ল্যান্ডস্কেপিং খুব সহজ বিষয় নয়, এর জন্য জানতে হবে বৃক্ষ,
লতা-গুল্মকে। একটা বাড়ির পিছনে বড় গাছ লাগালে সবুজের ব্যাকগ্রাউন্ডে
বাড়িটিকে দেখতে ভাল লাগবে।
আবার পশ্চিমদিকে এমন গাছ থাকবে, যা বাড়িকে
পশ্চিমের সূর্যতাপ থেকে শীতল রাখবে।
পয়েলা বৈশাখও হতে পারে জাপানের চেরি ব্লোজম এর মত কোন বর্ণিল ফুলময়
উৎসব।
বৈশাখকে বরণ করতে রমনার বটমূলের চারিদিকে অপরিকল্পিত
গাছ অপসারণ করে লাগানো হয়েছে কুরচি, সোনালু আর জারুল। নতুন বছরকে বরণ করে
নিতে যে কটি গাছ ফুলে ফুলে ভরে ওঠে তার অন্যতম এই তিনটি বৃক্ষ।
বসন্তের
শেষে সোনাইল গাছ গুচ্ছ গুচ্ছ হলুদে ভরে ওঠে, পত্রহীন গাছটিতে যেন হলুদের
মেলা।
আবার তার পাশেই জারুলের সবুজ পাতার কক্ষে কক্ষে বেগুনি রঙের বড় বড়
ফুলের থোকা।
আর পত্রহীন কুরচির সমস্ত গাছটি তখন শুভ্রতার চাদরে মুড়ে থাকে
সাথে চমৎকার গন্ধ। এ যেন হলুদ আর বেগুনির সাথে সাদার শুভ্রতায় নতুন বছরকে
বরণ করে নেওয়া।
পাশাপাশি রমনাতে বেশ কিছু পায়ে হাঁটা পথের দু’পাশে একই
বৃক্ষের বিথী তৈরি হচ্ছে। যখন সেখানে ফুল আসবে একই ফুলের লম্বা বিথী
পার্কের সৌন্দর্য বহুলাংশে বাড়িয়ে দেবে।
রমনার লেকে নতুন করে রোপণ করা হবে
আমাদের জাতীয় ফুল শাপলা, যা এখন অনেকটাই বিরল।
ঢাকা একদিন উদ্যান-নগরী হবে,
বুড়িগঙ্গার দুপারে থাকবে পামগাছ ও নিয়ন-আলো শোভিত বুলভার্দ, জিঞ্জিরার
মাঠটিই হবে খোলা ময়দান।
খবর বিভাগঃ
নিবন্ধ
শিল্প-সাহিত্য
সংস্কৃতি
0 comments: