পথতরু শহরে ছায়ার জন্য, সৌন্দর্যের জন্য লাগান হয়। পথতরু হিসেবে আমরা ফুলের
গছের দিকে আকৃষ্ট হই। অথবা বড় গাছ, বেশি পাতা আছে, অক্সিজেন দেয়, কার্বডাই
অক্সাইড শোষন করে এমন গাছই লাগানো হয়। আমি ফলের গাছ লাগানোর পক্ষে। কাঠাল
গাছের ফল বড় বড় হয়। এফল পাকার আগেই লুটপাট হয়ে যাবে। শহরে ফলের গাছ লাগানো
উচিত একটু চিন্তা করে। উচু গাছ, ফল ছোট হয় এমন ফলের গাছ শহরের পথতরু হিসেবে
ভাল হয়। যেমন আমগাছ, বীজ থেকে যে আমের চারা হয়, সেটা অনেক উচু হয়। উচু
গাছের ফল উঠে ফল পাড়া কঠিন। সে গাছের ফল পেকে পড়বে, নিচে পড়লে বাচ্চারা
খাবে। গরিব বাচ্চারা, টোকাইরা খাবে। আম পশুপাখিও খেতে পারে। এই ধরনের গাছ
পথে লাগানোর পক্ষপাতি আমি। কিন্তু আমাদের নজর থাকে ফুলের দিকে। যাতে শহরে
নানা রকম ফুল ফোটে। কিন্তু আমাদের শহরে যে অবস্থা। এতসব বাড়িঘর! তার মধ্যে
গাছ খুবই কম। শহরে গাছ লাগাতে গেলে নানা রকম বিবেচনা আছে, বিশেষজ্ঞরা সেটা
করতে পারে। কিন্তু আমাদের গাছগুলো লাগায় সাধারণ মালি-টালি দিয়ে। কোন
বিশেষজ্ঞ লাগান না। এখানে বিশেষজ্ঞদের কোন কাজ নাই। তাদেরকে বলেওনা।
মহাসড়কে এমন গাছ লাগাতে হবে যেটা পাশে ছড়াবেনা, সোজা হয়ে থাকবে। অক্সিজেন
দিবে, কার্বনডাই অক্সাইড শোষণ করবে। বাতাস ঠান্ডা রাখবে। এখানে ভেষজ গাছ
লাগানো যেতে পারে।
এখন একটা সমস্যা আমি দেখলাম। হাইওয়ে যেগুলি হচ্ছে, মহাসড়ক। ঢাকা-ময়মনসিংহ যে মহাসড়কটি হয়েছে তার মাঝখানে অনেক জায়গা রেখেছে। এখানে আজেবাজে যত গাছ, ছোট গাছ, মেজো গাছ দুনিয়ার জঞ্জাল করে রেখেছে। এটা একটা স্পেস, এটা সাজানোর জন্য পরিকল্পনা থাকা উচিত। মহাসড়কের ওপর রোদ থাকতে হবে, এখানে ছায়া থাকবেনা। মহাসড়কে এমন গাছ লাগতে হবে যাতে ছায়া না দেয়। বড় বড় রেইনটি লাগালে বড় হলে ডালা ভেঙ্গে পরলে অনেক সমস্যা।
জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে খেজুর বাগান নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে। এগুলা আসলে আমাদের দেশের খেজুর। এটা আমাদের গাছ। এটা আরবের গাছ না। আরবের খেজুর আমাদের দেশে ফল ধরেনা। আমরা খেজুরকে ভাবি মরুভূমির গাছ। এটা ঠিকনা। তাল, খেজুর, নারকেল এগুলোসব আমাদের গাছ। এগুলো অবস্থা বিবেচনা করে যেখানে খুশি সেখানে লাগান যায়।
সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দশ লক্ষ তালগাছ লাগাবে। কারন বজ্রপাত হয়ে মানুষ মারা যায় সেটা বন্ধ করার জন্য। তালগাছ উপরে থাকে, উপরেই বিদুৎ ধরেফেলে। সে বিদ্যুৎ গাছের ভিতর দিয়ে মাটিতে চলে যায়। বজ্রপাতের বিদ্যুৎ পৃথিবীতে নামার জন্য কন্ডাকটার খোজে। মানুষ ভাল কনন্ডাকটার। মানুষের ভিতর নামতে গিয়ে মানুষের জীবন শেষ করে। আবার তাল গাছের একটা সমস্যাও আছে, মানুষের ওপর তাল পরে বিপদ হতে পারে।
আমাদের শহরে গাছ লাগাতে কোন পরিকল্পনা নাই। এ ক্ষেত্রে যার যা ইচ্ছা তা করছে। মিড আইল্যান্ড বা রাস্তার মাঝখানে গাছ লাগানোর কথানা। রাস্তার মাঝখানে নানা রকম ভৌতকাঠামো দিয়ে সাজাতে পারে। অথবা শুধু ঘাস থাকতে পারে, ছোট ছোট গাছ থাকতে পারে। রাস্তার দুই পাশে থাকে বড় গাছ। যাতে রাস্তায় ছায়া হয়। আমাদের শহরে দুই পাশ বন্ধ, গাছ লাগানোর কোন জায়গা রাখেনা। গাছ লাগানোর কোন স্কোপও রাখেনা। এইটাতো বিরাট সমস্যা। কোন কোনা জায়গায় রাস্তার দুই পাশে কিছু গাছ আছে। কিন্তু ঐগাছ বড় হবেনা। কারন গাছগুলোর শিকড় নিচে যেতে পারবেনা। সিমেন্ট দিয়ে সব আটকান। খাদ্য সংগ্রহ করতে পারবেনা। রাস্তার পাশের গাছ নিয়ে বিপদ অনেক। এই গাছগুলো দেখার কেউ নেই। যার কারনে গাছ ভেঙ্গে পড়ে মানুষকে প্রাণ দিতে হচ্ছে। বিদেশে প্রত্যেক এরিয়ার জন্য একজন গাছের ডাক্তার থাকে। তার কাজ হচ্ছে ঘুরে ঘুরে প্রত্যেকটা গাছ গিয়ে দেখবে। গাছে খোড়ল হচ্ছে কিনা, সেটা সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করতে হয়। ক্ষত হচ্ছে কিনা, ক্ষত হলে চিকিৎসা করতে হয় এন্টিবায়োটিক দিয়ে। গাছের কোন ডাল কাটতে হলে তা কেটে সেপ সুন্দর করা ইত্যাদি করে থাকেন।। আমাদের এ বিদ্যাটাও নাই, চর্চাও নাই, ভাবনাও নাই। ফলে গাছে বড় বড় গর্ত হচ্ছে, রাস্তার পাশের গাছ উপরে পড়ছে। রমনা পার্কে মহুয়া গাছটা পড়ল। আমরাতো কোনদিনই ভাবিনাই গাছটা পড়বে। কত সুন্দর শক্তিশলী গাছ ছিল। পড়ার পর দেখলাম ভিতরটা পুরো খোড়ল। রমনা বটমূলে প্রত্যেক বছর পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান উদযাপন করি। অন্যান্য গাছ ঐগাছটাকে চেপে ধরেছে। ঐটাকে খোলা করে দেয়ার জন্য আশপাশের গাছ কেটে দিচ্ছি। গাছটার উপরে উঠে দেখলাম ওটার ভিতরে একটা বড় খোড়ল আছে। অবশ্যা গাছটার বয়স শতবর্ষ হবে। এটাকে কিভাবে চিকিৎসা করতে হবে আমরা তা জানিনা। এ জন্য বিশেষজ্ঞ আমাদের নাই। এ বিষয়ে আমাদের লোকদের ট্রেনিং দিয়ে আনা উচিৎ। গাছের ডাক্তার তৈরি করে আনা উচিৎ। এই গাছটা যদি আগে সিমেন্ট দিয়ে ব্লক করে দেয়া যেত। তাহলেতো ভিতরটা শক্ত থাকত। গাছের ভিতরে সার অংশের কিন্তু প্রাণ নাই। কাঠ এই অংশ ভাল হলেও এই সারি অংশ গাছের কোন উপকারে আসেনা। ওইটা আমাদের কজে লাগে। এটা গাছকে শক্ত করে রাখে। সার অংশ বেশি দিন হলে ক্ষয় হতে থাকে। আর গাছের ভিতর এই অংশ ক্ষয় হলে গাছ দুর্বল হয়ে যায়। গাছ বাঁচানোর মূল কাজ করে বাইরের অংশ, যেটাকে আমরা পলক বলি। এই পলক দিয়েই গাছ খাদ্য, পানি সংগ্রহ করে। আমার রমনা পার্কটাকে নতুন করে গড়ার চেষ্টা করছি। এত এবড়ো থেবড়ো, যেখানে সেখানে যখন খুশি গাছ লাগিয়ে এমন একটা কাঠামো দাঁড় করিয়েছে। কিন্তু গাছতো কেটে ফেলা যায়না। কোন শৃংখলা মেনে এটা করা হয়নি। আমরা যতটুকু পারি চেষ্টা করছি। পহেলা বৈশাখ উদযাপন হয় যে জায়গাটাতে, সেখানে যেন সে সময়ে ফুল ফোটে সে ধরনের গাছ লাগাচ্ছি। পহেলা বৈশাখে দেখা গেল ফুলফোটে ভরেগেছে জায়গাটা। চারপাশে এমন গাছ লাগাচ্ছি যাতে বাইরের শব্দ না আসে। এই জায়গাটুকু গোছান হবে সুন্দর ভাবে।
এখন একটা সমস্যা আমি দেখলাম। হাইওয়ে যেগুলি হচ্ছে, মহাসড়ক। ঢাকা-ময়মনসিংহ যে মহাসড়কটি হয়েছে তার মাঝখানে অনেক জায়গা রেখেছে। এখানে আজেবাজে যত গাছ, ছোট গাছ, মেজো গাছ দুনিয়ার জঞ্জাল করে রেখেছে। এটা একটা স্পেস, এটা সাজানোর জন্য পরিকল্পনা থাকা উচিত। মহাসড়কের ওপর রোদ থাকতে হবে, এখানে ছায়া থাকবেনা। মহাসড়কে এমন গাছ লাগতে হবে যাতে ছায়া না দেয়। বড় বড় রেইনটি লাগালে বড় হলে ডালা ভেঙ্গে পরলে অনেক সমস্যা।
জাতীয় সংসদ ভবনের পাশে খেজুর বাগান নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলে। এগুলা আসলে আমাদের দেশের খেজুর। এটা আমাদের গাছ। এটা আরবের গাছ না। আরবের খেজুর আমাদের দেশে ফল ধরেনা। আমরা খেজুরকে ভাবি মরুভূমির গাছ। এটা ঠিকনা। তাল, খেজুর, নারকেল এগুলোসব আমাদের গাছ। এগুলো অবস্থা বিবেচনা করে যেখানে খুশি সেখানে লাগান যায়।
সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দশ লক্ষ তালগাছ লাগাবে। কারন বজ্রপাত হয়ে মানুষ মারা যায় সেটা বন্ধ করার জন্য। তালগাছ উপরে থাকে, উপরেই বিদুৎ ধরেফেলে। সে বিদ্যুৎ গাছের ভিতর দিয়ে মাটিতে চলে যায়। বজ্রপাতের বিদ্যুৎ পৃথিবীতে নামার জন্য কন্ডাকটার খোজে। মানুষ ভাল কনন্ডাকটার। মানুষের ভিতর নামতে গিয়ে মানুষের জীবন শেষ করে। আবার তাল গাছের একটা সমস্যাও আছে, মানুষের ওপর তাল পরে বিপদ হতে পারে।
আমাদের শহরে গাছ লাগাতে কোন পরিকল্পনা নাই। এ ক্ষেত্রে যার যা ইচ্ছা তা করছে। মিড আইল্যান্ড বা রাস্তার মাঝখানে গাছ লাগানোর কথানা। রাস্তার মাঝখানে নানা রকম ভৌতকাঠামো দিয়ে সাজাতে পারে। অথবা শুধু ঘাস থাকতে পারে, ছোট ছোট গাছ থাকতে পারে। রাস্তার দুই পাশে থাকে বড় গাছ। যাতে রাস্তায় ছায়া হয়। আমাদের শহরে দুই পাশ বন্ধ, গাছ লাগানোর কোন জায়গা রাখেনা। গাছ লাগানোর কোন স্কোপও রাখেনা। এইটাতো বিরাট সমস্যা। কোন কোনা জায়গায় রাস্তার দুই পাশে কিছু গাছ আছে। কিন্তু ঐগাছ বড় হবেনা। কারন গাছগুলোর শিকড় নিচে যেতে পারবেনা। সিমেন্ট দিয়ে সব আটকান। খাদ্য সংগ্রহ করতে পারবেনা। রাস্তার পাশের গাছ নিয়ে বিপদ অনেক। এই গাছগুলো দেখার কেউ নেই। যার কারনে গাছ ভেঙ্গে পড়ে মানুষকে প্রাণ দিতে হচ্ছে। বিদেশে প্রত্যেক এরিয়ার জন্য একজন গাছের ডাক্তার থাকে। তার কাজ হচ্ছে ঘুরে ঘুরে প্রত্যেকটা গাছ গিয়ে দেখবে। গাছে খোড়ল হচ্ছে কিনা, সেটা সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করতে হয়। ক্ষত হচ্ছে কিনা, ক্ষত হলে চিকিৎসা করতে হয় এন্টিবায়োটিক দিয়ে। গাছের কোন ডাল কাটতে হলে তা কেটে সেপ সুন্দর করা ইত্যাদি করে থাকেন।। আমাদের এ বিদ্যাটাও নাই, চর্চাও নাই, ভাবনাও নাই। ফলে গাছে বড় বড় গর্ত হচ্ছে, রাস্তার পাশের গাছ উপরে পড়ছে। রমনা পার্কে মহুয়া গাছটা পড়ল। আমরাতো কোনদিনই ভাবিনাই গাছটা পড়বে। কত সুন্দর শক্তিশলী গাছ ছিল। পড়ার পর দেখলাম ভিতরটা পুরো খোড়ল। রমনা বটমূলে প্রত্যেক বছর পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান উদযাপন করি। অন্যান্য গাছ ঐগাছটাকে চেপে ধরেছে। ঐটাকে খোলা করে দেয়ার জন্য আশপাশের গাছ কেটে দিচ্ছি। গাছটার উপরে উঠে দেখলাম ওটার ভিতরে একটা বড় খোড়ল আছে। অবশ্যা গাছটার বয়স শতবর্ষ হবে। এটাকে কিভাবে চিকিৎসা করতে হবে আমরা তা জানিনা। এ জন্য বিশেষজ্ঞ আমাদের নাই। এ বিষয়ে আমাদের লোকদের ট্রেনিং দিয়ে আনা উচিৎ। গাছের ডাক্তার তৈরি করে আনা উচিৎ। এই গাছটা যদি আগে সিমেন্ট দিয়ে ব্লক করে দেয়া যেত। তাহলেতো ভিতরটা শক্ত থাকত। গাছের ভিতরে সার অংশের কিন্তু প্রাণ নাই। কাঠ এই অংশ ভাল হলেও এই সারি অংশ গাছের কোন উপকারে আসেনা। ওইটা আমাদের কজে লাগে। এটা গাছকে শক্ত করে রাখে। সার অংশ বেশি দিন হলে ক্ষয় হতে থাকে। আর গাছের ভিতর এই অংশ ক্ষয় হলে গাছ দুর্বল হয়ে যায়। গাছ বাঁচানোর মূল কাজ করে বাইরের অংশ, যেটাকে আমরা পলক বলি। এই পলক দিয়েই গাছ খাদ্য, পানি সংগ্রহ করে। আমার রমনা পার্কটাকে নতুন করে গড়ার চেষ্টা করছি। এত এবড়ো থেবড়ো, যেখানে সেখানে যখন খুশি গাছ লাগিয়ে এমন একটা কাঠামো দাঁড় করিয়েছে। কিন্তু গাছতো কেটে ফেলা যায়না। কোন শৃংখলা মেনে এটা করা হয়নি। আমরা যতটুকু পারি চেষ্টা করছি। পহেলা বৈশাখ উদযাপন হয় যে জায়গাটাতে, সেখানে যেন সে সময়ে ফুল ফোটে সে ধরনের গাছ লাগাচ্ছি। পহেলা বৈশাখে দেখা গেল ফুলফোটে ভরেগেছে জায়গাটা। চারপাশে এমন গাছ লাগাচ্ছি যাতে বাইরের শব্দ না আসে। এই জায়গাটুকু গোছান হবে সুন্দর ভাবে।
No comments:
Post a Comment