পথতরু শহরে ছায়ার জন্য, সৌন্দর্যের জন্য লাগান হয়। পথতরু হিসেবে আমরা ফুলের
গছের দিকে আকৃষ্ট হই। বেশি পাতা আছে, অক্সিজেন দেয়, কার্বডাই
অক্সাইড শোষন করে এমন গাছই লাগানো হয়।
শহরে ফলের গাছ লাগানো
উচিত একটু চিন্তা করে। কিন্তু আমাদের নজর থাকে ফুলের দিকে। যাতে শহরে
নানা রকম ফুল ফোটে। কিন্তু আমাদের শহরে যে অবস্থা। এতসব বাড়িঘর! তার মধ্যে
গাছ খুবই কম।
মহাসড়কে এমন গাছ লাগাতে হবে যেটা পাশে ছড়াবেনা, সোজা হয়ে থাকবে। অক্সিজেন
দিবে, কার্বনডাই অক্সাইড শোষণ করবে। বাতাস ঠান্ডা রাখবে। এখানে ভেষজ গাছ
লাগানো যেতে পারে।
হাইওয়ে বা মহাসড়ক যাদের মাঝখানে অনেক জায়গা আছে। এখানে আজেবাজে যত গাছ, ছোট গাছ, মেজো গাছ দুনিয়ার জঞ্জাল করে রেখেছে। এটা একটা স্পেস, এটা সাজানোর জন্য পরিকল্পনা থাকা উচিত। মহাসড়কের ওপর রোদ থাকতে হবে, এখানে ছায়া থাকবেনা। মহাসড়কে এমন গাছ লাগতে হবে যাতে ছায়া না দেয়। বড় বড় রেইনটি লাগালে বড় হলে ডালা ভেঙ্গে পরলে অনেক সমস্যা।
জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে খেজুর বাগান নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে। এগুলা আসলে আমাদের দেশের খেজুর। এটা আমাদের গাছ। এটা আরবের গাছ না। আরবের খেজুর আমাদের দেশে ফল ধরেনা। আমরা খেজুরকে ভাবি মরুভূমির গাছ। এটা ঠিকনা। তাল, খেজুর, নারকেল এগুলোসব আমাদের গাছ। এগুলো অবস্থা বিবেচনা করে যেখানে খুশি সেখানে লাগান যায়।
বজ্রপাত হয়ে মানুষের মারা বন্ধ করার জন্য তাল গাছ লাগানো হচ্ছে। তাল গাছ উপরে থাকে, উপরেই বিদুৎ ধরে ফেলে। সে
বিদ্যুৎ গাছের ভিতর দিয়ে মাটিতে চলে যায়। বজ্রপাতের বিদ্যুৎ পৃথিবীতে নামার
জন্য কন্ডাকটার খোজে। মানুষ ভাল কনন্ডাকটার। মানুষের ভিতর নামতে গিয়ে
মানুষের জীবন শেষ করে।
আমাদের শহরে গাছ লাগাতে কোন পরিকল্পনা নাই। এ ক্ষেত্রে যার যা ইচ্ছা তা করছে। মিড আইল্যান্ড বা রাস্তার মাঝখানে গাছ লাগানোর কথা না। রাস্তার মাঝখানে নানা রকম ভৌত কাঠামো দিয়ে সাজাতে পারে। অথবা শুধু ঘাস থাকতে পারে, ছোট ছোট গাছ থাকতে পারে। রাস্তার দুই পাশে থাকে বড় গাছ। যাতে রাস্তায় ছায়া হয়। আমাদের শহরে দুই পাশ বন্ধ, গাছ লাগানোর কোন জায়গা রাখেনা। গাছ লাগানোর কোন স্কোপও রাখেনা। এইটাতো বিরাট সমস্যা।
কোন কোনা জায়গায় রাস্তার দুই পাশে
কিছু গাছ আছে। কিন্তু ঐগাছ বড় হবেনা। কারন গাছগুলোর শিকড় নিচে যেতে
পারবেনা। সিমেন্ট দিয়ে সব আটকান। খাদ্য সংগ্রহ করতে পারবেনা। রাস্তার পাশের
গাছ নিয়ে বিপদ অনেক। এই গাছগুলো দেখার কেউ নেই। যার কারনে গাছ ভেঙ্গে পড়ে
মানুষকে প্রাণ দিতে হচ্ছে।
বিদেশে প্রত্যেক এরিয়ার জন্য একজন গাছের ডাক্তার
থাকে। তার কাজ হচ্ছে ঘুরে ঘুরে প্রত্যেকটা গাছ গিয়ে দেখবে। গাছে খোড়ল
হচ্ছে কিনা, সেটা সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করতে হয়। ক্ষত হচ্ছে কিনা, ক্ষত হলে
চিকিৎসা করতে হয় এন্টিবায়োটিক দিয়ে। গাছের কোন ডাল কাটতে হলে তা কেটে সেপ
সুন্দর করা ইত্যাদি করে থাকেন।। আমাদের এ বিদ্যাটাও নাই, চর্চাও নাই,
ভাবনাও নাই। ফলে গাছে বড় বড় গর্ত হচ্ছে, রাস্তার পাশের গাছ উপরে পড়ছে।
খবর বিভাগঃ
উদ্যান ও নিসর্গ
বাগান করা
শিক্ষা-বিনোদন
0 comments: