ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫২ বিবেক বিবাগী বলেছেন: মাহফুজ শান্ত ভাই, আপনি খুব কাছাকাছি এসে গেছেন। হয়তো এখন ব্যাপারটাকে একসেপ্ট করবেন, নয়তো বলবেন, যাই হোক, আমি মানি নাই। সবই বুঝলেন যে চাঁদের খবর যতটুকু পাবো, ততটুকু জায়গা পর্যন্ত চাঁদের খবর প্রযোজ্য হবে, দেশে দেশে আলাদা ভাবে চাঁদ দেখার ব্যাপারটা মানার কোন কারণ নেই এখন। যাহোক। ধরা যাক, (যেটা আসলে কোনভাবেই সম্ভব নয়, তবু তর্কের খাতিরে ধরে নেওয়া হল) কোন কারণে যোগাযোগ অবস্থার যদি অবনতি হয়, তবে তো নতুন চাঁদের খবর পাওয়া যাবে না। হ্যাঁ, ঠিকই আছে, কয় বছর হলো যে আমরা অনেক দূরের দেশে উঠা নতুন চাঁদের খবর পাচ্ছি, এর আগে তো অনেক দূরের দেশের খবর পেতাম না। তখন কি ভিন্ন ভিন্ন দিন আদায় হত না? হত, কারণ আল্লাহ্ কখনই বান্দাকে তার সাধ্যের অতীত কিছু চাপিয়ে দেন না। এখন আমরা নতুন চাঁদের খবর পেয়ে গেলে সেই সেইম সব হাদিস, শরীয়াহ ভিত্তিক সিদ্ধান্ত, যার ভিত্তিতে আগে সীমিত এলাকায় হত, এখন এটা আরো ব্রড এলাকায় হবে। সহজ ব্যাপার। আবার যদি কোন কারণে খবর না পৌছায়, তবে আবারো সেই পুরাতন নিয়মে ফিরে যেতে হবে। একটা সহজ কথা বলি। আগে পশ্চিম পাকিস্তানে চাঁদ দেখা গেলে পূর্ব পাকিস্তানে চাঁদ দেখা না গেলেও পশ্চিম পাকিস্তানের চাঁদ দেখার ভিত্তিতে রোজা ঈদ পালন হত। ধরেন ঐ পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও আমাদের দেশ মিলে আমাদের একটা দেশ হল। তাইলে আফগানিস্তানের কোণায় উঠা চাঁদের খবর দিয়ে আমাদের দেশে ঈদ পালন হত। এবার ভাবেন, যদি খোলাফায়ে রাশেদীনের মত শাসন ব্যবস্থা এখনও চালু থাকতো, তবে কি ভিন্ন ভিন্ন দেশ থাকতো মুসলিমদের, থাকতো না। সেসময় একই দিনেই ঈদ রোজা হত। এখন এই বাংলাদেশের মধ্যে ছোট্ট কোন দ্বীপে ধরা যাক খবর পৌছুলো না। তারা কি করবে। তখন তো সেই ওজরে স্থানীয় তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ঈদ রোজা করতে হবে। সহজ কথাগুলো বুঝলে ভালো। এখন গোঁ ধরে যদি বসেই থাকেন, তবে কিছু বলার নাই। ৪০ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫৭ বিবেক বিবাগী বলেছেন: @মনে নাই ভাই, এটাই। আমরা ঘড়ি দেখে সব কিছু করতে পারি, তখন তো প্রবলেম হয় না। সূর্যঘড়ি মানা যায়, চাঁদের ঘড়ি মানা যায় না। এখন তো প্রেডিক্ট করাই যায় যে কোথায় কখন চাঁদ উঠবে। ইচ্ছে করলেই খুবই স্পেসিফিক ক্যালেন্ডার বানানো যায়। না, উনাদের খালি চোখে দেখা লাগবেই। কিন্তু কি করে, সারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাঁদ দেখার খবর নেয়। দেশের কোন একটা অঞ্চলেই যদি চাঁদ দেখা যায়, তাইলে পুরা দেশে, যেখানে চাঁদ দেখা যায় নি, সেখানেও ঈদ রোজা শুরু হয়। কই, তখন তো বলে না, কই, সেই অঞ্চলের লোক তো খালি চোখে দেখে নাই। আসলে ছোট্ট একটা দেশের পরিসরে শরীয়াহ সিদ্ধান্ত কে ঠিকই মানা হয়, কিন্তু যেটা আসলে পৃথিবীর পরিসরে মানা দরকার ছিল। জানি না ভাই, তারপরও না বুঝলে ক্লান্ত বোধ করবো। ৪১ ।০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৪২ মাহফুজশান্ত বলেছেন: গেস্ট বিদায় দিয়ে আবার বসলাম- @মোঃ আরিফ রায়হান মাহি- আর আপনার আচরন আমার কাছে মনে হয়ছে কোন একটা বৃত্তের কোন একটা বিন্দুতে আপনি আটকে আছেন- আমার কোন আচরণে আপনার এমনটি মনে হলো? বুঝলাম না! আমার বৃত্তের সীমানা আছে বটে, তবে তার ব্যাসার্ধকে অন্তত আন্দাজ করতে হলেও আপনাকে আরও কিছু সময় ব্যায় করতে হবে- তবে আপনি কিন্তু সুপারসনিকের যুগে এবং আন্তর্জাতিক ঘড়ির যুগে এসেও সেই ৪৪৮ মাইলের সীমানা ও ঘোড় দৌড়ের সংবাদ পৌঁছানোর সময়ের মধ্যে আমাকে বেধে রাখতে চাইলেন। এমনটি আশা করিনি- @মনে নাই- আমি কিন্তু আগে থেকেই বলে আসছি- (২৫ নং কমেন্টে) আমার মনে হয় একই 'দিন অর্থাৎ দিবস' হিসেবে না বলে বা ভেবে, বরং একই আরবী তারিখ ধরে নেয়াটা বেশি যুক্তিযুক্ত। এভাবে বোঝানোর চেষ্টা নিলে মনে হয় সবারই বুঝতে সুবিধে হবে। তবে এরপরেও বিরূপ পরিস্থিতির কথা আমাদের স্বার্থেই মাথায় রাখাটা জরুরি মনে করি বলেই বিভিন্ন ভাবে আলোচনা করতে চেয়েছি- @বিবেক বিবাগী- মাহফুজ শান্ত ভাই, আপনি খুব কাছাকাছি এসে গেছেন। হয়তো এখন ব্যাপারটাকে একসেপ্ট করবেন, নয়ত বলবেন, যাই হোক, আমি মানি নাই- জী ভাই, আমাকে সব সময় সত্যের সাথেই পাবেন। আমরা 'দিন' বলা ছেড়ে যে 'নির্দিষ্ট তারিখ' বলার বিষয়টিকে আপাতত মেনে নিয়েছি, এটাও তো এই আলোচনার একটা প্রাপ্তি, তাইনা? তবে সত্যের পাশে যতক্ষণ কোন কিন্তু থাকে, ততক্ষণ আমি সাবধানই থাকি- আসলে ছোট্ট একটা দেশের পরিসরে শরীয়াহ সিদ্ধান্ত কে ঠিকই মানা হয়, কিন্তু যেটা আসলে পৃথিবীর পরিসরে মানা দরকার ছিল। জানি না ভাই, তারপরও না বুঝলে ক্লান্ত বোধ করবো। ক্লান্ত বোধ করবেন না, প্লিজ। আল-কোরআনের বিধান একটা দেশের পরিসরে যেমন মানা যায়, তেমনি গোটা পৃথিবীর পরিসরেও মানা সম্ভব। তবে এর জন্য বিশেষ উদ্যোগ, ধৈর্য সহ পরস্পরের সাথে আলোচনা, অন্যের বক্তব্য শোনা ও সেই অনুযায়ি একটা গ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত নেয়া প্রয়োজন- ইচ্ছে করলেই খুবই স্পেসিফিক ক্যালেন্ডার বানানো যায়- স্বাগতম, সেই স্পেসিফিক ক্যালেন্ডার বানানোর অপেক্ষায় রইলাম- অনেক বিরক্ত করলাম- ধন্যবাদ

