ডেটা সায়েন্স হলো তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তিগত ও গবেষণামূলক ক্ষেত্র যা তথ্য থেকে
মূল্যবান তথ্য তৈরি, প্রকাশ, ব্যবহার ও অর্থবহ করে। স্মার্ট শহর এবং নগর পরিকল্পনা গ্রহণ এবং
বাস্তবায়নে ডেটা সায়েন্স এবং এআই(কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করছে। ট্রাফিক প্রবাহকে অপ্টিমাইজ করা, জ্বালানি শক্তি
খরচ কমানো এবং জননিরাপত্তা বৃদ্ধি করা। কৃষকরা এখন সেন্সর ডাটা, স্যাটেলাইট ইমেজ এবং এআই-চালিত বিশ্লেষণ ব্যবহার করে সেচ, নিষিক্তকরণ এবং কীটপতঙ্গ নিয়ন্ত্রণকে অপ্টিমাইজ করতে পারে, যার ফলে ফসলের ফলন এবং টেকসই চাষাবাদের অনুশীলন বেড়ে যাচ্ছে। আর্থিক পরিষেবায়
ডেটা সায়েন্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। ব্যাংক এবং আর্থিক
প্রতিষ্ঠানগুলোতে জালিয়াতি শনাক্ত করতে, ক্রেডিট ঝুঁকি
মূল্যায়ন করতে এবং বিনিয়োগের সুপারিশগুলো কার্যকর করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার
ব্যবহার হচ্ছে। ডেটা সায়েন্স এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনযাপন এবং কাজের
পদ্ধতিতে বিপ্লব ঘটাচ্ছে।
ডেটা সাইন্সে ক্যারিয়ার গড়ার জন্য তথ্য-যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে সম্পৃত্ত এসব
বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে –
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, মেশিন লার্নিং, বিগ ডেটা কি এবং এদের মধ্যে যুগপৎ সম্পর্ক কেমন;
ডেটা সাইন্টিস্টদের কাজ কি; ডেটা সাইন্টিস্ট হতে হলে কি ধরনের দক্ষতা এবং গুণাবলী থাকা দরকার, কিভাবে সেগুলি অর্জন করা সম্ভব, অর্জনের জন্য
কিভাবে প্রস্তুতি নেওয়া দরকার, কি কি প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ
শেখা দরকার; গণিত, পরিসংখ্যান এবং
কম্পিউটার বিজ্ঞানের কোন কোন বিষয়ের সমন্বিত জ্ঞান অর্জন করা দরকার; দেশে এবং বিদেশে কোথায় কোথায় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে; ডেটা সাইন্টিস্ট হওয়ার চ্যালেঞ্জ গুলো কি কি; ডেটা সাইন্টিস্ট হিসেবে কিভাবে পোর্টফোলিও তৈরি করা উচিত; চাকরি অনুসন্ধানের কৌশল এবং ইন্টারভিউ পরামর্শ সম্পর্কে আলোকপাত; দেশ-বিদেশে চাকুরীর ক্ষেত্র এবং বাজার কেমন; বিশ্বব্যাপী কিছু সুনামধন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান কিভাবে ডেটা সায়েন্স
ব্যবহার করে সাফল্য লাভ করেছে তার উদাহরণ ..ইত্যাদি ।
0 comments: