মহাসড়কে গাছ লাগানো একটি মহাপরিকল্পনার বিষয়।
সড়কের পাশে বড় বড় গাছ লাগানো উচিত। কারণ আমাদের শহরগুলোতে বনভূমি বড়ই কম ।দূষণ ও তাপ অত্যধিক। এজন্য জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়ছে । সড়কের এক পাশে নাগেশ্বর সারিবদ্ধভাবে লাগানো যায় । কৌণিক চিরসবুজ বৃক্ষ, ডালপালা ছড়ায় না, সুগন্ধি ফুল ফোটে, পথপাশে রোপণের জন্য আদর্শ।
সড়কের পাশে সারি সারি কনকচূড়া (পেল্টোফরাম), সিলভার লিফ ওক , নগর–নিসর্গ পরিকল্পনার আদর্শ হতে পারে ।
রাস্তার পাশে বৃক্ষশোভার জন্য মেহগনি অথবা বনসাই জাতীয় গাছ লাগানো উচিত নয় ।
রাস্তার দুই পাশে শক্ত-সমর্থ লম্বাটে এক সারি বা দুই সারি গাছ লাগানো যেতে পারে। যেমন : নাগেশ্বর, শাল , নাগলিঙ্গম, তেলশুর, দেশি দেবদারু, দইগোটা, শাল, বনবৃক্ষ গুলাল (Diogpuros toposia) ইত্যাদি।
সড়কের পাশে ও মাঝখানে কী কী গাছ লাগানো হবে, সে জন্য কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা আবশ্যক।
রেলপথ ও সড়কপথের দুই পাশে গাছ লাগানো উচিত মূল রাস্তা থেকে অন্তত সাত-আট মিটার দূরে । মধ্য উচ্চতার কয়েক সারি গাছ, বেশির ভাগই বুনো ফল। কিশোরদের দল সেই ফল খাবে।
হাইওয়েগুলোতে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত । দুই পাশে বেড়া দিয়ে পারাপারের জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বে পুল বা ফ্লাইওভার রাখা প্রয়োজন ।
মহাসড়কের পাশে বা মাঝখানে গাছ লাগানোর ব্যাপারে বিভিন্ন দিক লক্ষ্য রাখতে হবে ।
প্রথমে সড়ককে ছায়াচ্ছন্ন না করা, যানবাহনের নিরাপত্তা এবং শেষে অর্থনৈতিক ও নান্দনিক বিবেচনা।
বজ্রপাত থেকে সুরক্ষার জন্য রাস্তার পাশে তালগাছ লাগানো অযৌক্তিক ।
পথের ধারে তালগাছ লাগানোর সমস্যা হলো : গাছ থেকে তাল পড়ে পথচারীর আহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আমাদের দেশে সড়ক থেকে সাত-আট মিটার দূরে গাছ লাগানোর তেমন সুযোগ নেই।
মহাসড়কে বিশাল মিড-আইল্যান্ড করা উচিত নয় । করলেও পরিকল্পনাহীনভাবে তাতে লাগানো বড় ও মাঝারি বৃক্ষ এবং প্রচুর লতাগুল্ম রাখা উচিত নয় ।
যদি মিড-আইল্যান্ডে গাছ লাগাতেই হয়, সে ক্ষেত্রে ভেষজ বৃক্ষের কথা বিবেচ্য হতে পারে। কিংবা অন্যতর বিকল্প কিছু। লাগানো যেতে পরে অনেক দূর পর্যন্ত এক রঙের ফুল কিংবা মিশ্র বর্ণের সজ্জা।
কৃষ্ণচূড়া, কনকচূড়া, জারুল, সোনালু, কাঞ্চন, অশোক, আকরকাঁটা, উদাল, কলকে, কাঠগোলাপ, কুরচি, গাব, ছাতিম, নাগেশ্বর, কদম, পলাশ, লাল সোনালু, কনকচাঁপা (রামধনুচাঁপা) স্বর্ণচাঁপা, শেফালি, সুলতানচাঁপা, চালতা, হাড়গজা, হিজল ইত্যাদি। এমন গাছের জমিন রইল পতিত, আবাদ করলে ফলত সোনা।
শহরে ও মহাসড়কে গাছ লাগানো একটি বহুমুখী জটিল কর্মকাণ্ড আর এ জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের বিশেষজ্ঞ। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলেন ল্যান্ডস্কেপ স্থপতিরা, যাঁরা দেশ-বিদেশের গাছপালা চেনেন এবং সৌন্দর্য নির্মাণে সুদক্ষ।
আমাদের ছাড়া ছাড়া ও দায়সারা কাজকর্ম দেখলে মনে হয় এটা যে একটা ডিসিপ্লিন বা বিদ্যা, তা উপলব্ধি করতে আমরা আজও সম্যক সক্ষম হইনি।
সড়কের পাশে বড় বড় গাছ লাগানো উচিত। কারণ আমাদের শহরগুলোতে বনভূমি বড়ই কম ।দূষণ ও তাপ অত্যধিক। এজন্য জনস্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়ছে । সড়কের এক পাশে নাগেশ্বর সারিবদ্ধভাবে লাগানো যায় । কৌণিক চিরসবুজ বৃক্ষ, ডালপালা ছড়ায় না, সুগন্ধি ফুল ফোটে, পথপাশে রোপণের জন্য আদর্শ।
সড়কের পাশে সারি সারি কনকচূড়া (পেল্টোফরাম), সিলভার লিফ ওক , নগর–নিসর্গ পরিকল্পনার আদর্শ হতে পারে ।
রাস্তার পাশে বৃক্ষশোভার জন্য মেহগনি অথবা বনসাই জাতীয় গাছ লাগানো উচিত নয় ।
রাস্তার দুই পাশে শক্ত-সমর্থ লম্বাটে এক সারি বা দুই সারি গাছ লাগানো যেতে পারে। যেমন : নাগেশ্বর, শাল , নাগলিঙ্গম, তেলশুর, দেশি দেবদারু, দইগোটা, শাল, বনবৃক্ষ গুলাল (Diogpuros toposia) ইত্যাদি।
সড়কের পাশে ও মাঝখানে কী কী গাছ লাগানো হবে, সে জন্য কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা আবশ্যক।
রেলপথ ও সড়কপথের দুই পাশে গাছ লাগানো উচিত মূল রাস্তা থেকে অন্তত সাত-আট মিটার দূরে । মধ্য উচ্চতার কয়েক সারি গাছ, বেশির ভাগই বুনো ফল। কিশোরদের দল সেই ফল খাবে।
হাইওয়েগুলোতে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ হওয়া উচিত । দুই পাশে বেড়া দিয়ে পারাপারের জন্য নির্দিষ্ট দূরত্বে পুল বা ফ্লাইওভার রাখা প্রয়োজন ।
মহাসড়কের পাশে বা মাঝখানে গাছ লাগানোর ব্যাপারে বিভিন্ন দিক লক্ষ্য রাখতে হবে ।
প্রথমে সড়ককে ছায়াচ্ছন্ন না করা, যানবাহনের নিরাপত্তা এবং শেষে অর্থনৈতিক ও নান্দনিক বিবেচনা।
বজ্রপাত থেকে সুরক্ষার জন্য রাস্তার পাশে তালগাছ লাগানো অযৌক্তিক ।
পথের ধারে তালগাছ লাগানোর সমস্যা হলো : গাছ থেকে তাল পড়ে পথচারীর আহত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আমাদের দেশে সড়ক থেকে সাত-আট মিটার দূরে গাছ লাগানোর তেমন সুযোগ নেই।
মহাসড়কে বিশাল মিড-আইল্যান্ড করা উচিত নয় । করলেও পরিকল্পনাহীনভাবে তাতে লাগানো বড় ও মাঝারি বৃক্ষ এবং প্রচুর লতাগুল্ম রাখা উচিত নয় ।
যদি মিড-আইল্যান্ডে গাছ লাগাতেই হয়, সে ক্ষেত্রে ভেষজ বৃক্ষের কথা বিবেচ্য হতে পারে। কিংবা অন্যতর বিকল্প কিছু। লাগানো যেতে পরে অনেক দূর পর্যন্ত এক রঙের ফুল কিংবা মিশ্র বর্ণের সজ্জা।
কৃষ্ণচূড়া, কনকচূড়া, জারুল, সোনালু, কাঞ্চন, অশোক, আকরকাঁটা, উদাল, কলকে, কাঠগোলাপ, কুরচি, গাব, ছাতিম, নাগেশ্বর, কদম, পলাশ, লাল সোনালু, কনকচাঁপা (রামধনুচাঁপা) স্বর্ণচাঁপা, শেফালি, সুলতানচাঁপা, চালতা, হাড়গজা, হিজল ইত্যাদি। এমন গাছের জমিন রইল পতিত, আবাদ করলে ফলত সোনা।
শহরে ও মহাসড়কে গাছ লাগানো একটি বহুমুখী জটিল কর্মকাণ্ড আর এ জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন ধরনের বিশেষজ্ঞ। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলেন ল্যান্ডস্কেপ স্থপতিরা, যাঁরা দেশ-বিদেশের গাছপালা চেনেন এবং সৌন্দর্য নির্মাণে সুদক্ষ।
আমাদের ছাড়া ছাড়া ও দায়সারা কাজকর্ম দেখলে মনে হয় এটা যে একটা ডিসিপ্লিন বা বিদ্যা, তা উপলব্ধি করতে আমরা আজও সম্যক সক্ষম হইনি।
No comments:
Post a Comment