Monday, January 27, 2025

 ঐতিহাসিক স্থাপনা, পুরাকীর্তি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ জরুরী

ঐতিহাসিক স্থাপনা, পুরাকীর্তি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ জরুরী



পুরাকীর্তি শব্দটির অর্থ হলো "কোনও ব্যক্তি, ঘটনা, জিনিস বা বস্তুর খ্যাতিমূলক অবস্থা বা স্থিতি"। এর ইংরেজি হলো- antiquities; এর প্রতিশব্দ হলো পুরাবৃত্তান্ত । পুরাকীর্তি বলতে আমরা সাধারণত বুঝি প্রাচীন স্হাপত্য বা প্রাচীন জিনিস ।

বাংলাদেশে ছড়িয়ে আছে প্রাচীন স্থাপত্য ও প্রত্মসম্পদ। অবহেলার কারণে ধ্বংশ বা পাচার হয়ে যাচ্ছে আমাদের এই মূল্যবান সম্পদ। প্রাচীন ঐতিহ্য ও প্রত্মসম্পদ সংরক্ষণের জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। প্রাচীন ঐতিহ্যসমূহ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করার জন্য ‘‘বাংলাদেশ হেরিটেজ কমিশন’’ নামে একটি কমিশন গঠন করতে হবে। 

ঐতিহ্য সংরক্ষণ আমাদের দায়িত্ব। এর সাথে আমাদের গভীর সম্পৃক্ততা রয়েছে। ঐতিহ্য বলে দেয় আমরা কোথায় ছিলাম, কিভাবে এ অবস্থায় এসেছি। সুতরাং ঐতিহ্য সংরক্ষণে যত্মবান হতে হবে।

Sunday, January 26, 2025

পথতরু শহরে পরিকল্পিতভাবে লাগাতে হবে

পথতরু শহরে পরিকল্পিতভাবে লাগাতে হবে



পথতরু শহরে ছায়ার জন্য, সৌন্দর্যের জন্য লাগান হয়। পথতরু হিসেবে আমরা ফুলের গছের দিকে আকৃষ্ট হই। বেশি পাতা আছে, অক্সিজেন দেয়, কার্বডাই অক্সাইড শোষন করে এমন গাছই লাগানো হয়। 

শহরে ফলের গাছ লাগানো উচিত একটু চিন্তা করে। কিন্তু আমাদের নজর থাকে ফুলের দিকে। যাতে শহরে নানা রকম ফুল ফোটে। কিন্তু আমাদের শহরে যে অবস্থা। এতসব বাড়িঘর! তার মধ্যে গাছ খুবই কম। 

মহাসড়কে এমন গাছ লাগাতে হবে যেটা পাশে ছড়াবেনা, সোজা হয়ে থাকবে। অক্সিজেন দিবে, কার্বনডাই অক্সাইড শোষণ করবে। বাতাস ঠান্ডা রাখবে। এখানে ভেষজ গাছ লাগানো যেতে পারে।


হাইওয়ে বা মহাসড়ক যাদের মাঝখানে অনেক জায়গা  আছে। এখানে আজেবাজে যত গাছ, ছোট গাছ, মেজো গাছ দুনিয়ার জঞ্জাল করে রেখেছে। এটা একটা স্পেস, এটা সাজানোর জন্য পরিকল্পনা থাকা উচিত। মহাসড়কের ওপর রোদ থাকতে হবে, এখানে ছায়া থাকবেনা। মহাসড়কে এমন গাছ লাগতে হবে যাতে ছায়া না দেয়। বড় বড় রেইনটি লাগালে বড় হলে ডালা ভেঙ্গে পরলে অনেক সমস্যা।


জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে খেজুর বাগান নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে। এগুলা আসলে আমাদের দেশের খেজুর। এটা আমাদের গাছ। এটা আরবের গাছ না। আরবের খেজুর আমাদের দেশে ফল ধরেনা। আমরা খেজুরকে ভাবি মরুভূমির গাছ। এটা ঠিকনা। তাল, খেজুর, নারকেল এগুলোসব আমাদের গাছ। এগুলো অবস্থা বিবেচনা করে যেখানে খুশি সেখানে লাগান যায়।
 
বজ্রপাত হয়ে মানুষের  মারা বন্ধ করার জন্য তাল গাছ লাগানো হচ্ছে। তাল গাছ উপরে থাকে, উপরেই বিদুৎ ধরে ফেলে। সে বিদ্যুৎ গাছের ভিতর দিয়ে মাটিতে চলে যায়। বজ্রপাতের বিদ্যুৎ পৃথিবীতে নামার জন্য কন্ডাকটার খোজে। মানুষ ভাল কনন্ডাকটার। মানুষের ভিতর নামতে গিয়ে মানুষের জীবন শেষ করে। 

আমাদের শহরে গাছ লাগাতে কোন পরিকল্পনা নাই। এ ক্ষেত্রে যার যা ইচ্ছা তা করছে। মিড আইল্যান্ড বা রাস্তার মাঝখানে গাছ লাগানোর কথা না। রাস্তার মাঝখানে নানা রকম ভৌত কাঠামো দিয়ে সাজাতে পারে। অথবা শুধু ঘাস থাকতে পারে, ছোট ছোট গাছ থাকতে পারে। রাস্তার দুই পাশে থাকে বড় গাছ। যাতে রাস্তায় ছায়া হয়। আমাদের শহরে দুই পাশ বন্ধ, গাছ লাগানোর কোন জায়গা রাখেনা। গাছ লাগানোর কোন স্কোপও রাখেনা। এইটাতো বিরাট সমস্যা। 

কোন কোনা জায়গায় রাস্তার দুই পাশে কিছু গাছ আছে। কিন্তু ঐগাছ বড় হবেনা। কারন গাছগুলোর শিকড় নিচে যেতে পারবেনা। সিমেন্ট দিয়ে সব আটকান। খাদ্য সংগ্রহ করতে পারবেনা। রাস্তার পাশের গাছ নিয়ে বিপদ অনেক। এই গাছগুলো দেখার কেউ নেই। যার কারনে গাছ ভেঙ্গে পড়ে মানুষকে প্রাণ দিতে হচ্ছে। 

বিদেশে প্রত্যেক এরিয়ার জন্য একজন গাছের ডাক্তার থাকে। তার কাজ হচ্ছে ঘুরে ঘুরে প্রত্যেকটা গাছ গিয়ে দেখবে। গাছে খোড়ল হচ্ছে কিনা,  সেটা সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করতে হয়। ক্ষত হচ্ছে কিনা, ক্ষত হলে চিকিৎসা করতে হয় এন্টিবায়োটিক দিয়ে। গাছের কোন ডাল কাটতে হলে তা কেটে সেপ সুন্দর করা ইত্যাদি করে থাকেন।। আমাদের এ বিদ্যাটাও নাই, চর্চাও নাই, ভাবনাও নাই। ফলে গাছে বড় বড় গর্ত হচ্ছে, রাস্তার পাশের গাছ উপরে পড়ছে। 


বিদেশি গাছের অপকারী দিক

বিদেশি গাছের অপকারী দিক


 
ইউক্লিপটাস, শিশু, মেহগনি, রেইন ট্রি গাছগুলোকে  অত্যধিক পানি শোষণ করে জমি শুকিয়ে ফেলে। শিকড় গভীরে প্রোথিত না হয়ে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আশপাশে অন্য গাছপালা জন্মাতে দেয় না। একটা গাছ থেকে আরেকটি গাছের পর্যাপ্ত পুষ্টি প্রাপ্তির জন্য দূরত্ব চাই।

শিমুল, শিরীষ, জারুল ও হিজল গাছ আমাদের দেশের দরকারী উদ্ভিদ। শিকড় গভীরে প্রোথিত হয়। ফলে পাশে অন্য কিছুও জন্মাতে পারে।

কুলাউড়া স্টেশনে নেমে বেবিট্যাক্সিতে করে বড়লেখার শিমুলিয়া গ্রাম। পাশেই ৫ কিলোমিটার ভেতরে পাথারিয়ার পাহাড় আর মাধবকুণ্ডের ঝর্ণা। 
এসব ল্যান্ডস্কেপে সুপারি, জবা ফুল, সেগুন গাছ খাপ খায় না। পাহাড়ি প্রকৃতির নিজস্বতা আছে। তার বাইরে যদি এসব গাছ লাগানো হয় তাহলে তো প্রাকৃতিক হলো না। অথচ এই পাহাড়ি অঞ্চলে সেসব বৃক্ষ ও গাছপালা লাগানো হয়েছে, যেগুলো এখানকার সঙ্গে যায় না। দীর্ঘদিনের ভুল চর্চায় এমন হাল হয়েছে যে, বনায়নের কথা বলতে গেলে ইউক্যালিপটাস, মেহগনি জাতীয় একাশিয়া শ্রেণির গাছ লাগানোর কথাই মনে করা হয়। এ ধরনের প্রবণতা গড়ে ওঠার একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ হচ্ছে বিদেশ থেকে আনা অর্থ দিয়ে বনায়নের পরিকল্পনা।


আমাদের পাখিরা একাশিয়া, ইউক্যালিপটাস, মেহগনি গাছগুলোতে বসে না। কারণ এসব গাছ তারা চেনে না। এগুলো বিদেশ থেকে আসা। বিদেশি গাছে দেশি পাখিরা না বসার কারণ হচ্ছে তারা তো ওই গাছের গন্ধ চেনে না। ফলে পরিবেশগত ভারসাম্য রাখতে পারে না। গাছপালার বংশবৃদ্ধিতেও পাখির ভূমিকা বিঘি্নত হচ্ছে।

মেহগনি ও সেগুন, রেইন ট্রি শুধু কাঠই দেয়। মেহগনি যদিও চিরসবুজ, কিন্তু এটি বাড়ে ধীরগতিতে। অথচ রাস্তার ধারে দেশীয় পাঁচমিশালি ফলদ গাছ, যা থেকে প্রতি বছর ফল ও পরিণত বয়সে কাঠ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়_ আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু ও অন্যান্য ফল চাষ করে আমরা ফল ও কাঠের চহিদা পূরণ করতে পারি। 

এ ছাড়া আছে জলপাই, চালতা, তেঁতুল, তাল, খেজুর, গাব, বেল, কুল প্রভৃতি ফলের গাছ; অর্জুন, নিম, আমলকী, হরীতকী প্রভৃতি ঔষধি গাছ। এগুলো আমাদের দেশের জন্য খুবই উপযোগী।


রেইনট্রি আমাদের দেশের জন্য ক্ষতিকর। মেহগনি যদিও চিরসবুজ, কিন্তু এটি বাড়ে ধীরগতিতে। রাস্তার ধারে লাগানো এসব কাঠের গাছ থেকে একসময় কাঠ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও, তস্করবৃত্তির কারণে বাস্তবে তা আদৌ সম্ভব কি না, ভবিতব্যই জানে। অথচ রাস্তার ধারে দেশীয় পাঁচমিশালি ফলদ গাছ, যা থেকে প্রতিবছর ফল ও পরিণত বয়সে কাঠ পাওয়ার সম্ভাবনা আছে।

আম, জাম, কাঁঠাল, জলপাই, চালতা, তেঁতুল, তাল, খেজুর, গাব, বেল, কুল, লটকন, কাউ প্রভৃতি ফলের গাছের পাশাপাশি অর্জুন, নিম, আমলকী, হরীতকী, বহেড়া প্রভৃতি ঔষধি গাছ দৃষ্টিনন্দনও। কৃষ্ণচূড়া কদম, কাঠবাদাম প্রভৃতি গাছ লাগালে জীববৈচিত্র্য রক্ষাসহ সেগুলো খাদ্য ও পুষ্টির জোগান দিত।

কাঠের কথা চিন্তায় থাকবে, পাশাপাশি কাঠ ও ফল উভয়ের কথা চিন্তা করতে হবে। বিদেশি ফল ও কাঠনির্ভর হওয়া মানে দেশের টাকা বিদেশে চলে যাওয়া।

তাই গাছ লাগাতে শতকরা ৫০ ভাগ দেশীয় ফলের গাছ, ১০ ভাগ ঔষধি গাছ, ১০ ভাগ অন্যান্য গাছ এবং ৩০ ভাগ কাঠের গাছ লাগানো উচিত। 



বিদেশ থেকে আনা আকাশি, ম্যানজিয়াম, রাবার, ইউক্যালিপটাসসহ বিভিন্ন প্রজাতির আগ্রাসী গাছ-গাছালি আমাদের জীববৈচিত্র্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্থানীয় প্রজাতির গাছ, কৃষি উত্পাদন বিপন্ন হয়ে পড়ছে। সিলেট অঞ্চলের সংরক্ষিত বনাঞ্চল, রাস্তার ধারে এসব বিদেশি গাছের বাগান এখন ব্যাপকভাবে দৃশ্যমান। 

সামাজিক বনায়ন এবং ব্যক্তি উদ্যোগে আগ্রাসী প্রজাতির এসব গাছ রোপণ করা হচ্ছে। বন বিভাগও পিছিয়ে নেই। দ্রুত বর্ধনশীল এসব প্রজাতির গাছ দিয়ে তারাও বনায়ন কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় মুনাফা ঘরে তোলা যায় তাড়াতাড়ি। মূলত এ কারণেই গত কয়েক যুগ ধরে এসব গাছ লাগানোর হিড়িক পড়ে  গেছে। দেশি প্রজাতির মূল্যবান কাঠ, ফল ও ঔষধি গাছ লাগানোর বিষয়টি উপেক্ষিত হচ্ছে।

 ‘আমাদের দেশে দরকার জলজ উদ্ভিদ। এখানে জলজ জায়গা বেশি। শিকড় গভীরে প্রোথিত হয়। ফলে পাশে অন্য গাছ-গাছালি জন্মাতে পারে।’

রাস্তার পাশে লাগানো বিদেশি গাছের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে কৃষির উপর।  আকাশী, ম্যানজিয়াম গাছ কৃষি জমি নষ্ট করছে। মাছের জন্যও এগুলো ক্ষতিকর। গাছের ছায়া ধানের জমির বেশ কিছু জায়গা দখল করে রাখে। ছায়ায় হওয়া এই ধান গাছ পাতা মোড়ানো রোগসহ বিভিন্ন ছত্রাকে আক্রান্ত হয়। এসব ধান পরে গরু মহিষকে খাওয়ানো ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। 

আকাশী গাছের ছায়ায়  কোনো সবজিও হয় না। এসব গাছের কারণে মাছের চাষও ব্যাহত হচ্ছে। এ ধরনের নানা নেতিবাচক প্রভাব থাকার পরও আনাচে-কানাচে সড়কপথ ও রেলপথের পাশে এসব গাছ দিয়ে সামাজিক বনায়নের হিড়িক শুরু হয়েছে। 


 আগ্রাসী প্রজাতির গাছগাছালি, পশু-পাখির খাবার তৈরি করে না এবং দ্রুত বিস্তারের সময় অন্য গাছের সালোক সংশ্লেষণ-প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। যে কারণে জীববৈচিত্র্যের জন্য গাছগুলো খুবই ক্ষতিকর।

Saturday, January 25, 2025

আমার সম্পর্কে

আমার সম্পর্কে


আমার সম্পর্কে আমি নিজে কী আর বলবো ! শুধু এতটুকু বলছি, আমি মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম । আমি আমার লেখা বা চিন্তাগুলো শেয়ার করার জন্য এই ওয়েবসাইট বানিয়েছি । আশা করি আপনারা আপনাদের অভিমত, আমার ব্লগগুলোতে মন্তব্য করে জানাবেন । 

 

আমার সম্পর্কে আমার এক গুণমুগ্ধ পাঠক ও  স্নেহভাজন ফারহান মাহতাব দীর্ঘ একটা সাক্ষাৎকারের পর এই ইনফোগ্রাফ তৈরী করেছে -

মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম (ইংরেজি: Mohammad Fakhrul Islam ) জন্ম ১ লা জুলাই ১৯৭৮, ঢাকা একজন বাংলাদেশী লেখক। জ্যোতির্বিজ্ঞান, তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তি,পরিবেশ, ইতিহাস, সংস্কৃতি ও বাংলা সাহিত্যের ইতিহাস নিয়ে লেখালেখি করেন ।

জন্ম ও পরিবার

১ লা জুলাই ১৯৭৮ তারিখ তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা সরকারী চাকুরীজীবি । বাবার চাকুরীসূত্রে জন্মের পর থেকেই ঢাকাতে বসবাস করা শুরু করেন ও বেড়ে উঠেন ঢাকাতেই ।

শিক্ষা

ঢাকার বিসিআইসি সাইন্স কলেজ থেকে ১৯৯৩ মাধ্যমিক স্যাকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় পাস করেন। ১৯৯৫ সালে ঢাকার রাইফেলস্ পাবলিক কলেজে থেকে উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি)পাস করেন । ১৯৯৬ সালে ইংরেজি সাহিত্যে স্মাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি হন । পরে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পড়াশোনা করার সুযোগ পান ও এই বিষয়ে স্মাতকোত্তর শেষ করেন কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় হতে

তারপর ইসলাম শিক্ষা ও ইসলামের ইতিহাস বিষয়ে তাঁর পড়ার আগ্রহ জন্মায় । ২০১৩ সালে তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এসব বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে বিএ(পাশ) ডিগ্রি অর্জন করেন ও ইসলামিক স্টাডিজে মাস্টার্স পড়েন ।

পরবর্তীতে তিনি  ২০১৫ সালে আইন শিক্ষার জন্য ঢাকাস্হ বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন ও  এলএলবি(অনার্স) সম্পন্ন করেন ।

কর্মজীবন

২০০০ সালে পড়াশোনার পাশাপাশি লেখালেখির মাধ্যমে তাঁর কর্ম জীবন শুরু হয় তাঁরপর তথ্য-প্রুযুক্তি ব্যবসা এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রুযুক্তি বিষয়ে শিক্ষকতা করেন । ২০১২ সালের পর তিনি বেসরকারী কোম্পানীতে এমআইএস ইঞ্জিনিয়ার ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন । পরে শিক্ষানবিস আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন । 





ডেটা সায়েন্স

ডেটা সায়েন্স



ডেটা সায়েন্স হলো তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তিগত ও গবেষণামূলক ক্ষেত্র যা তথ্য থেকে মূল্যবান তথ্য তৈরি, প্রকাশ, ব্যবহারঅর্থবহ করে। স্মার্ট শহর এবং নগর পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়নে ডেটা সায়েন্স এবং এআই(কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ট্রাফিক প্রবাহকে অপ্টিমাইজ করা, জ্বালানি শক্তি খরচ কমানো এবং জননিরাপত্তা বৃদ্ধি করা। কৃষকরা এখন সেন্সর ডাটা, স্যাটেলাইট ইমেজ এবং এআই-চালিত বিশ্লেষণ ব্যবহার করে সেচ, নিষিক্তকরণ এবং কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণকে অপ্টিমাইজ করতে পারে, যার ফলে ফসলের ফলন এবং টেকসই চাষাবাদের অনুশীলন বেড়ে যাচ্ছে। আর্থিক পরিষেবায় ডেটা সায়েন্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে জালিয়াতি শনাক্ত করতে, ক্রেডিট ঝুঁকি মূল্যায়ন করতে এবং বিনিয়োগের সুপারিশগুলো কার্যকর করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার হচ্ছে। ডেটা সায়েন্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনযাপন এবং কাজের পদ্ধতিতে বিপ্লব ঘটাচ্ছে।

ডেটা সাইন্সে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে সম্পৃত্ত এসব বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে –

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা কি এবং এদের মধ্যে যুগপৎ সম্পর্ক কেমন; ডেটা সাইন্টিস্টদের কাজ কি; ডেটা সাইন্টিস্ট হতে হলে কি ধরনের দক্ষতা এবং গুণাবলী থাকা দরকার, কিভাবে সেগুলি অর্জন করা সম্ভব, অর্জনের জন্য কিভাবে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, কি কি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখা দরকার; গণিত, পরিসংখ্যান এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানের কোন কোন বিষয়ের সমন্বিত জ্ঞান অর্জন করা দরকার; দেশে এবং বিদেশে কোথায় কোথায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে; ডেটা সাইন্টিস্ট হওয়ার চ্যালেঞ্জ গুলো কি কি; ডেটা সাইন্টিস্ট হিসেবে কিভাবে পোর্টফোলিও তৈরি করা উচিত; চাকরি অনুসন্ধানের কৌশল এবং ইন্টারভিউ পরামর্শ সম্পর্কে আলোকপাত; দেশ-বিদেশে চাকুরীর ক্ষেত্র এবং বাজার কেমন; বিশ্বব্যাপী কিছু সুনামধন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কিভাবে ডেটা সায়েন্স ব্যবহার করে সাফল্য লাভ করেছে তার উদাহরণ ..ইত্যাদি

 

সন্দ্বীপের সবুজ চর বেড়ানো

সন্দ্বীপের সবুজ চর বেড়ানো



সবুজ চর নামেই সবার কাছে পরিচিত এ চরটি। সন্দ্বীপের উত্তরে বামনী নদী ও পশ্চিমে মেঘনা নদীর মোহনাঘেঁষে আমানউলস্না, সন্তোষপুর, দীর্ঘাপাড়-তিনটি ইউনিয়নজুড়ে বিস্তৃত এ চর। উপকূলীয় বেড়িবাঁধের পর যতদূর চোখ যায় বিস্তীর্ণ চর। ছয়টি ঋতুতে ছয়টি ভিন্ন ভিন্ন রূপ নিলেও মূলত শীত ও বর্ষা দুই ঋতুতে সবুজ চর হাজির হয় তার সব সৌন্দর্য নিয়ে।

বর্ষায় নদীতে পানির উচ্চতা বেড়ে গেলে জোয়ারের পানিতে পস্নাবিত হয় চর। বিস্তীর্ণ চরজুড়ে তখন চাষ হয় রাজাশাইল ধান। প্রত্যেক জমির আল কেটে বসানো হয় মাছ ধরার চাঁই। জোয়ারের পানির সঙ্গে নদী থেকে উঠে আসে টেংরা, চিড়িং, কোরাল, কাঁকড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। ভাটার সময় পানি নেমে গেলে চাঁইয়ের ভেতর আটকা পড়ে মাছগুলো। শত শত চাঁই বসানো থাকে জমিগুলোতে। যেন ধান আর মাছ নিয়ে প্রাকৃতিক সমন্বিত চাষাবাদ। কয়েকটা জমি পরপর মাটি থেকে চার-পাঁচ ফুট উঁচুতে ছাউনি দেয়া মাচার মতো ঘর বানানো থাকে। সেখানেই রাত জেগে মাছ ধরে, চাঁই পাহারা দেয় স্থানীয় লোকজন।

কিছু কিছু জায়গায় দেখা যায় বড় বড় জলাশয়। সেখানে ফুটে থাকে রাশি রাশি শাপলা। শখের বসে শাপলা তোলে গ্রামের মেয়েরা। কেউ খোঁপায় গোঁজে, কেউ বিক্রি করে স্থানীয় বাজারে। জোয়ারের সময় গরু নিয়ে ঘরে ফিরতে দেখা যায় এসব বালিকাদের কাউকে কাউকে।

শীতকালে সম্পূর্ণ ভিন্ন রূপ নিয়ে হাজির হয় সবুজ চর। বর্ষাকালের জল থই থই চরটাকে যেন আর চেনা যায় না তখন। শরতের শুরুতে আকাশে ভেসে বেড়ায় বাউন্ডুলে মেঘ। সবুজ চর থেকে সন্ধ্যার আকাশ দেখার এটাই উপযুক্ত সময়। সূর্য ডোবার পর আকাশের খোলা ক্যানভাসে নানান রঙে ছবি আঁকে প্রকৃতি। আকাশ পরিষ্কার থাকায় সন্দ্বীপের উত্তরে চরের শেষ প্রপ্রন্ত দাঁড়ালে পূর্বদিকে দেখা যায় চট্টগ্রামের পাহাড় আর উত্তরে নোয়াখালী। বেড়িবাঁধের উপরে এসে দাঁড়ালে চরের মাঝখানে বিচ্ছন্ন দ্বীপের মতো ছাড়া ছাড়া কতগুলো বাড়ি চোখে পড়ে। সন্ধ্যা নামলে ওসব বাড়ির ভেতর মিট মিট আলো জ্বলে। একবার মনে হয় তারা, একবার মনে হয় জোনাকি।

হেমন্তে ধান কাটা শেষ হলে বিপুল বিরহ নিয়ে শূন্য পড়ে থাকে মাইলের পর মাইল। এ সময় বিস্তীর্ণ চরজুড়ে কোনো ফসল না থাকায় ছেড়ে দেয়া হয় ভেড়ার পাল। সারাদিন ঘাস খেয়ে রাখালসহ ওদের ঘরে ফেরার দৃশ্য বলে দেয় কাকে বলে গোধূলি সন্ধ্যা, কাকে বলে গড্ডলিকাপ্রবাহ। ভেড়াপালন স্থানীয় লোকজনের অন্যতম আয়ের উৎস। চরের কোথাও কোথাও দেখা যায় মহিষের পাল। নানান রকম পাখির আনাগোনা বেড়ে যায় এসময়। গুলতি হাতে নিয়ে বের হয় গ্রামের দসু্য ছেলেরা। চরের কিছু কিছু অংশে বেড়িবাঁধের ঢালে চাষ হয় মৌসুমী সবজি। বিকালে বেড়িবাঁধের সারি সারি খেজুর গাছে হাঁড়ি বসিয়ে দেয় গাছিরা। সূর্য লাল আবির ছড়িয়ে ডুব দেয় পশ্চিমের বঙ্গোপসাগরে। শীত জেঁকে উঠলে রসের গন্ধে ম-ম করে চরাচর। শুকনো নাড়া জ্বালিয়ে গল্পে মেতে ওঠে চরের মানুষ। কোথায় কোথাও রান্না হয় রসের পায়েস।

শৌখিন ভ্রমণপিপাসুরা সন্দ্বীপের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসময় পরিবার, বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়স্বজন নিয়ে ঘুরতে আসেন এখানে। অল্প দামে কিনতে পাওয়া যায় রাজহাঁস। স্কুল-কলেজ থেকে মাইক বাজিয়ে আসে পিকনিক বাস। ছেলেমেয়েদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে ওঠে চরের প্রত্যেকটি ধূলিকণা, ঘাস।

মাঝে মাঝে অনেক বছর পর সাগরে সাতদিন সাঁতার কেটে একটা গাছের টুকরোকে আকড়ে ধরে কূলে এসে ভেড়ে অপরিচিত এক লোক।মাছে খাবলে খাওয়া শরীর।নাম বলতে পারেনা,ঠিকানা বলতে পারেনা।উৎসুক জনতার ভীড় জমে লোকটাকে ঘিরে।ঘন হয়ে আসে রাত।সে লোকের গল্প বছরের পর বছর ভেসে বেড়ায় সবুজ চরের বাতাসে।খুব নিরিবিলি একা একা কান পেতে থাকলে ফিসফিস সে গল্প শোনা যায় এখনও।

aijaidinbd.com/feature/rong-berong/76759/সন্দ্বীপের-সবুজ-চর 

সাজিদ মোহন

  ২৪ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

 

১০০ দিনে বই লেখার সহজ ৪ টি উপায়

১০০ দিনে বই লেখার সহজ ৪ টি উপায়



বই লিখতে চান? কিন্তু আর হয়ে উঠছে না? ১০০ দিনে বই লেখার সহজ ৪ টি উপায়

লেখকঃ ব্রাডন টারনার

মানুষের বিভিন্ন ইচ্ছার মধ্যে কারো কারো বই লেখার স্বপ্ন থাকে। অনেকের কাছেই বই লেখা একটি বিশাল যজ্ঞ বা রকেট চালানোর মত দুরূহ কাজ। কিন্তু আমি এটা পেরেছি। গত সোমবার আমার বই Two new books on investing in rental properties প্রকাশিত হয়েছে যেটি আমি ১০০ দিনের মধ্যে লিখেছি- ফলাফল ২২০,০০০ শব্দ যার মধ্যে ১৬০,০০০ আমার নিজের বাকী ৬০,০০০ আমার অসাধারণ স্ত্রী হেথারের।

আমি কোনো পেশাদার লেখক নই। আমি শুধু একটি সহজ পন্থা অবলম্বন করেছি। আপনারা ও এই সহজ ৪ টি ধাপ অবলম্বন করে ১০০ দিনের মধ্যে নিজের বই লিখতে পারবেন।


প্রথম ধাপঃ 

আর্নল্ড এর মত প্রতিজ্ঞাবদ্ধ

আপনারা কী আর্নল্ড শোয়ারজেনেগার এর পুরনো ভিডিও গুলো দেখেছেন? তিনি যা ই করেছেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিলেন বলেই পেরেছেন। আমরা কোনো কিছু পাবার আগে সেটা কতটা চাই তা গুরুত্বপূর্ণ নয়, গুরুত্বপূর্ণ তা পাবার জন্য কী করছি। এই ব্যাপারে আমার প্রিয় মাইকেল জর্ডান এর একটি উক্তি হল, “কিছু মানুষ চায় এটা হউক, কিছু মানুষ প্রার্থনা করে যেন এটা হয়, আর কিছু মানুষ এটা করে দেখায়”।

দ্বিতীয় ধাপঃ 

শব্দ সংখ্যা ঠিক করে নেয়া

আপনার বইয়ে কতগুলো শব্দ থাকবে?

সাধারণত বইয়ে ৬০,০০০ থেকে ১০০,০০০ এর মত শব্দ থাকে। আপনার নির্ধারিত সংখ্যা যাই হউক সেটাকে ১০০ দিয়ে ভাগ করুন যাতে করে প্রতিদিন কতটুকু লিখতে হবে তার ধারণা পাওয়া যায়। সেই সংখ্যাই হবে আপনার জন্য ন্যুনতম। যেমনঃ আপনি যদি ১০০,০০০ শব্দ লিখতে চান তাহলে প্রতিদিন আপনাকে ১,০০০ টি শব্দ লিখতে হবে। শুধু সংখ্যা নির্ধারণ করলেই হবে না আপনি কী লিখবেন তা নিয়ে চিন্তা ও করতে হবে।

তৃতীয় ধাপঃ 

MapQuest এর মত সীমারেখা তৈরি করা

আপনি আপনার বইয়ের জন্য শব্দের সীমা ঠিক করে ফেলেছেন এখন হল মূল কাজ হল বর্ণনার একটি অসাধারণ সীমারেখা তৈরি করা। অনেকেই সীমারেখার ব্যাপারটা জানেন কিন্তু আমি আরেকটু গভীরে বলতে চাই। আমি চাই আপনারা আগের দিনের স্কুলের MapQuest এর মত একটি সীমারেখা তৈরী করেন। আগের দিনে যখন স্মার্টফোন ছিল না তখন কোনো পার্টিতে যাবার জন্য আপনি কী করতেন? আপনার বাবার কম্পিউটার থেকে MapQuest থেকে ধাপে ধাপে ১৩ পৃষ্ঠার দিক নির্দেশনা প্রিন্ট করে নিতেন যাতে করে আপনি হারিয়ে না যান।

যখনই আমি বই লেখার সিদ্ধান্ত নেই তখন থেকে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে Starbucks এ যেতাম, হুইপড ক্রিম দেয়া হট চকলেট এর স্বাদ নিতাম এবং আমার লেখা শেষ না হওয়া পর্যন্ত ফিরতাম না।

সব শেষে আমি ১০০ টি সাব-চ্যাপ্টার লিখেছিলাম। যেহেতু আমি জানতাম যে আমাকে ১০০ দিনে বইটি শেষ করতে হবে তাই প্রতি দিন আমাকে কমপক্ষে একটি সাব-চ্যাপ্টার লিখতে হবে যাতে ১,০০০ টি শব্দ থাকবে। এভাবেই আমি ধীরে ধীরে ১০০ দিনে ১০,০০০ শব্দের বইটি লিখতে পেরেছিলাম যা আমার কাছে আর কঠিন মনে হয় নি।

আপনার যদি সীমারেখা তৈরি করা হয়ে থাকে তবে মনে করুন কঠিন কাজ শেষ। এখন যা কাজ বাকী তাতে সময় লাগবে ঠিকই কিন্তু তা অনেক সহজ।

চতুর্থ ধাপঃ 

কোনো অজুহাত ছাড়া প্রতিদিন লেখা

যত সমস্যাই হোক না কেন প্রতিদিন লিখতে হবে। হউক সেদিন আপনার জন্মদিন কিংবা আপনি খুব অসুস্থ। এতে করে আপনি বুঝতে পারবেন আপনি কী লিখতে যাচ্ছেন। আপনার লেখা শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাতে ঘুমাতে যাবেন না। এক্ষেত্রে আমি আগের চেয়ে এক ঘন্টা আগে ঘুম থেকে উঠার কথা বলব এবং আপনি তা পারবেন। এই ব্যাপারে কিছু টিপস হলঃ

কাজের সাথে লেগে থাকাঃ

আপনাকে মনে রাখতে হবে আপনি ইতিমধ্যে ১০ ঘন্টা পার করে ফেলেছেন। আপনি যদি সব কিছু নির্ধারণ করে থাকেন তবে আপনাকে লেখা নিয়ে ভয় পেতে হবে না। এতে করে আপনার লেখা নিজ গতিতেই এগিয়ে যাবে।

মনে মনে ঠিক করে নেয়াঃ

এখন আপনি আর বই লিখছেন না আপনি সাব-চ্যাপ্টার লিখছেন। আমি প্রতিদিন ব্লগ পোষ্টের মত করে লিখতাম। আপনাকে ১০০ দিনের লেখা ভাগ করে নিতে হবে।

কোনো একজন নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য লেখাঃ

আপনার ফেইসবুকে এ যান এবং এমন একজন বন্ধু খুঁজে বের করুন যে নিশ্চিতভাবে আপনার লেখা পড়বে। এখন তার ফেইসবুক থেকে তার ৮.৫/১১ ইঞ্চির একটি ছবি প্রিন্ট করে আপনার দেয়ালে টানিয়ে রাখুন। আপনি মনে করবেন যে আপনি কোনো বই লিখছেন না, আপনার বন্ধুর কাছে কোনো কাহিনী বা বিষয় বর্ণনা করছেন। এটি করে দেখবেন সব কিছু কতটা বদলে যায়।

বই লেখা অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার আমি এটা অস্বীকার করব না। কিন্তু এটা অসম্ভব ও না। উপরের ধাপগুলো যদি মেনে চলেন তবে সহজেই আপনি আপনার বই লিখতে পারবেন।

শিলিগুরি করিডোর

শিলিগুরি করিডোর



শিলিগুরি করিডোর-এর গুরুত্ব অনেক । যেমনঃ 

ভা র ত ১৪ মাইল ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ শিলিগুরি করিডোর দিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বের ৮ টি রাজ্যের সাথে যোগাযোগ রাখে। 


চী ন এই করিডোর হতে সামান্য দূরে অবস্হিত। 

এই  করিডোর ১৯৪৭ সালে পূর্ব পা কি স্তা নের ভাগে পরেছিলো। কিন্তু ভা র তের যোগাযোগের স্বার্থে এই এলাকা ভা র তকে দেওয়া হয়। এটা খুবই সংকীর্ণ স্হান বলে চিকেন নেক বা মুরগীর গলা হিসেবে অভিহিত করা হয় । 


কুকুর এখন বন্যপ্রাণীর জন্য বিরাট হুমকি

কুকুর এখন বন্যপ্রাণীর জন্য বিরাট হুমকি



কুকুর হয়তো মানুষের সবচেয়ে বিশ্বস্ত বন্ধু, কিন্তু এই জন্তুটি এখন বন্যপ্রাণীর জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।বিজ্ঞানীরা বলছেন প্রধানত কুকুরের কারণে প্রায় এক ডজন পাখী এবং পশুর প্রজাতি বিলীন হয়ে গেছে।শুধু সেটাই নয়, বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের পরিবেশ বিষয়ক সংবাদদাতা নভিন সিং খাড়কা তাদের গবেষণাকে উদ্ধৃত করে বলছেন সারা বিশ্বে প্রায় একশ প্রজাতির পাখী এবং জীব-জন্তু কুকুরের কারণে হুমকিতে পড়েছে।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণবাদীরা বলছেন, বুনো এবং ঘরপালানো বেওয়ারিশ কুকুরের কাছ থেকে এই হুমকির কথা নজরের বাইরে থেকে যাচ্ছে।দক্ষিণ আমেরিকার দেশ চিলিতে সাম্প্রতিক এক গবেষণার উপসংহারে বলা হয়েছে, বন্যপ্রাণী বাঁচাতে বুনো বেওয়ারিশ কুকুর নিয়ন্ত্রণ জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা গেছে, অনেক কুকুর মালিক বিষয়টিকে গুরুত্ব দেন না এবং তারা তাদের কুকুরকে ছেড়ে রাখেন 

চিলির  গবেষণায় জড়িত ছিলেন এডওয়ার্ডো সিলভা-রডরিগেজ। তিনি বিবিসিকে বলেন - তিন প্রজাতির হরিণ সহ অধিকাংশ বড় স্তন্যপায়ী জীবজন্তু কুকুরের হাতে নিয়মিত হেনস্থা হচ্ছে। অনেকসময় কুকুর তাদের মেরে খেয়ে ফেলছে।

 

১০০ কোটি কুকুর :         

গৃহপালিত, বেওয়ারিশ এবং বুনো মিলিয়ে সারা বিশ্বে কম-বেশি ১০০ কোটি কুকুর আছে।

এগুলোর কত শতাংশ ঘর-পালানো বেওয়ারিশ এবং বুনো - সে সম্পর্কে সঠিক কোনো পরিসংখ্যান নেই, তবে এদের সংখ্যা বাড়ছে।

"বিষয়টি খুবই উদ্বেগের," বিবিসিকে বলেন পরিবেশবাদী সংস্থা আইইউসিএনের পিয়েরো জেনোভেসি।

"মানুষের সংখ্যা যত বাড়ছে, সেই সাথে বাড়ছে কুকুরের সংখ্যা। এই সমস্যা আরো তীব্রতর হতে পারে।।"

 

কুকুরের হুমকিতে পড়া বন্যপ্রাণী :

বুনো এবং বেওয়ারিশ কুকুরের কারণে হুমকিতে পড়েছে প্রায় ২০০ প্রজাতির বন্যপ্রাণী, যাদের অর্ধেকই স্তন্যপায়ী, ৭৮টি পাখী, ২২টি সরীসৃপ এবং তিনটি উভচর।

এদের মধ্যে ৩০টি প্রজাতি বিলীন হওয়ার হুমকিতে। ৭০টির অবস্থা বিপজ্জনক।

সবচেয়ে বিপজ্জনক এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে এশিয়ার কিছু অঞ্চল, মধ্য এবং দক্ষিণ আমেরিকা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব এলাকায় প্রচুর বেওয়ারিশ কুকুর রয়েছে, যেগুলো বড় ধরণের বিপদ তৈরি করেছে।

 

নানামুখী প্রভাব :

কুকুর প্রধানত পাঁচভাবে বন্যপ্রাণীর ক্ষতি করছে।

তারা বন্যপ্রাণীকে হত্যা করছে, পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে, বন্যপ্রাণীর ভেতর রোগ ছড়াচ্ছে, খাবারে ভাগ বসাচ্ছে এবং কাছাকাছি প্রজাতির সাথে যৌন সঙ্গম করে বংশ বিস্তার করছে।

পোল্যান্ডে একটি গবেষণায় দেখা গেছে, বুনো কুকুর বনবিড়ালের গর্তে ঢুকে তাদের শিকার করা খাবার নিয়ে যাচ্ছে।

আরেক গবেষণা বলছে, নিউজিল্যান্ডে কোয়েল সহ অন্তত আট ধরণের পাখী কুকুরের কারণে বিলীন হয়গেছে।

 

কুকুরের তাড়া :

কুকুর বন্যপ্রাণীর জন্য ভীতিকর হয়ে দাঁড়িয়েছে, তার বহু ভিডিও নমুনা রয়েছে।

একটি দেখা যাচ্ছে - তিব্বতে একটি স্নো লেপার্ড বা চিতাবাঘকে তিনটি বুনো হয়ে যাওয়া কুকুর ঘিরে ধরেছে। আরেকটিতে দেখা যাচ্ছে, তিনটি কুকুর একটি পোলার বিয়ারকে (মেরু ভালুক) কোণঠাসা করে ফেলেছে।

 

চিলিতে এক গবেষণা বলছে, পুডু নামে ক্ষুদ্র প্রজাতির যত হরিণকে চিকিৎসার জন্য আনা হয়, তাদের ৭০ শতাংশেরই জখমের কারণ কুকুরের কামড়।

ব্রাজিলে ৩০টি জাতীয় উদ্যানের ওপর পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, গৃহপালিত ছাড়া কুকুর ৩৭ ধরণের বন্যপ্রাণীর জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতের রাজস্থানে, বিলীন হওয়ার হুমকিতে পড়া গ্রেট ইন্ডিয়ান বাসটার্ডস নামে বিরল একটি পাখীর প্রজাতির জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ভারতে বাঘের জন্য সংরক্ষিত জঙ্গলগুলোতে কুকুর কতটা ঝুঁকি তৈরি করেছে, তা নিয়ে এখন একটি গবেষণা চলছে।

 

কুকুর এবং রোগবালাই :

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় কুকুর থেকে ছড়ানো রোগ বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সংস্থা ডব্লিউ ডব্লিউ এফের আর্নল্ফ কোনকে বিবিসিকে বলেন, "কুকুর অন্য প্রাণীকে মেরে খেয়ে ফেলছে - এটা যতটা না বিপজ্জনক তার চেয়ে অনেক বিপজ্জনক হচ্ছে কুকর যেভাবে অন্য প্রাণীদের মধ্যে রোগ ছড়াচ্ছে, বিশেষ করে ্যাবিজ বা জলাতঙ্ক।"

ইথিওপিয়া, ভারত এবং নেপালে ্যাবিজ ছাড়ানোর বহু নজির রয়েছে।

কী করা যাবে?

 

বুনো, বেওয়ারিশ ছাড়া কুকুরকে নিয়ে কী করা যাবে?

মেরে এদের সংখ্যা কমানোর কথা কেউ কেউ বললেও, তা নিয়ে বিতর্ক-দ্বিমত রয়েছে।

কেলি  মিয়ারা, যিনি পশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরিচিত একটি মুখ, তার মতে, মেরে কুকুরের সংখ্যা কমানো সম্ভব নয়। এক জায়গায় মারলে, পাশের জায়গা থেকে নতুন কুকুর এসে শূন্যস্থান পূরণ করে ফেলবে।

 

"সঠিক কুকুর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ধীরে ধীরে বেওয়ারিশ বুনো কুকুরের সংখ্যা কমাতে হবে। 'নিউট্রাল' করে তাদের বাচ্চা জন্ম দেওয়া বন্ধ করা যেতে পারে। নিয়মিত টিকা দিয়ে তাদের দ্বারা রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি কমানো যেতে পারে।"

কুকুরের কারণে বন্যপ্রাণীর প্রতি হুমকি কীভাবে কমানো যাবে - তা নিয়ে এখনও সুনির্দিষ্ট কোনো কৌশল বিশ্বের কোথাও নেওয়া হয়নি।

 

 

সূত্র : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ বিবিসি বাংলা

https://www.bbc.com/bengali/news-47227787