৪২ ।০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১১ রাত ১২:১০ মনে নাই বলেছেন: সবার কাছে গ্রহনযোগ্য একটা ক্যালেন্ডার বানানো গেলেই এইসব জিনিস নিয়ে যাবতীয় আলোচনার ইতি টানা সম্ভব হবে, এবং এটাই হওয়া উচিত। আমরা এখন আর কখন গায়ের পশম দেখা যাবে সে আশায় যেমন বসে থাকিনা, আবার কখন গোধুলী রেখা মিশে যাবে সে আশায়ও বসে থাকিনা, তেমনি কখন চাদ দেখা যাবে, কখন মেঘ এসে চাদকে ঢেকে দিয়ে যাবে সে আশায়ও আমাদের বসে থাকা উচিত নয়। সায়েন্সে কোনকিছুই ১০০% অপরিবর্তনীয় নয়, কিন্তু তারপরও এইসকল জিনিসগুলান মোটামুটি সবার কাছেই গ্রহনযোগ্য, তাই চাদ দেখার ক্ষেত্রে সায়েন্সের সহায়তা আমরা নিতেই পারি। কেউ ২৯ রোযা করবেন, আবার কেউ ৩০ রোযা করবেন-বিষয়টা আমার কাছে মোটেও গ্রহনযোগ্য মনে হচ্ছে না। আবার আরবের রোযা, এশিয়ার রোযা, ইউরোপ-আমেরিকার রোযার মধ্য কোন তারতম্য থাকতে পারেনা, সকল মুসলিমের জন্য একই সাথে একই তারিখে রোযা শুরু হওয়া উচিত এবং সেইম তারিখে ঈদ হওয়া উচিত। @মাহফুজশান্ত, মোঃ আরিফ রায়হান মাহি, বিবেক বিবাগী- আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ।

জ্যোতিষ শাস্ত্র, জ্যোতির্বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ

[ আমি এ নিবন্ধটি লিখেছিলাম ২০০৫ সালে বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এসোসিয়েশনের ওয়ার্কশপের জন্য । এটি লিখতে মহাকাশ বার্তার বিভিন্ন সংখ্যা, বাংলাদেশের বিজ্ঞান চিন্তা, মহাবিশ্ব, Cosmos, Astronomy for kids প্রভৃতি বইয়ের সাহায্য নিয়েছি । বাংলাদেশ ন্যাশনাল আর্কাইভসে রক্ষিত বিশ্বকোষগুলোরও সাহায্য নিয়েছি । অনেকের কাছে বেশ কিছু অংশ কপি পেস্ট মনে হতে পারে । এক্ষেত্রে আমার অভিমত, এক্ষেত্রে আমি গবেষক না । গবেষণা করে এক্ষেত্রে নতুন তথ্য বা তত্ত্ব দিতে আমি অক্ষম । ]


 প্রাচীনকালে পুরোহিতদের মধ্যে সব ধরনের জ্ঞান-চর্চা সীমাবদ্ধ ছিল। জ্যোতিষশাস্ত্রও ঠিক তেমনি পুরোহিতদের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। সুদীর্ঘ কাল ধরে প্রাচীন ইরাকী পুরোহিতদের আকাশমন্ডল পর্যবেক্ষন থেকেজ্যোতিষ-চর্চার সূত্রপাত হয় । আজ যে স্থানে আধুনিক ইরাক সেখানে গড়ে উঠেছিল সুমের, ব্যাবিলন, ক্যালডিয়া আর মেসোপটেমিয়া নামের বিভিন্ন দেশ। আর এসব দেশে আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আগে জ্যোতিষশাস্ত্রের উদ্ভব।


আড়াই হাজার বছর আগে গ্রীকরা জ্যোতিষ শাস্ত্রকে বিভিন্ন বিধিবদ্ধ নিয়মের অধীনে আনেন। তাঁরা তারার জগতে সূর্যের আবর্তনের পথকে বারটি ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন দেব-দেবী ও বিমূর্ত-মূর্ত প্রানীদের নামে নামকরণ করেন। প্রথমে জ্যোতিষ শাস্ত্র রাজদরবারের বিষয়বস্তু হলেও পরে তা জনসাধারনের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। মানুষের বিশ্বাস ও ধর্মীয় অনুভুতির সুযোগ ব্যবহার করে জ্যোতিষরা তাঁদের কল্পনাকে আকাশের ঘটনার সাথে পৃথিবীর ঘটনার সাথে মিলাতে থাকলেন। কারণ প্রাচীন কালের মানুষের বিশ্বাস ছিল দেব-দেবীদের নিয়ে সৃষ্টিকর্তা তাঁর স্বর্গে অবস্থান করছেন। আর দেব-দেবীরা সৃষ্টিকর্তার আদেশে তারার জগতে অবস্থান করছেন। যখন কোন আকাশে বিরল জ্যোতিস্ক আর্বিভূত হতো অথবা ঘটতো সূর্য গ্রহন ও চন্দ্র গ্রহন,তখন এসব দূর্লভ ঘটনাকে জ্যোতিষরা মানুষের ধর্মীয় অনুভূতি ব্যবহার করে বলা শুরু করতো সৃষ্টিকর্তা বা কোন নির্দিষ্ট দেব-দেবী মানব জাতির প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন,ঘনীয়ে আসছে বিভিন্ন দুর্যোগ। এসব শুনে মানুষ ভীষন ভয় পেতো। আর রাজ-রাজারা তাদের প্রভাব বলয় অনুকুলে রাখার জন্য জ্যোতিষ আর ধর্মজীবিদের পৃষ্টপোষকতাই করতেন না বরং তাঁদের রাজকীয় পদ দিয়ে সম্মানিত করতেন।



‘‘জ্যোতিষ শাস্ত্র কি বিজ্ঞান?” এ প্রশ্ন যেমন আগেও ছিল এই একবিংশ শতাব্দীতে আছে। বিজ্ঞান পরীক্ষা-নিরীক্ষা, তত্ত্ব উপাত্তের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞান পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে রহস্য উম্মোচন করে। বিজ্ঞানের বিভিন্ন পর্যায়কে ভাগ করলে যে আটটি ধাপ পাওয়া যায় ।


সেগুলো হলোঃ
(১) পর্যবেক্ষন, (২) তুলনাকরন, (৩) শ্রেনীকরন, (৪) পরিমান নির্ধারন, (৫) পরিমাপন, (৬) পরীক্ষা-নিরীক্ষা, (৭) সিদ্ধান্ত গ্রহন ও (৮) ভবিষ্যদ্বানী করণ।

জ্যোতিষ শাস্ত্র বিজ্ঞানের এসব পর্যায় অবলম্বন করে গড়ে ওঠেনি বলে জ্যোতিষ শাস্ত্র বিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত নয় ।

জ্যোতির্বিজ্ঞান (Astronomy) হতে জ্যোতিষ শাস্ত্র মূলত উদ্ভব হয়েছে । আকাশের জ্যোতিষ্কসমূহের অবস্থান, তাদের গতিবিধি এবং তাদের প্রকৃতি সম্পর্কে জানার বিজ্ঞানকে জোতির্বিজ্ঞান বলা হয়। বর্তমানে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত।


কোন গ্রহ-নক্ষত্র অপরটি হতে কত দূরে তা জানার জন্য জ্যোতির্বিজ্ঞানের যে শাখা আছে, তাকে বলা হয় ‘‘গানিতিক ও জোতিষ্ক জ্যোতির্বিজ্ঞান” (Mathematical and Spherical Astronomy)। গ্রহ-নক্ষত্র কিভাবে তৈরী হয়েছে তা জানার বিজ্ঞানকে বলা হয় জ্যোতিঃ পদার্থ বিদ্যা (Astrophysics)। মহাকাশে যাতায়াত করার বিদ্যাকে বলা হয় মহাকাশ যাত্রা বিদ্যা ।


মহাকাশযান বা এ সম্পর্কিত প্রযুক্তিগত বিদ্যাকে বলা হয় এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। cosmology এতসব বিজ্ঞানের শাখার সাথে গণিত ও আধুনিক তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে জ্যোতির্বিজ্ঞানের নিবিড় সম্পর্ক আছে।

পূর্বেই বলেছি, মানুষের হাত দেখা, জন্মলগ্ন এবং হাব-ভাব দেখে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বলে দেওয়া ও এ সম্পর্কিত দিক নির্দেশনা দেওয়ার বিদ্যা জোতিষ শাস্ত্র ( Astrology) বিজ্ঞানের বিষয় নয় । যারা মানুষের হাত দেখেন তাদের বলা হয় গণক বা জোতিষী (Astrologer)।

 অপরদিকে গ্রহ, উপগ্রহ ও নক্ষত্র নিয়ে হাতে-কলমে পরীক্ষা- নিরীক্ষা করেন, তাদের বলা হয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী ( Astronomer)। অনেক জ্যোতিষী বা ভাগ্যগননাবিদ বলে থাকেন তারা গ্রহ-নক্ষত্রের চর্চা করে ভাগ্য গননা করেন। এ কথার সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। কারন রাশিফল ব্যাখ্যা করার সময়ই কতকগুলো গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধির কাল্পনিক হিসাব বলা হয়। এদের মধ্যে রবি (সূর্য) এবং সোম (চাঁদ)-কে গ্রহ ধরা হয়েছে। তাছাড়া রাহু ও কেতু নামের আরও দুটি গ্রহ কল্পনা করা হয়। আর ভাগ্যগননাবিদরা কল্পনা করেন, পৃথিবীকে কেন্দ্র করে সূর্য ও অন্যান্য গ্রহ-নক্ষত্ররা ঘুরছে। সুতরাং ভাগ্য গননা বা জোতিষ শাস্ত্রের সাথে বিজ্ঞানের নূন্যতম সম্পর্ক থাকা দূরে থাক তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কের প্রশ্নই আসে না।

বর্তমানে অনেক জোতিষী কম্পিউটারের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে ভাগ্য গননার কথা বলে থাকেন যা এক ধরনের প্রতারনা ছাড়া আর কিছুই নয়। তবে এক শ্রেনীর মানুষের কাছে ভাগ্যগননা বিদ্যা চাঁদে যাওয়ার বিদ্যার চাইতে অনেক বেশী জনপ্রিয়। এসব মানুষের জীবনে হতাশা ও নিজেদের সাফল্যের ব্যাপারে আস্থাহীনতা ও বিজ্ঞানমনস্কতার অভাব রয়েছে। এজন্য তারা ভাগ্য গননাবিদদের দারস্থ হয়।

অপরদিকে জ্যোতির্বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের সবচেয়ে জটিল ও কঠিনতম বিষয়। জ্যোতির্বিজ্ঞান বরাবরই ব্যয় বহুল। চাঁদে অভিযানের প্রকল্প পরিচালনায় খরচ হয়েছিল দুইশত কোটি ডলারের বেশী অর্থ যা বাংলাদেশের তৎকালীন বাজেটের বিশ গুন।

জ্যোতির্বিজ্ঞান জ্যোতিষ শাস্ত্র অপেক্ষা কম জনপ্রিয় হওয়ায় আরোও একটি বড় কারন হলো গনমাধ্যম এবং ধর্মজীবিদের ভ্রান্ত ও যুক্তিহীন কর্মতৎপরতা। এ ধরনের একটা ঘটনার মাধ্যমে এদিকটা স্পষ্ট বোঝা যায়। ১৯৬৯সালের জুলাই মাসে মানুষ চাঁদে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল এবং এক সময় (২১শে জুলাই) তা সাফল্যজনকভাবে শেষ হয়, তখন বাংলাদেশের কিছু ধর্মজীবি বলেছিলেন,‘‘ওরা চাঁদে যায়নি। কোথা থেকে ঘুরে এসে কয়েকটা পাথর নিয়ে এসে বলছে চাঁদ থেকে ঘুরে এসেছি। ভেল্কিবাজি আর কাকে বলে। চাঁদে যাওয়া সম্ভব নয়।” ১৯৬৯সালে আমেরিকান দূতাবাসসমূহ বিভিন্ন দেশে চাঁদ থেকে সংগ্রহ করা পাথর ও মাটি প্রদর্শন করা এবং চাঁদে অভিযানকারীদের কার্যক্রম দেখানোর প্রক্রিয়া সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে তারা একথাগুলো বলেন। বরাবরই গণমাধ্যম বির্তক ও দ্বিধা- দ্বন্দ জিইয়ে রাখতে পছন্দ করে বলে তাদের কথাগুলোই গুরুত্বের সাথে প্রচারিত হয়েছিল । এসব ধর্মজীবিদের মতে ‘‘জোর্তিবিজ্ঞান ও জোতিষশাস্ত্র অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। এ দুই বিদ্যা মানুষের মনে উম্মাদনা জাগিয়ে ধর্ম বিশ্বাসকে দূর্বল করে ফেলে। আর বেঁচে থাকার জন্য এ পৃথিবীই যথেষ্ট। পৃথিবীর বাহিরে কেন তৎপড়তা ? তাতে মানুষের কি কল্যান আছে ? ”


বিজ্ঞান চায় রহস্যের পূর্ন সমাধান। বিজ্ঞানের মৌলিক গবেষনা সব সময়ই ব্যয়বহুল হলেও এক সময় তার ফলাফল জনগনের দোড় গোড়ার পৌছে যায়। এর সফলতা ভোগ করে জনগনই। অতীতকাল হতেই জ্যোতিষীদের ভবিষ্যদ্বানী ও তৎপরতা অনেক লোকই স্বাভাবিকভাবে নিতো না। আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে গ্রীসে এপিকুরিয়ান নামে একদল পন্ডিত জোতিষ্ক শাস্ত্র মানতেন না। তারা বলতেন আকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের গতি প্রাকৃতিক নিয়মেই ঘটে। এতে দেব-দেবীদের খেয়াল-খুশির কোন সম্পর্ক নেই।

জ্যোতিষ শাস্ত্রের জোড়লো বিরোধীতা চোখে পড়ে ইহুদী ও ইসলাম ধর্মে। এ দুই ধর্মের সৃষ্টি জগতে জ্ঞাত ও অজ্ঞাত সকল বস্তু ও বিষয়ের সৃষ্টিকর্তার প্রতি দ্বিধাহীন আনুগত্যের কথা আছে ; আর আছে ভাল-মন্দ সব কিছু সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে হয়। আর এজন্য অনেক মুসলিম বিজ্ঞানীদের দেখা যায় জ্যোতিষ শাস্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে।

আজ থেকে প্রায় হাজার বছর আগে আলবেরুনী (৯৭০-১০৪৮ খৃ.) জোতিষ শাস্ত্রের বিরুদ্ধে বই লিখেন। তাঁর এ ধরনের একটি বইয়ের নাম ছিল ‘‘জোতিষীদের মিথ্যা ভবিষ্যদ্বানীর বিরুদ্ধে সতর্কবানী”। তাতে তিনি দেখান যে, জ্যোতিষীরা গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানের ভিত্তিতে ভাগ্য নির্নয়ের দাবী করলেও তাদের বিভিন্ন ভবিষ্যদ্বানী অনেক ক্ষেত্রেই পরস্পর বিরোধী।

জ্যোতিষীরা ভাগ্য গননার জন্য তৈরী করেছেন রাশিচক্র। রাশিচক্র একটি চক্রাকার চিত্র, যাতে বিশেষ কোন দিনে তারা মন্ডলের পটভূমিতে দেখানো হয় বিভিন্ন গ্রহ, সূর্য ও চাঁদের অবস্থান। এই অবস্থান অনুসারে নেওয়া হয় ভাগ্য গননার সিদ্ধান্ত। পশ্চিমা বিশ্বে শুক্র (ভেনাস)-কে প্রেমের দেবী, তাই যদি শুক্র যদি রাশি চক্রে বিশেষ স্থানে থাকে, তাহলে জ্যোতিষীরা বলে থাকেন জাতকের উপর প্রেম ভর করেছে। অপর দিকে ভারতীয় পুরান শুক্র অসুরদের গুরু, তাই ভারতীয় মতে জ্যোতিষীরা বলে থাকেন জাতকের উপর প্রেমের বদলে হিংস্রতা ভর করেছে। কোন ব্যক্তি পশ্চিমা দেশের রাশিচক্র অনুসারে ভুগবে প্রেমে এবং ভারতীয় মতে হিংস্রতায় মেতে উঠবে; যা পরস্পর বিরোধী। জাতকের গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাব আগে থেকেই প্রাচীন জ্যোতিষীরা স্থির করে গিয়েছেন। এখনও জ্যোতিষীরা অনুসরন করেন তাঁদের প্রাচীন নিয়ম। প্রাচীন জ্যোতিষীরা চার হাজার বছর আগে তারার পটভূমিতে সূর্যের পথ অনুসারে রাশিচক্রে স্থির করেছেন বারটি রাশি। তাদের মতে সূর্য হয় বারটি তারা মন্ডলের ভেতর দিয়ে ভ্রমন করে তাদের বলা হয় রাশি। তারা প্রত্যেক রাশিকে একেক বৈশিষ্ট্যপূর্ন বলে মনে করেন এবং এতে জাতকের উপর পড়ে বিশেষ প্রভাব। বাস্তবে সূর্য রাশিচক্রের তারাদের ভেতর দিয়ে ভ্রমন করে না এবং প্রাচীন জ্যোতিষীদের মত অনুযায়ী সূর্য চিরকাল একই রাশিতে উদিত হয় না।


 খ্রিষ্ঠপূর্ব ১৮৬৭ অব্দে ২১ মার্চে (বসন্ত বিষুব) সূর্য আকাশ গোলকের বিষুবরেখা পেরিয়ে উত্তর গোলার্ধের যে স্থানে প্রবেশ করে সেস্থানে ছিলেন মেষ রাশি। তাই ২১ মার্চ হতে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে যারা জন্মে তারা মেষ রাশির জাতক-জাতিকা। তখনকার দিনের জ্যোতিষরা মনে করতেন সূর্য চিরকাল এ সময় মেষ রাশিতে থাকবে। বর্তমানে সূর্য ২১ মার্চে মেষ রাশি নেই। কারন পৃথিবীর অভিমুখ বদল হয় বলে এ অবস্থা হয়েছে। প্রতি ২৬০০০ (ছাব্বিশ হাজার) বছর পর পর সূর্য পূর্বের রাশিতে আগমন করে। আর এ কারনে ধ্রবতারাও বদল হয়। খ্রি.পূ. ১২৫০০ অব্দে সূর্য ছিল কন্যা রাশিতে আর এখন তা আছে মীন রাশিতে। সুতরাং এখন রাশিচক্রের রাশির সাথে সূর্যের রাশির কোন মিল নেই। তাই এখনও ২১মার্চ-১৯এপ্রিলে যাদের জন্ম তারা মেষ রাশির। যদিও সূর্যের অবস্থান এখন অন্য কোন রাশিতে। সুতরাং আমাদের দেখা আকাশের সাথে জ্যোতিষ শাস্ত্রের কোন সম্পর্ক নেই।

জ্যোতিষীদের ভবিষ্যদ্বানী অধিকাংশ সময় মিথ্যা প্রমানিত হয় বলে এখন তারা জাতক- জাতিকাদের ভাগ্য ও শুভ - অশুভ সম্পর্কে না বলে পূর্বাভাস ও হিতোপদেশ দেন। তার সবচেয়ে বড় প্রমান বাংলাদেশের বাংলা দৈনিক গুলোর প্রতিদিনের রাশিফল। জোতিষীদের ভবিষ্যদ্বানী জাতক-জাতিকাদের থেকে আরোও বড় এলাকায় বারবার ব্যর্থ হয়েছে । বিংশ শতাব্দীতে ১৯৮২ এবং ১৯৯৮ সালে গ্রহগুলো একই রেখায় যুক্ত হওয়ায় জোতিষীরা বলেছিলো ভূমিকম্প ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ পৃথিবী জুড়ে দেখা দিবে। এ ধরনের বিপর্যয়ই যেসব বছর ঘটেনি। কোন এক সময় প্রাচীন জ্যোতিষীরা দেখেছিল আকাশে লুব্ধক একটা নির্দিষ্ট অবস্থানে থাকলে বর্ষাকাল আসবে। কিন্তু পৃথিবীর কক্ষপথে আবর্তনের কারনে বর্ষা আসে । আগের দিনের মানুষেরা একটি ঘটনার পর আরেকটি ঘটনা ঘটতে দেখলে তাদের সম্পর্কিত করতো, খোঁজতো তাদের মধ্যকার সম্পর্ক । মনে করতো আগেরটির জন্যই এই ঘটনাটি ঘটেছে। জ্যোতিষ শাস্ত্র এভাবেই তৈরী হয়েছে।


আকাশ আজ আর মানুষের কাছে রহস্যময় বিষয় নয়। শক্তিশালী দূরবীক্ষন যন্ত্র এবং মহাকাশে অভিযান আকাশের রহস্য উম্মোচন করলেও জ্যোতিষীদের এ ব্যাপারে কোন দুশ্চিন্তা নেই। এতে জ্যোতিষ শাস্ত্রের জনপ্রিয়তাও কমছে না। এতে আমার মনে হয় মানুষকে দোষ দেওয়া যায় না। অজ্ঞনতা, বিজ্ঞানমনস্কতা, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিমন্ডলের ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে পারলেই জ্যোতিষ শাস্ত্রের প্রতি মানুষের আকর্ষন কমে যাবে। আর জ্যোতির্বিদ্যার চর্চা সমাজের দোড়গোড়ায় পৌছে দিতে হবে। তাহলেই আমরা আলোকিত ও বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ পাবে।

ডাকটিকেট সংগ্রহের ইতিকথা

[আমি এই নিবন্ধটি ১৯৯০ সালে আমার স্কুলের ওয়াল ম্যাগাজিনের জন্য লিখেছিলাম । প্রথমে এটা দেওয়ালেই ছিল । ছেলেরা পড়তো আর বলতো আমরাও ডাকটিকেট সংগ্রহ করবো । পরবর্তীতে স্কুলের বার্ষিক স্মরণীকাতে নিবন্ধটি ছাপা হয় । তখন আমি স্কুল ছেড়ে কলেজে ভর্তি হয়েছি । এখনো আমি ডাকটিকেট সংগ্রহকারী । আশা করি আমার এই নিবন্ধটি আপনাদের ভালো লাগবে । ]

 ডাকটিকেট সংগ্রহ বিশ্বে শখের রাজা হিসাবে স্বীকৃত এবং পৃথিবীতে যত শখ আছে তার মধ্যে সব চাইতে দামী শখ হচ্ছে- ডাকটিকেট সংগ্রহ। ডাকটিকেট সংগ্রহ শুধু সাধারণ মানুষের শখই নয় বরং বিশ্বের অনেক বড় বড় রাজা-রাণীর এ শখ ছিল এবং বর্তমানেও আছে। উদাহরণ স্বরুপ বলা যায় ইংল্যাণ্ডের রাজা ৫ম জর্জ। ডাকটিকেট সংগ্রহ কেন মূল্যবান শখ তা একটি উদাহরণ থেকেই বোঝা যাবে। উদাহরণটি হল- ১৯৬০ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ অর্লিনস রাজ্যের ওয়েলস্ কোম্পানী মরিসাস (Mauritius)- এর একটি দুর্লভ এবং ছাপায় ভুল হয়ে যাওয়া ডাকটিকেট একটি খামসহ ২ লক্ষ ৮০ হাজার মার্কিন ডলারে এক ধনাঢ্য ব্যক্তির নিকট হতে ক্রয় করেন। ঠিক এমনই একটি ডাকটিকেট রাজা পঞ্চম জর্জ ১৪৪০ পাউন্ড (ষ্টালিং)-এ ক্রয় করেন। সুতারং ডাকটিকেট সংগ্রহ হলো মূল্যবান শখ গুলোর অন্যতম।


 কখন থেকে ডাকটিকেট সংগ্রহ মানুষের শখ হয়ে দাঁড়ায় তার সঠিক তথ্য আজও অজানা। ১৮৪০ সালের ৬ই মে ইংলেল্যাণ্ডের এক ভূগোল শিক্ষক স্যার রিওল্যাণ্ড হিল (Sir Rowland Hill)-এর চেষ্টায় ইংল্যাণ্ডের ডাকটিকেট এক পেনি মূল্যের আয়তাকার কালো রং-এর ডাকটিকেট প্রকাশ করে। কালের বিবর্তনের সাথে সাথে ডাকটিকেটের আকৃতি এবং রং বদলে গেছে।তখনকার ডাকটিকেট আজকের ডাকটিকেটের মতো ছিদ্রযুক্ত ছিল না ছিদ্রযুক্ত ডাকটিকেটের প্রবর্তন হয় ১৮৫৪ সালে।


ডাকটিকেটের প্রথম প্রকাশকারী দেশ হিসাবে ইংল্যাণ্ডের ডাকটিকেট আজও দেশের নাম (England) ছাপা হয় না। এ ব্যাপারটি ১৮৪০ সাল হতে চলে আসছে। তখন মানুষ ডাক মাশুল হিসাবেই ডাকটিকেট ক্রয় করতে না। ঘর সাজাবার জন্যও ক্রয় করত। এজন্য তাদেরকে ডাকটিকেট সংগ্রাহক বললেও ভুল হবে না। অনেকে ডাকটিকেট সংগ্রহকে হেয়ালী প্রকল্প এবং পাগলামী কাণ্ড বলে উপাধি দিলেও এটি একটি শিক্ষার মাধ্যমও বটে। অনেক ছোট খাট ডাকটিকেট এর সত্যতা প্রমাণ করে।


নিম্নের ডাকটিকেটগুলো বিষয়বস্তুর দিকে লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে এগুলোতে অনেক শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। আবার বিশ্বে ডাকটিকেট বিদ্যা (Philately ফিলাটেলি) নামে একটি আলাদা বিষয় রয়েছে। এ বিষয়ে অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করে ডাকবিভাগে চাকুরী পাচ্ছে। একটি ডাকটিকেট হতে সর্বপ্রথম অজানা স্বাধীন রাষ্ট্রের নাম (যথাঃ ভানুয়াত Vanuatu), উপনিবেশ (যথাঃ- ফ্রান্স গিয়ানা- GUYANA FRANCAISE), কোন স্বাধীন রাষ্ট্রের পুরাতন নাম (যথাঃ- নামিবিয়ার পুরাতন নাম ছিল-উত্তর পশ্চিম আফ্রিকা), কোন স্বাধীন দেশের সরকারী নাম লিবিয়া (সরকারী bvg-Socialist Peoplies Libyan Arab Jamahiriya) এবং কোন স্বাধীন দেশের বিশেষ অংশ ও রাজ্যের নাম (যথাঃ- আরব আমিরাত U.A.E এর একটি রাজ্য দুবাই) - এর নাম জানা যায়। তারপর বিভিন্ন দেশের ভৌগোলিক অবস্হান, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং প্রত্নতাত্ত্বীক কাহিনী জানা যায়। আবার অনেক দেশের বেশ কিছু ডাকটিকেট মুদ্রা হিসাবে (কয়েন স্ট্যাম ) ব্যবহার হয়। আবার অনেক দেশের ডাকটিকেট হতে সে সব দেশের জাতীয় সংগীত এবং জনপ্রিয় গানের সুর বাজানো যায়- অনেকটা বলা যায় একপ্রকার বাদ্য যন্ত্রের মতো। এসব ডাকটিকেটে টোকা দেওয়ার সাথে সাথে গানের সুর ধ্বনিত হয়। এ ধরণের ডাকটিকেট দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভূক্ত দেশ ভুটান (Bhutan) বের করেছে। উল্লেখ্য যে, ভুটান ডাকটিকেট রপ্তানীতে বিশ্বের অন্যান্য দেশ হতে অনেক উন্নত।


জেনে রাখা উচিত ডাকটিকেট শুধু চারকোনাই হয় না। আবার ত্রিভুজ পঞ্চভুজ, ষড়ভুজ, অষ্টভুজ, ট্রাপিজিয়ামের মতো, তাসের হরতনের মতো, পানের পাতার মতো, এমনকি একটা দেশের ম্যাপের মতোও ডাকটিকেটের আকার হতে পারে। আবার ডাকটিকেট শুধু কাগজেই মুদ্রিত হয় না বরং খাঁটি সোনা-রূপা দিয়েও তৈরী হয়। এ পর্যন্ত বিচিত্র সব আকার এবং প্রকারের ডাকটিকেট সবচেয়ে বেশী বের করেছে ভুটান । বাণিজ্যিক ভিত্তিতে ডাকটিকেট তৈরীতে ভুটান বিশ্বে শীর্ষস্থানীয়। তার সাথে জানা উচিত বিশ্বের ছোট ও বড় ডাকটিকেট যথাক্রমে বলিভিয়া এবং সোভিয়েত রাশিয়ায় প্রকাশিত হয়েছিল যথাক্রমে ১৮৬৩ এবং ১৯৬২ সালে।


স্যার জন রিওল্যাণ্ড হিল যদিও ডাকাটিকেট বের করায় অবদান রাখেন, তার চাইতে বেশী অবদান হচ্ছে প্রাচীন রোম সাম্রাজ্যের সম্রাট অগাষ্টিন সিজারের। ডাক ব্যবস্থা প্রবর্তনে তার বিশেষ অবদান রয়েছে। আবার ডাক ব্যবস্থার বিকাশ লাভ করে ওসমানীয় খলিফাগণের হাতে । ডাকটিকেট সংগ্রহ করে অনেক কিছু জানা যায়। তা আগেই বিস্তারিতভাবে লিখেছি। ওহ! এত্ত সব লিখতে লিখতে একটি কথা ভুলে গেছি, তা হলো- গ্রীস এক সময় এমনসব ডাকটিকেট বের করেছিল যাতে ইশপের গল্প মুদ্রিত ছিল। যারা গল্প শুনতে এবং পড়তে ভালবাসেন তাদের জন্য তা খুবই মজার। আবার যারা ফুল-ফল এবং পশু-পাখী পছন্দ করেন তারা ডাকটিকেট সংগ্রহ করে এসম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারেন এবং অবসর সময়কে স্বার্থকভাবে ব্যবহার করতে পারেন ।

০৬ ই আগস্ট, ২০১১ রাত ১২:৪১

সারা বিশ্বে একই দিনে ঈদ

আজ আমি প্রথম ব্লগ পোস্ট করছি । আমার পোস্টকৃত নিবন্ধটি আমার লেখা নয় । কিন্তু এটি আমার সবচেয়ে প্রিয় নিবন্ধ । তাই সবার সাথে শেয়ার করছি । গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি । ধন্যবাদ সবাইকে। উৎস : দৈনিক ইনকিলাব ১৯৮৮ ইং আগস্ট রোজ বৃহস্পতিবার ১৪০৯ হিজরী লেখক : মাওলানা ড.আবদুল্লাহ আল-মারুফ মুহাম্মদ শাহ আলম উপপরিচালক,ইসলামী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এম, এম, এম, এফ (ফাস্ট ক্লাস ফার্স্ট) লিসান্স. (ডিসইটস্ককশন) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় মদীনা মুনাওয়ারাহ [সত্য প্রতিষ্ঠা ও সত্য অন্বেষার ক্ষেত্র সুবিস্তৃত। অনুসন্ধান, গবেষণা এবং যথার্থ বিশ্লেষণের আলোকে মূল সত্যে উপনীত হওয়ার কালজয়ী অনুপ্রেরণা ও মত বিনিময়ের শুভ সূচনার লক্ষ্যেই আমরা এই প্রবন্ধটি উপস্থাপিত করছি। গবেকগণ এ ব্যাপারে এগিয়ে আসবেন, এটাই আমাদের কামনা । ( বিভাগীয় সম্পাদক : ইনকিলাব) ইসলাম সমগ্র মানবতার একমাত্র দ্বীন। সেজন্য এর আচার-অনুষ্ঠানগুলোও বিশ্বজনীন। বিশ্ব মুসলিমের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে কাজ করছে এই সব ইবাদত অনুষ্ঠাগুলো। রমজানের সিয়াম সাধনা এর অন্যতম। আল-হেলাল বা নতুন চাঁদ দেখার মাধ্যমেই প্রমাণিত হয় যে, পৃথিবীতে রমজান এসে গেছে। বিশ্বময় এ মেহমানের আগমনে সাড়া পড়ে যায়। কারণএ নতুন চাঁদটি যে বিশ্বের সবার জন্য। আল্লাহ তায়ালার কালামে রয়েছে- “হে নবী ! আপনাকে নতুন চাঁদ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করছে। আপনি বলে দিন, এটা সকল মানবমণ্ডলীর জন্য চিরস্থায়ী ক্যালেণ্ডার এবং হজ্বের সময় নির্ধারক।” ২/১৮৯ হাদীস শরীফে এ সম্পর্কে অনেকগুলো সমর্থক রেওয়াতে এসেছে যেমন- নতুন চাঁদ দেখে সওম আরম্ভ কর আর তা দেখেই ঈদ কর। যদি আকাশ আচ্ছন্ন থাকে তাহলে ৩০ দিন পুরা কর। অন্য বর্ণনায় রয়েছে- সময়কে নিধারণ কর। (বুখারী ও মুসলিশ) হাদীসে যেহেতু রাসূলুল্লাহ (সঃ) তাঁর উম্মতকে ব্যাপকভাবে সম্বোধন করেছেন নতুন চাঁদের উদয়ের স্থান কাল ও কোন দেশ বা জাতি নির্বিশেষে এ নির্দেশ আরোপিত হয়েছে। এজন্যই এ হাদীসটিকেই মাজহাবের ইমামগণ সারা দুনিয়ায় এক হুকুম-এর সুদৃঢ় ভিত্তি হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। ইমাম আবু হানীফা (রাঃ), ইমাম মালেক (রাঃ), ইমাম আহমদ (রাঃ) ও প্রখ্যাত আলেমগণ এ হাদীসের সম্বোধন ব্যাপক ও বিশ্বজনীন হওয়ার যুক্তিতেই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, যদি পৃথিবীর এক প্রান্তে প্রথম চাঁদ দেখা যায় তাহলে অন্য প্রান্তে সে খবর নির্ভরযোগ্য সূত্রে প্রমাণিত হলে তাদের উপরও একই দিনে রোজা শুরু ও ঈদ করা ফরজ। কারণ নতুন চাঁদ উদয়ের স্থানের বিভিন্নতার কোন গুরুত্ব নেই এবং সর্বপ্রথম হেলালকেই সারা বিশ্বের সকলের অনুসরণ করতে হবে। (উপরোক্ত বক্তব্য প্রমাণের জন্য দেখুনঃ সিয়াম অধ্যায়- ফাতাওয়া, শামী, আলমগীরি, মারাকিউল ফালাহ, বাহ্রুর রায়েক, কাজীখান, ফাতহুল কাদীর, বাজাজিয়াহ, আল ইখতিয়ার, আল-ফিকহুল ইসলামী। মালেকী মাজহাবের আল-মনুতাকা, শরহে জুরকানী, আশ সরহুছ ছগীর, ফাতহুর রাহীম, হাম্বলী মাজহাবের- মুগনী, রওদুন নাদী, জাদুল মুসতাকান, আস-আলসাবীল ফি মারেফাতিদ দালীল, আল-কাফী আল-মুর্হারের ইত্যাদি কিতাব) কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় যে, আমাদের দেশে স্থানীয়ভাবে নতুন চাঁদ দেখার উপর নির্ভরের যুক্তি নতুন চাঁদ দেখে রোজা রাখ, নতুন চাঁদ দেখে ভাঙ্গ। প্রশ্ন হচ্ছে , কারা দেখবে? বিশ্বের সকল রোজাদারকেই কি নতুন চাঁদ দেখতে হবে ? না, কিছু লোক দেখলেই চলবে। সে কিছু কতজন কমপক্ষে? আবার তারা, কি প্রত্যেক দেশের হতে হবে, না কি কোন এক দেশের কেউ হলেই চলবে। ইত্যাকার প্রশ্নদির জওয়াব উপরোক্ত হাদীসেই রয়েছে- সম্বোধন যেহেতু আ’ম (ব্যাপক) কাজেই যে কোন দেশের কেউ দেখলেই হবে। রমজান শুরুর বেলায় মেঘলা আকাশে চাঁদ দেখা গেছে বলে, একজন সাক্ষ্য দিলেই তা গ্রহণীয় অবশ্য সমাপ্তির বেলায় কমপক্ষে দু’জন সাক্ষী লাগবে। আর আকাশ পরিস্কার থাকলে কয়েকজন সাক্ষীর দরকার হবে। তবে নির্দিষ্ট কোন দেশের লোক হওয়া শর্ত নয়। প্রথম দেখাই হল বড় কথা । আমরা হানাফী মাজহাবের হয়েও এতকাল যাবত শাফেয়ী মাজহাবের অনুকরণে স্থানীয় দেখার উপর ঈদ, রোজা করে আসছিলাম ওজরের কারণে। কিন্তু দ্রুত যোগাযোগ মাধ্যম আবিষ্কৃত ও সহজ লভ্য হবার কারণে বহু পূর্বেই সে ওজর দূর হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু তবুও আমরা অবচেতনভাবে আগের মত করে যাচ্ছি। অনেক আলেম তো রেডিও - টিভিকে যাদুর বাক্স বলেই দায়িত্ব সেরে ফেলেছেন। অনেকের ধারণা, নতুন করে করতে গেলে ফেতনা বাড়বে। প্রশ্ন হচ্ছে, ফরজ সিয়াম ও ওয়াজিব ঈদ যদি সঠিকভাবে কারার পদক্ষেপকে ফেতনা বলেন, তাহলে ফেতনা জিনিসটা কি জানতে ইচ্ছে হয়। সরকারীভাবে উদ্যোগ নিলে তো আর এ ধরনের মতানৈক্যের প্রশ্ন উঠতো না। ঢাকায় ১৮৮৩ সালে ইসলামী পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে ওআইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে, অভিন্ন তারিখে গোটা মুসলিম বিশ্বে ইসলামী ইবাদত অনুষ্ঠানগুলো করা হবে। তখন ইস্তাম্বুল ভিত্তিক হেলাল কমিটি এসে রিপোর্টও দেন যে, সারা বিশ্বের আলেমদের মতৈক্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে যে, একই দিনে সারা বিশ্বে রোজা আরম্ভ ও ঈদ করাই শরীয়তের বিধান এবং তা আধুনিক বেতার যুগে পালন করা সম্ভব। কিন্তু কই অন্যান্য বিষয়ের মত ইসলামের এ রুকনটিও কাণ্ডজে সিদ্ধান্তই রয়ে গেল। সত্যি কথা বলতে কি এটা এখন আমাদের জাতীয় সমস্যা। হানাফী মাজহাবে যে সিদ্ধান্ত রয়েছে তা গ্রহণ করে বৃহত্তর মুসলিম বিশ্বের সাথে প্রথম হেলাল-দর্শনকে ভিত্তি করে একই দিন রোজা শুরু করে একই দিন ঈদ পালন করলে একদিকে যেমন কিতাব অনুযায়ী আমল হবে অন্যদিকে এক উম্মাহ্ চেতনা আরো জোরদার হবে। বর্তমানে আমরা যেভাবে রোজা ও ঈদ পালন করছি এটা শাফেয়ী মাজহাবের মতে হচ্ছে। এমনকি শাফেয়ী মাজহাব যে ৪৮০ মাইলকে একটি হেলাল-দর্শনের আওতা বলে রায় দিয়েছেন । অভিন্ন পাকিস্তান আমলে লাহোর-পিণ্ডিতে চাঁদ দেখলে পূর্ব-পাকিস্তানেও ঈদ করা হতো। এখন কখনো কখনো তারা আমাদের ১ দিন আগে ঈদ করে যাচ্ছে। সন্দেহ নিরসনের জন্য বলতে হয় হানাফী মাজহাবসহ তিনটি মাজহাবের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো :নতুন চাঁদ উদয়ের স্থানের বিভিন্নতার কোন গুরুত্ব নেই এবং সর্বপ্রথম হেলালকেই সারা বিশ্বের সকলের অনুসরণ করতে হবে। দেশে দেশে সময়ের যে ব্যবধান তাতে ২৪ ঘন্টার (১ দিনের) পার্থক্য হয় না। স্থানীয় সময়কে অনুসরণ করলেই সর্বোচ্চ ১১ ঘন্টার ভিতর পুরো বিশ্বে মুসলিম বিশ্বে (ইন্দোনেশিয়া হতে মরক্কো পর্যন্ত) ঈদ করা যায়। তেমনি রোজাও রাখা যায়। একটি উদাহরণ দিলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়- ধরুন একই দিনে জুমা ও ঈদ হলো। এখন আমরা সকাল ৮টায় ঈদের নামাজ পড়লাম ১টার সময় জুমা আদায় করলাম। সৌদি আরব আমাদের তিন ঘন্টা পর ঈদ ও জুমার নামাজ আদায় করল। যুক্তরাষ্ট্র করল বার ঘন্টা পর । আমরা টিভিতে দেখি আজ আরাফাতে হজ্ব হচ্ছে, কিতাব মতে কালই তো ঈদ হবে। কিন্তু আসলে আমরা করি ১/২ দিন পর। আমরা যে আলাদা হিসেবে ১০ তারিখে ঈদ করব সে আলাদা হিসেবের স্বীকৃতিই তো হানাফী মাজহাবে নেই। কোন ঠেকার কারণে শাফেয়ী মাজহাব পালন করতে যাচ্ছি আমরা? অনেকে নামাজের সাথে রোজাও তুলনা করেন। এটা ঠিক নয়। কারণ নামাজ ফরজ হয় এবং আদায় করা হয় সূর্যের উদয় অস্ত দিয়ে । রোজ শুরু কিন্তু হয় চন্দ্র দিয়ে, আদায় করা হয় সূর্যের উদয় অস্ত দিয়ে। সচেতন পাঠকগণ বুঝে নিবেন। সীমিত পরিসরে বিস্তারিত বলার অবকাশ নেই। পরিশেষে, বাংলাদেশ সরকার, মুহাক্কেক আলেমগণ ও সচেতন শিক্ষিত নাগরিকদের কাছে অনুরোধ- হানাফী মাজহাব অনুসারে যাদে আমরা রোজা শুরু করতে পারি এবং বিশ্বে সর্বপ্রথম চাঁদ দেখাকে অনুসরণ করে সঠিকভাবে ঈদ পালন করতে পারি সেজন্য এগিয়ে আসুন। বিবেক বিবাগী বলেছেন: এটা জটিল ব্যাপার। এখন জাপান আর আমেরিকার মাঝে আন্তর্জাতিক তারিখ রেখা না হয়ে প্রতি মাসে নতুন চাঁদ ওঠার স্হানকে প্রথম ধরে যদি পৃথিবীতে নতুন মাস আসার ঘোষণা কেন্দ্রীয়ভাবে মুসলিমরা করতো, সেটাই বেস্ট হত। ইসলামে তো এত এত দেশ হবার কথাই ছিল না। একই খিলাফতে আন্ডারে থাকা উচিৎ ছিল। এক্ষেত্রে রাত থাকতেই থাকতেই যদি চাঁদ ওঠার খবর পাওয়া যায়, তবে ঐ চাঁদকেই ফলো করা উচিত, সেটা যেখানেই হোক না কেন। আমাদের চাঁদ দেখা কমিটি তো আর চাঁদ দেখে না, চাঁদ দেখতে পাওয়া গেছে, এই খবর সংগ্রহ করে। এখন কে বুঝাবে আলেমদের। বড় কঠিন কাজ। সরকার ও জনগণের দুষ্টচক্রে এই ব্যাপারটা আমাদের দেশে ইনকর্পোরেট করা খুবই কঠিন। মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম বলেছেন: আপনার সাথে একমত । আমাদের সবাইকে এ সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে হবে এবং আমাদেরকেই ও.আই.সি-র ”অভিন্ন তারিখে গোটা মুসলিম বিশ্বে ইসলামী উৎসবগুলো করা”-র প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে জনমত সৃষ্টি করতে হবে । আপনাকে ধন্যবাদ http://m.somewhereinblog.net/blog/fakhrul78/29425790